loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে টাইগ্রেসদের দল ঘোষণা

  • বার্সাকে কাঁদিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে পিএসজি

  • অ্যাটলেটিকোকে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারে ডর্টমুন্ড

  • রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পাঠ্যক্রম যুগোপযোগী কর তাগিদ দিলেন

  • ক্যানাডায় আর্টসেলের আটটি কনসার্ট

অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টিতে টাইগারদের প্রথম জয়


অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টিতে টাইগারদের প্রথম জয়

সংক্ষিপ্ত স্কোর

বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৩১/৬  (সাকিব ৩৬, নাঈম ৩০, মাহমুদউল্লাহ ২০, আফিফ ২৩; স্টার্ক ২/৩৩, হ্যাজেলউড ৩/২৪, জাম্পা ১/২৮, টাই ১/২২)
অস্ট্রেলিয়া: ২০ ওভারে ১০৮ (মার্শ ৪৫, ওয়েড ১৩, স্টার্ক ১৪; শেখ মেহেদী ১/২২, নাসুম ৪/১৯, সাকিব ১/২৪, মোস্তাফিজ ২/১৬, শরিফুল ২/১৯)
ফলাফল: বাংলাদেশ ২৩ রানে জয়ী
সিরিজ: পাঁচ ম্যাচ সিরিজ বাংলাদেশ ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে

বাঁ-হাতি স্পিনার নাসুম আহমেদের ঘূর্ণি বলে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম জয়ের স্বাদ পেলো বাংলাদেশ। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার (৩ অগাস্ট) পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে টাইগাররা ২৩ রানে জিতেছে। ফলে, সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল মাহমুদুল্লাহর দল।

প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে সাত উইকেটে ১৩১ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। জবাবে, পুরো ওভার খেলে ১০৮ রানে গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া।

এদিন টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েড। ব্যাট হাতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলে অস্ট্রেলিয়ার পেসার মিচেল স্টার্ককে মিড উইকেট দিয়ে ছক্কা মারেন ওপেনার মোহাম্মদ নাইম। ওভারের পরের চার বল ডট দেন স্টার্ক। 

এর পরের দুই ওভার থেকে নয় রান তুলতে পেরেছেন নাইম ও তাঁর সঙ্গী সৌম্য সরকার। সতর্কতার সাথে খেলা সৌম্য চতুর্থ ওভারের তৃতীয় বলে অস্ট্রেলিয়ার পেসার জশ হ্যাজেলউডের বলে ফিরেন। নয় বলে মাত্র দুই রান করেছেন জিম্বাবুয়ে সফরে টি-২০ সিরিজের সেরা খেলোয়াড় সৌম্য।

বলের সাথে পাল্লা দিয়ে রান তুলতে থাকা নাইমও বেশি দূর যেতে পারেননি। দলীয় ৩৭ রানে নাইমকে শিকার করেন অস্ট্রেলিয়ার লেগ-স্পিনার এডাম জাম্পা। ২৯ বলে দুইটি করে চার-ছক্কায় ৩০ রান করেন নাইম।

এরপর দলকে সামনের দিকে এগিয়ে নেন তিন নম্বরে নামা সাকিব আল হাসান ও চার নম্বরে নামা অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করেছেন তাঁরা। তবে, জুটিকে বড় স্কোর গড়তে দেননি হ্যাজেলউড। লং-অফে ক্যাচ দিয়ে আউট হওয়ার আগে এক ছক্কায় ২০ বলে ২০ রান করেন মাহমুদুল্লাহ। ৩২ বলে ৩৬ রানের জুটি ছিল সাকিব-মাহমুদুল্লাহর।  

মাহমুদুল্লাহ আউট হলে উইকেটে সাকিবের সঙ্গী হন উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহান। চার বলে তিন রান করে থেমেছেন তিনি। ফলে, পঞ্চদশ ওভারে ৮৬ রানেই তিন উইকেট হারায় বাংলাদেশ। 

এরপর আফিফ হোসেনকে নিয়ে বাংলাদেশের স্কোর তিন অংকে নিয়ে যান সাকিব। দলীয় ১০৪ রানে আউট হন সাকিব। হ্যাজেলউডের তৃতীয় শিকার হন তিনি। ৩৩ বলে তিন চারে ৩৬ রান করেছেন সাকিব।

