loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • কুমিল্লা ইপিজেড-এ চামড়া কারখানা করবে চীনা প্রতিষ্ঠান

  • নারী এশিয়া কাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশের গ্রুপে শ্রীলংকা

  • অস্ট্রেলিয়ার কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো টাইগ্রেসরা

  • ১৯৭৫ সালের পর বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

  • প্রীতি ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও আর্জেন্টিনার জয়

ম্যাচ জিতে শততম টি-টোয়েন্টি স্মরণীয় করে রাখলো টাইগাররা


ম্যাচ জিতে শততম টি-টোয়েন্টি স্মরণীয় করে রাখলো টাইগাররা

টি-টোয়েন্টি সংস্করণে নিজেদের শততম ম্যাচটি স্মরণীয় করে রাখলো বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই ম্যাচে আট উইকেটে বড় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। যার মাধ্যমে  তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়েও গেলো টাইগাররা। ২০০৬ সালে শাহরিয়ার নাফিসের নেতৃত্বে টি-২০ ফরম্যাটে বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচটি খেলেছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই। খুলনায় অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচে ৪৩ রানে জয় পেয়েছিল টাইগাররা। ম্যাচ-সেরা নির্বাচিত হয়েছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা।

হারারে স্পোর্টস ক্লাবে বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) সিরিজের প্রথম টি-২০ তে টস জিতে আগে ব্যাট করে ১৯ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ১৫২ রান সংগ্রহ করতে সমর্থ হয় জিম্বাবুয়ে। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে দুই উইকেট হারিয়ে সাত বল হাতে রেখেই ১৫৩ রান করে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।

জয়ের জন্য ১৫৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামেন মোহাম্মদ নাইম শেখ ও সৌম্য সরকার। পাওয়ার প্লেতে দুই অর্ধে বাংলাদেশ ছিল দুই রকম। প্রথম তিন ওভারে এসেছে মাত্র নয় রান, পরের তিন ওভারে ৩৪। দুই ওপেনারই সময় নিচ্ছিলেন। প্রথম আট ওভারে খেলেছেন ১৯টি ডট বল। এক-দুই নিয়ে খেলছেন। নিজ জোনে বল পেলে মারছেন বাউন্ডারি। মন্থর ব্যাটিংয়ে ৪৪ বলে এসেছে ওপেনিং জুটির ৫০। 

বাংলাদেশের হয়ে টি-২০তে রেকর্ড সূচনা-জুটি উপহার দিলেন সৌম্য ও নাঈম। তাঁদের জুটি তিন অংক ছুঁয়েছে। এর আগে টি-২০তে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটি ছিল ৯২। গত বছর ঢাকায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই ওই জুটি গড়েছিলেন তামিম ইকবাল ও লিটন দাস।

এদিন রেকর্ড-জুটি করেই ফিরলেন সৌম্য। যে-বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করলেন, সেই বলেই রান আউট হয়ে গেলেন তিনি। রিচার্ড এনগারাভার বল ডিপ মিডউইকেটে পাঠিয়ে দুই রান নিতে চেয়েছিলেন বাঁহাতি এই ওপেনার। স্টাম্প থেকে বেশ দূরে পাওয়া থ্রো ধরে রেজিস চাকাভা যখন বেল ফেলে দেন, তখনও খানিকটা দূরে ছিলেন তিনি। ভাঙে ১০২ রানের জুটি ।ফেরার আগে টি-২০ ক্যারিয়ারে চতুর্থ ফিফটি করেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।

এরপরে নেমেই চার মারেন মাহমুদউল্লাহ। ঝুঁকিপূর্ণ একটি সিঙ্গেল নেয়ার চেষ্টায় রান আউট হয়েছেন বাংলাদেশ-অধিনায়ক। শিঙ্গিরাই মাসাকাদজার বল মোহাম্মদ নাইম শেখ লেগে পাঠানোর পর একটি রান নিতে চেয়েছিলেন দুই ব্যাটসম্যান; কিন্তু ব্লেসিং মুজারাবানির সরাসরি থ্রো স্টাম্প ভেঙে দেওয়ার সময় কিছুটা দূরে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। ১২ বলে এক চারে ১৫ রান করেন তিনি।

