loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • কুমিল্লা ইপিজেড-এ চামড়া কারখানা করবে চীনা প্রতিষ্ঠান

  • নারী এশিয়া কাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশের গ্রুপে শ্রীলংকা

  • অস্ট্রেলিয়ার কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো টাইগ্রেসরা

  • ১৯৭৫ সালের পর বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

  • প্রীতি ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও আর্জেন্টিনার জয়

একুশে পদকপ্রাপ্ত কথাসাহিত্যিক বুলবুল চৌধুরী আর নেই


একুশে পদকপ্রাপ্ত কথাসাহিত্যিক বুলবুল চৌধুরী আর নেই

একুশে পদকপ্রাপ্ত কথাসাহিত্যিক বুলবুল চৌধুরী আর নেই। শনিবার (২৮ অগাস্ট) সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে রাজধানীর পুরান ঢাকায় নিজ বাসায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। ক্যান্সার আক্রান্ত  হয়ে তিনি চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। গত ছয় মাস আগে তাঁর শরীরে ক্যান্সার ধরা পড়ে। এরপর তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএসইউ)-এর অনকোলোজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সারওয়ার আলমের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসা নেন। ক্যান্সার তাঁর শ্বাসযন্ত্রে ছড়িয়ে পড়েছিল। ফলে, তিনি কিছু খেতে পারছিলেন না। কেমোথেরাপি  নেওয়ার মতো শারীরিক অবস্থাও তাঁর ছিল না। চিকিৎসকের পরামর্শে বাসায় চলছিল চিকিৎসা। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।

সাহিত্যকর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২১ সালে বুলবুল চৌধুরী একুশে পদক লাভ করেন। বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান ২০১১ সালে। এছাড়া তিনি হুমায়ুন কাদির স্মৃতি পুরস্কার, জসীমউদদীন স্মৃতি পুরস্কার এবং ব্র্যাক ব্যাংক-সমকাল সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন।

জানা গেছে, রোববার বেলা ১১টায় বাংলা একাডেমিতে নেয়া হবে বুলবুল চৌধুরীর মরদেহ।

অতি সাধারণ জীবন যাপনে অভ্যন্ত বুলবুল চৌধুরী ১৯৪৮ সালের ১৬ অগাস্ট গাজীপুরের দক্ষিণবাগ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পড়াশোনা করেছেন তৎকালীন জগন্নাথ কলেজে। জগন্নাথ কলেজে গল্প লেখা প্রতিযোগিতায় ‘জোনাকি ও সন্নিকট কেন্দ্র’ গল্পের জন্য দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি।

তাঁর প্রথম লেখা বের হয় ১৯৬৭ সালে। তাঁর প্রথম প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ ‘টুকা কাহিনী’। আত্মপ্রকাশের শুরুতেই এই গ্রন্থের মাধ্যমে তিনি সাহিত্য জগতে সাড়া ফেলতে সক্ষম হন। নিজের অধিকাংশ লেখায় তিনি গ্রামীণ জীবনকে নানা আঙ্গিকে উপস্থাপন করেছেন। এছাড়া, নগরায়ণের জটাজালও তাঁর লেখালেখিতে অনন্যভাবে উঠে এসেছে।

লেখালেখির বাইরে পেশাগত জীবনে বুলবুল চৌধুরী সাংবাদিকতার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন বহুদিন। কাজ করেছেন দেশের প্রথম সারির বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায়। তাঁর প্রকাশিত ছোট গল্পগ্রন্থগুলো হলো – ‘টুকা কাহিনী’, ‘পরমানুষ’, ‘মাছের রাত’ ও ‘চৈতার বউ গো’।

তাঁর লেখা উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে – ‘অপরূপ বিল ঝিল নদী’, ‘কহকামিনী’, ‘তিয়াসের লেখন’, ‘অচিনে আঁচড়ি’, ‘মরম বাখানি’, ‘এই ঘরে লক্ষ্মী থাকে’, ‘ইতু বৌদির ঘর’ এবং ‘দখিনা বাও’। বুলবুল চৌধুরীর আত্মজৈবনিক দুটি গ্রন্থ হলো ‘জীবনের আঁকিবুঁকি’ ও ‘অতলের কথকতা’। ‘গাঁওগেরামের গল্পগাথা’, ‘নেজাম ডাকাতের পালা’, ‘ভালো ভূত’ আর ‘প্রাচীন গীতিকার গল্প’ কিশোর গ্রন্থের রচয়িতাও তিনি।

বুলবুল চৌধুরী'র মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী এক শোকবার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

শোকবার্তায় মন্ত্রী বলেন, কথাসাহিত্যিক বুলবুল চৌধুরী তাঁর লেখনীর মাধ্যমে পাঠকের হৃদয়ে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকবেন।

শোকবার্তায় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বুলবুল চৌধুরীর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। শোকবার্তায় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, কথাসাহিত্যিক বুলবুল চৌধুরী তাঁর লেখনীর মাধ্যমে পাঠকের হৃদয়ে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকবেন।

Loading...