সাকিব যখন বিদায় নেন, তখন ইনিংসের ১৮ বল বাকী; দুই তরুণ আফিফ ও শামিম হোসেন শেষটা কিভাবে করেন – সেটিই তখন দেখার ছিল। অষ্টাদশ ওভারে আফিফের বাউন্ডারির সহায়তায় ১০ রান এসেছে; ঐ ওভারের শেষ বলে স্টার্কের ট্রেডমার্ক ইয়র্কারে ব্যক্তিগত চার রানে বোল্ড হন শামিম।

টাইয়ের করা ঊনবিংশ ওভারে ছয় রান পায় বাংলাদেশ। স্টার্কের করা শেষ ওভারে আফিফের একটি বাউন্ডারির সুবাদে ১১ রান করেছে বাংলাদেশ দল। শেষ বলে বোল্ড হন আফিফ। 

১৭ বলে তিনটি চারে ২৩ রান করেন আফিফ। ছয় বলে সাত রানে অপরাজিত থাকেন মেহেদি হাসান। অস্ট্রেলিয়ার হ্যাজেলউড তিন ও স্টার্ক দুই উইকেট শিকার করেন। 

অস্ট্রেলিয়াকে জয়ের জন্য ১৩২ রানের সহজ টার্গেট দিয়ে স্পিন দিয়ে বোলিং শুরু করে টাইগাররা। অফ-স্পিনার মেহেদি হাসান ইনিংসের প্রথম ডেলিভারিতে সাফল্য পান। অ্যালেক্স ক্যারিকে খালি হাতে প্যাভিলিয়নে ফেরান মেহেদি। 

মেহেদির সাফল্যের পরে অন্যপ্রান্ত দিয়েও স্পিন আক্রমণ চালান টাইগার-অধিনায়ক। বল হাতে দ্বিতীয় ওভারে আক্রমণে এসে চতুর্থ ডেলিভারিতে সাফল্যের দেখা পান নাসুম। দ্বিতীয় বলে ছক্কা হাঁকানো আরেক ওপেনার জশ ফিলিপকে থামান নাসুম। পাঁচ বলে নয় রান করেন ফিলিপ।

মেহেদি-নাসুমের সাফল্য দেখে তৃতীয় ওভারেই সাকিবকে আক্রমণে আনেন দলপতি। অধিনায়কের সিদ্ধান্ত সঠিকই প্রমাণ করেছেন সাকিব। তৃতীয় ওভারের প্রথম ডেলিভারিতেই মইসেস হেনরিক্সকে বোল্ড করেন তিনি। এক রান করেন হেনরিক্স। ফলে ১১ রানে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে অস্ট্রেলিয়া।

শুরুর চাপ সামলে উঠার চেষ্টা করেছেন মিচেল মার্শ ও অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েড। সতর্কতার সাথে বাংলাদেশের বোলারদের মোকাবেলা করেন তাঁরা। উইকেট বাঁচিয়ে খেলতে মনোযোগী ছিলেন মার্শ-ওয়েড। এই জুটি ভাঙ্গতে ততক্ষণে নিজেসহ আরও দুই বোলারকে ব্যবহার করেন মাহমুদুল্লাহ। তবে, উইকেট শিকারের আনন্দে মাততে পারেনি টাইগাররা।

অবশেষে দশম ওভারে বাংলাদেশকে সাফল্য এনে দেন নাসুমই। ২৩ বলে ১৩ রান করা ওয়েডকে থামান নাসুম। সেটি ছিলো তাঁর দ্বিতীয় ওভার। নিজের তৃতীয় ওভারে সাত নম্বরে নামা অ্যাস্টন আগারকে হিট উইকেটে শিকার করেন নাসুম। সাত রান করেছেন তিনি।

উইকেটে সেট হওয়া মার্শকেও নিজের শেষ ওভারে শিকারে পরিণত করতে ভুল করেননি নাসুম। নাসুমের চার উইকেট শিকারে লড়াই থেকে ছিটকে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। ১৫.৩ ওভারে ছয় উইকেটে ৮৪ রানে ধুকতে থাকে অজিরা।

পরে, লোয়ার-অর্ডারে অস্ট্রেলিয়ার আর কোনো ব্যাটসম্যানকে লড়াই করার সুযোগই দেয়নি বাংলাদেশের বোলাররা। ফলে ২০ ওভারে ১০৮ রানেই থামতে হয়েছে সফরকারী দলকে।

নাসুমে চার ওভারে ১৯ রানে চার উইকেটের পাশাপাশি মুস্তাফিজ-শরিফুল দুইটি করে উইকেট পেয়েছেন।

বুধবার (৪ অগাস্ট) একই ভেনুতে হবে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ।

Loading...