এর আগে টসে হেরে ফিল্ডিংয়ে নেমে ওপেনিং বোলিংয়ে আসেন অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। পরের ওভারেই মুস্তফিজুর রহমান বল হাতে পেয়েছেন সাফল্য। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে তাদিওয়ানাশে মারুমানিকে সাত রানে মাঠছাড়া করেন টাইগার-পেসার। দৌঁড়ে এসে দুর্দান্ত ড্রাইভে ক্যাচটি ধরেন সৌম্য; তাতে ১০ রানে ভেঙেছে উদ্বোধনী জুটি।

ফিরতি ক্যাচ নিয়ে ওয়েস্লি মাধেভেরেকে ফিরিয়ে বিপজ্জনক হয়ে উঠা জুটি ভাঙেন সাকিব আল হাসান। বাঁহাতি স্পিনারকে লং অফ দিয়ে উড়িয়ে খেলতে চেয়েছিলেন মাধেভেরে, কিন্তু ব্যাটের ভেতরের দিকে লেগে ক্যাচ যায় বোলারের কাছে; লাফিয়ে ক্যাচ মুঠোয় জমিয়ে ৩৮ বল স্থায়ী ৬৪ রানের জুটি ভাঙেন বাংলাদেশের প্রথম ও শততম টি-২০ খেলা একমাত্র খেলোয়াড় সাকিব।

একাদশ ওভারে শরিফুল ইসলামের প্রথম বলে চাকাবাকে রান আউট করেন নুরুল হাসান সোহান। ২২ বলে পাঁচ চার ও দুই ছয়ে ৪৩ রান করেন জিম্বাবুয়ান ওপেনার। শরিফুলের ওভারে চার বলের ব্যবধানে সিকান্দার রাজাও আউট হন। তিন বল খেলে রানের খাতা না খুলে সোহানকে পেছনে ক্যাচ দেন স্বাগতিক দলের অধিনায়ক। এরপরেই সৌম্যর ওভারে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন তারিসাই মুসাকান্দা।

খরুচে প্রথম ওভারের পর দারুণ বোলিং করেছেন শরিফুল ইসলাম। পরের ওভারে মাত্র এক রান দিয়ে শিকার করেন একটি উইকেট, রান আউটে এসেছে আরেকটি উইকেট। এবারও এক রানে পেলেন এক উইকেট। বাঁহাতি পেসারের অফ স্টাম্পে থাকা ফুল লেংথ বল ক্রস ব্যাটে খেলতে চেয়েছিলেন ডিওন মায়ার্স। বলের লাইনে যেতে পারেননি, উড়ে যায় স্টাম্প। টি-২০তে নিজের প্রথম ইনিংসে ২২ বলে দুই চারে ৩৫ রান করেন মায়ার্স।

ভালো বোলিং করেও উইকেট পাচ্ছিলেন না মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। তবে, নিজের শেষ ওভারে পেলেন দুই উইকেট। অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল স্কুপ করতে চেয়েছিলেন লুক জঙ্গি; ব্যাটের কানায় লেগে বল আঘাত হানে লেগ স্টাম্পে। দুই চারে ১৬ বলে ১৮ রান করে ফেরেন জঙ্গি। বদলি ফিল্ডার শামীম হোসেনের দুর্দান্ত ক্যাচে সেই ওভারেই ফিরেছেন রায়ান বার্ল।

নিজের শেষ ওভারে ফিরে দুই উইকেট নিয়ে জিম্বাবুয়েকে থামিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। দারুণ ডেলিভারিতে বোল্ড করেন রিচার্ড এনগারাভাকে। পরের বলেই শেষ হয়ে যেতে পারতো জিম্বাবুয়ের ইনিংস; কিন্তু মুজারাবানির ক্যাচ গ্লাভসে জমাতে পারেননি সোহান। পরের দুই বলে জিম্বাবুয়ের ১১ নম্বর ব্যাটসম্যান দুই বাউন্ডারি মেরেছেন। ওভারের শেষ বলে তাঁকে বোল্ড করেন মুস্তাফিজ। ফলে, এক ওভার বাকি থাকতে ১৫২ রানেই গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা।

শেষ পর্যন্ত  নাইম শেখের অপরাজিত ৬৫ ও সোহানের অপরাজিত ১৬ রানের ইংনিসে আট উইকেট হাতে রেখেই জয় পায় বাংলাদেশ।

ম্যাচ-সেরা হয়েছেন সৌম্য সরকার।

সিরিজের পরবর্তী টি-২০ ম্যাচ দুটি হবে আগামী শুক্রবার ও রোববার।

Loading...