loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে টাইগ্রেসদের দল ঘোষণা

  • বার্সাকে কাঁদিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে পিএসজি

  • অ্যাটলেটিকোকে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারে ডর্টমুন্ড

  • রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পাঠ্যক্রম যুগোপযোগী কর তাগিদ দিলেন

  • ক্যানাডায় আর্টসেলের আটটি কনসার্ট

আফিফের লড়াই সত্ত্বেও সিরিজের শেষ ম্যাচে টাইগারদের পরাজয়


আফিফের লড়াই সত্ত্বেও সিরিজের শেষ ম্যাচে টাইগারদের পরাজয়

সংক্ষিপ্ত স্কোর

নিউজিল্যান্ড: ২০ ওভারে ১৬১/৫ (ল্যাথাম ৫০*, অ্যালেন ৪১, নিকোল্স ২১, ম্যাককনকি ১৭*; তাসকিন ১/৩৪, নাসুম ১/২৫, শরিফুল ২/৪৮, আফিফ ১/১৮)
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৩৪/৮ (আফিফ ৪৯*, মাহমুদউল্লাহ ২৩, নাঈম ২৩ ; ডাফি ১/২৫, এজাজ ২/২১, কাগলেইন ২/২৩, ম্যাককনকি ১/২৫, সিয়ার্স ১/২১, রবীন্দ্র ১/১৯)
ফলাফল: নিউজিল্যান্ড ২৭ রানে জয়ী
সিরিজ: পাঁচ ম্যাচের সিরিজে বাংলাদেশ ৩-২ ব্যবধানে জয়ী
ম্যাচ-সেরা: টম ল্যাথাম (নিউজিল্যান্ড)
সিরিজ-সেরা: নাসুম আহমেদ (বাংলাদেশ) ও টম ল্যাথাম (নিউজিল্যান্ড)

সিরিজের পঞ্চম ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) ২৭ রানে জিতেছে নিউজিল্যান্ড। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে কিউইদের করা পাঁচ উইকেটে ১৬১ রানের জবাবে চার পরিবর্তন নিয়ে খেলতে নামা বাংলাদেশ পুরো ওভার খেলে আট উইকেটে ১৩৪ রান করতে পেরেছে। পাঁচ নম্বরে নেমে ৩৩ বলে ৪৯ রানে অপরাজিত ছিলেন আফিফ।

আগের ম্যাচেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করে ফেলেছিলেন রাসেল ডমিঙ্গোর শিষ্যরা। এই ম্যাচে পরাজিত হওয়ার সিরিজের ফলাফল দাঁড়ালো ৩-২।

চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি দেখেশুনে শুরু করে। তবে, পঞ্চম ওভারে সাফল্য পায় কিউইরা। জায়গা করে খেলতে গিয়ে বেন সিয়ার্সের শিকার হন লিটন দাস। পয়েন্টে ক্যাচ নেন স্কট কাগ্লেইন। পুরো সিরিজে ব্যাট হাতে ব্যর্থ লিটন এদিন ফের হতাশ করেছেন। তাঁর সংগ্রহ ১২ বলে ১০ রান।

পাওয়ার প্লেতে এক উইকেটে ৩৫ রান করা টাইগাররা এরপর টানা তিন ওভারে উইকেট হারায়। একাদশে ফেরা সৌম্য সরকারকে টিকতে দেননি কোল ম্যাক্কনকি। নাঈম শেখ বিদায় নেন থিতু হয়ে। তাঁর ২১ বলে ২৩ রানের ইনিংসটি শেষ করেন বেন সিয়ার্স। রাচিন রবীন্দ্রর বলে লং-অফে কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের তালুবন্দি হয়ে দ্রুত ফেরেন মুশফিকুর রহিমও।

ফলে, নবম ওভারে ৪৬ রানে চার উইকেট খোয়ায় স্বাগতিক দল; আর এতে ম্যাচের ভাগ্য চলে যায় নিউজিল্যান্ডের দিকে। অবশ্য, পঞ্চম উইকেটে দলকে আশার আলো দেখিয়েছিলেন আফিফ ও মাহমুদউল্লাহ।

