চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা ডেঙ্গু রোগে বিচলিত বা আতঙ্কিত না হয়ে নিচের পরামর্শগুলো অনুসরণ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) এক তথ্য বিবরণীতে এ-কথা জানানো হয়। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।
পরামর্শগুলোর মধ্যে রয়েছে:
বাড়িতে চিকিৎসাচলাকালীন সতর্কতা
নিচের যেকোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলে অতিসত্বর হাসপাতালে যোগাযোগ করতে হবে:
* জ্বর কমার প্রথম দিনে রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি
* বার বার বমি/মুখে তরল খাবার খেতে না পারা
* পেটে তীব্র ব্যথা
* শরীর মুখ বেশি দুর্বল অথবা নিস্তেজ হয়ে পড়া/হঠাৎ করে অস্থিরতা বেড়ে যাওয়া
* শরীরের তাপমাত্রা অস্বাভাবিক কমে যাওয়া/শরীর অস্বাভাবিক ঠান্ডা হয়ে যাওয়া
বাড়িতে চিকিৎসা
পর্যাপ্ত বিশ্রাম (জ্বর চলাকালীন এবং জ্বরের পর এক সপ্তাহ)
* স্বাভাবিক খাবারের পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণে তরল জাতীয় খাবার খাওয়া, যেমন খাবার স্যালাইন, গ্লুকোজ, ভাতের মাড়, বার্লি, ডাবের পানি, দুধ/হরলিক্স, বাসায় তৈরি ফলের রস, সুপ ইত্যাদি।
* জ্বর থাকাকালীন চিকিৎসা: প্যারাসিটামল ট্যাবলেট
* পূর্ণবয়স্কদের জন্য: দুইটি করে প্রতি ৬/৮ ঘণ্টা পর পর
* বাচ্চাদের জন্য: বয়স ও ওজন অনুসারে চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী
* জ্বর থাকাকালীন রোগী দিনরাত সবসময় মশারির ভেতরে থাকবে।
জ্বর থাকাকালীন নিচের ঔষধ সেবন থেকে বিরত থাকতে হবে
* ব্যথানাশক ঔষধ (এন.এস.এ.আই.ডি গ্রুপ যেমন, ডাইক্লোফেন, আইবুপ্রোফেন, ন্যাপারক্সেন, মেফেন)
* অ্যাস্পিরিন/ক্রোপিডোপ্রেল অ্যান্টি প্লাটিলেট গ্রুপ) হৃদরোগীদের জন্য জ্বর থাকাকালীন ও প্লাটিলেট হওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
* ওয়ারফারিন (অ্যান্টিকোয়াগুলেন্ট) হৃদরোগীদের জন্য জ্বর থাকাকালীন ও প্লাটিলেট হওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে
* অ্যান্টিবায়েটিক জাতীয় ঔষধ (বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া)
* কুসুম গরম পানি বা সাধারণ তাপমাত্রার পানি দিয়ে সারা শরীর মোছা (এই ক্ষেত্রে ঠান্ডা পানি দেওয়া)
এছাড়া, বাড়ি ও এর আশেপাশের এডিস মশার সম্ভাব্য প্রজননস্থল নিশ্চিহ্ন করা এবং মশার আবাসস্থলে স্প্রে করতে হবে।