গত এক বছরে টেনিস খেলোয়াড়দের মধ্যে সবচেয়ে অর্থ আয়ের দিক থেকে তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন রজার ফেদেরার। তিনি এই সময়ের মধ্যে আয় করেছেন ৯০.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (করপূর্ব)। যদিও ইনজুরির কারণে বছরের প্রায় বেশিরভাগ সময়ই কোর্টের বাইরে ছিলেন এই সুইস তারকা। ফোর্বস ম্যাগাজিন বিশ্বের শীর্ষ ধনী টেনিস খেলোয়াড়দের এই তালিকা প্রকাশ করেছে। খবর আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের।
হাঁটুর ইনজুরির কারণে এবারের ইউএস ওপেনে খেলতে পারেননি ফেদেরার। ফোর্বস জানিয়েছে, গত বছর টেনিস কোর্ট থেকে এক মিলিয়ন ডলারেরও কম আয় করেছেন ফেদেরার। তাঁর অর্জিত অর্থের প্রায় পুরোটাই এসেছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে তাঁর প্রতিশ্রুতি (চুক্তি) থেকে।
করপূর্ব আয় অনুযায়ী ৬০.১ মিলিয়ন ডলার আয় করে এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থান দখল করেছেন জাপানি তারকা নাওমি ওসাকা। এই আয়ের প্রায় ৯০ শতাংশই তিনি কোর্টের থেকে আয় করেছেন।
শীর্ষ পাঁচে আরও রয়েছেন – সেরেনা উইলিয়ামস, নোভাক জকোভিচ ও রাফায়েল নাদাল। সেরেনা ও নাদালও আঘাতের কারণে বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যামে খেলতে পারছেন না।
গত এক বছরে শীর্ষ উপার্জনকারী ১০জন টেনিস খেলোয়াড় মিলে একত্রে আয় করেছেন ৩২০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি, যা আগের বছরের তুলনায় ছয় শতাংশ কম। বিভিন্ন টুর্নামেন্ট ও আকর্ষণীয় প্রীতি ম্যাচগুলো করোনা-অতিমারির কারণে বাতিল হয়ে যাওয়ায় খেলোয়াড়দের আয়ও কমে গেছে। মহামারি সত্ত্বেও এনডোর্সমেন্ট থেকে তাঁরা যে ২৮১ মিলিয়ন ডলার আয় করেছেন, তা গত মৌসুমের তুলনায় চার শতাংশ বেশি।
শীর্ষ ১০ ধনী টেনিস খেলোয়াড়
রজার ফেদেরার: ৯০.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার
নাওমি ওসাকা: ৬০.১ মিলিয়ন ডলার
সেরেনা উইলিয়ামস: ৪১.৮ মিলিয়ন ডলার
নোভাক জকোভিচ: ৩৮ মিলিয়ন ডলার
রাফায়েল নাদাল: ২৭ মিলিয়ন ডলার
কাই নিশিকোরি: ২৬ মিলিয়ন ডলার
দানিল মেদভেদেভ: ১৩.৯ মিলিয়ন ডলার
ডোমিনিক টিম: ৮.৯ মিলিয়ন ডলার
স্টিফানোস সিতসিপাস: ৮.১ মিলিয়ন ডলার
অ্যাশ্লে বার্টি: ৫.৮ মিলিয়ন ডলার