দ্বাদশ ওভারে সিয়ার্সকে চার-ছক্কা মেরে হাত খোলেন আফিফ। এক ওভার পরে বাঁহাতি স্পিনার ম্যাক্কনকিকে ছক্কায় সীমানাছাড়া করেন তিনি। সঙ্গে যোগ দেন মাহমুদউল্লাহও। আরেক বাঁহাতি স্পিনার এজাজ প্যাটেলও রেহাই পাননি। ওই ওভারেও আফিফ আনেন একটি করে চার-ছয়। তাতে বাংলাদেশের সংগ্রহ পৌঁছায় তিন অঙ্কে।

মাত্র ৩৩ বলে জুটির অর্ধশত রান পেরিয়ে যায় । শেষ ৩০ বলে হাতে ছয় উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের প্রয়োজন হয় ৫৬ রান। এই লক্ষ্যে পৌঁছানাে অসম্ভব ছিল না। কিন্তু এরপরই শুরু হয় ফের ছন্দপতন। মাত্র সাত রানের মধ্যে সাজঘরে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ, নুরুল হাসান সোহান ও শামীম পাটোয়ারি। এতে শেষ হয়ে যায় লক্ষ্য ছোঁয়ার সম্ভাবনা।

কাগ্লেইনের করা ষোড়শ ওভারের প্রথম পাঁচ বলে মাত্র তিন রান আসায় চাপমুক্ত হতে গিয়ে সীমানার কাছে ক্যাচ দেন মাহমুদউল্লাহ। ১৩ রানে বেঁচে যাওয়া টাইগার-অধিনায়ক করেছেন ২১ বলে ২৩ রান।

পরের ওভারে এজাজের বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে ফেরেন সোহান। রিভিউ নিয়েছিলেন, তবে সিদ্ধান্ত বদলায়নি। মারকুটে ব্যাটিংয়ের জন্য পরিচিত শামীমের জন্য প্রস্তুত ছিল আদর্শ এক মঞ্চ; কিন্তু ঝড় তোলা দূরে থাক, পাঁচ বলে দুই রান করে জ্যাকব ডাফির ডেলিভারিতে বোল্ড হন তিনি।

দুইটি চার মেরে তাসকিন আহমেদ বিদায় নেওয়ার পরে বাঁহাতি আফিফ অপরাজিত ছিলেন শেষ পর্যন্ত। তাঁর ব্যাট থেকে আসে দুইটি চার ও তিন ছক্কা। শেষ পাঁচ ওভারে চার উইকেট খুইয়ে বাংলাদেশ মাত্র ২৮ রান করতে পেরেছে।

এদিন ব্ল্যাক ক্যাপ্সদের প্রায় সবাই নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছেন। উইকেট শিকারেও মিলিতভাবে অবদান রাখেন তাঁরা। দুইটি করে উইকেট নেন এজাজ ও কাগ্লেইন। একটি করে উইকেট দখল করেন ডাফি, ম্যাক্কনকি, সিয়ার্স ও রবীন্দ্র।

আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু ও শেষে তাণ্ডব চালিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা। উদ্বোধনী জুটিতে মাত্র ৫.৪ ওভারে ৫৮ রান তোলে দলটি। মাঝের ওভারগুলোতে রানের চাকা কিছুটা শ্লথ হয়ে পড়ে। যাহোক, শেষ ছয় ওভারে ফের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ৬৫ রান যোগ করেছেন তাঁরা।

ফিন অ্যালেন ২৪ বলের ইনিংসে ৪১ রান করেছেন । অন্য ওপেনার রবীন্দ্রর ব্যাট থেকে এসেছে ১২ বলে ১৭। মাঝে হেন্রি নিকোল্স ২১ বলে ২১ রান করেছেন। তিন নম্বরে নামা ল্যাথাম অধিনায়কোচিত ব্যাটিংয়ে ৩৭ বলে ৫০ করে অপরাজিত ছিলেন। সিরিজে এটি তাঁর দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরি। আরেক অপরাজিত ম্যাক্কনকি খেলেন ১০ বলে ১৭ রানের দারুণ ইনিংস।

মূলত ল্যাথাম ও ম্যাক্কনকির ২১ বলে ৪৩ রানে অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ১৫০ ছাড়িয়ে যায় কিউইরা। বাংলাদেশের পক্ষে শরিফুল ইসলাম দুই উইকেট পেলেও রান খরচ করেছেন বেশ। তিনি চার ওভারে ৪৮ রান দিয়েছেন।

Loading...