loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • কুমিল্লা ইপিজেড-এ চামড়া কারখানা করবে চীনা প্রতিষ্ঠান

  • নারী এশিয়া কাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশের গ্রুপে শ্রীলংকা

  • অস্ট্রেলিয়ার কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো টাইগ্রেসরা

  • ১৯৭৫ সালের পর বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

  • প্রীতি ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও আর্জেন্টিনার জয়

কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনকে ‘বৈশ্বিক জনস্বার্থ সামগ্রী’ ঘোষণা করতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান


কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনকে ‘বৈশ্বিক জনস্বার্থ সামগ্রী’ ঘোষণা করতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হোয়াইট হাউজে অনুষ্ঠিত কোভিড-১৯ সংক্রান্ত শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়ে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনকে ‘বৈশ্বিক জনস্বার্থ সামগ্রী’ হিসেবে ঘোষণা করার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন। শেখ হাসিনা বলেন, কার্যকরভাবে বিশ্বব্যাপী টিকা দেওয়ার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনকে ‘বৈশ্বিক জনস্বার্থ সামগ্রী’ হিসেবে ঘোষণা করা দরকার। প্রধানমন্ত্রী বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) ‘হোয়াইট হাউজ গ্লোবাল কোভিড-১৯ সামিট: এন্ডিং দি প্যান্ডেমিক অ্যান্ড বিল্ডিং ব্যাক বেটার হেল্থ সিকিউরিটি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে পূর্বে ধারণকৃত বক্তব্যে এ-কথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আজ সেখানে স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় ভার্চুয়াল এই শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করেন। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।

সম্মেলনে ভাষণে জো বাইডেন কোভিড-১৯ মহামারি অবসানে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার জন্য রাষ্ট্র ও সরকার-প্রধান, আন্তর্জাতিক সংস্থা, ব্যবসায়ী এবং বেসরকারি নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে জার্মান চ্যান্সলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো, আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাপোসা এবং জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুটেরেস বক্তৃতা করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, টিকা লাভের সার্বজনীন অধিকার নিশ্চিত করা লক্ষ্যে সক্ষমতা রয়েছে – এমন উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মাধ্যমে টিকা স্থানীয় উৎপাদনের সুযোগ দেওয়া উচিত।

হোয়াইট হাউস আমন্ত্রিতদের জানিয়েছে, এ-বছরের শেষের দিকে এবং ২০২২ সালের শুরুতে ফলো-আপ ইভেন্টগুলো অংশগ্রহণকারীদেরকে তাঁদের প্রতিশ্রুতির জন্য দায়বদ্ধ রাখার উদ্দেশ্যে আয়োজন করা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তাঁর সরকার কোভিড-১৯ মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তিনধাপ পন্থা অবলম্বন করেছে। ‘প্রথমত, জীবন বাঁচানোর লক্ষ্যে পর্যাপ্ত চিকিৎসা সুবিধা, যন্ত্রপাতি, জীবন রক্ষাকারী ওষুধ এবং সম্পদ বরাদ্দ করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, এই পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে – আমাদের নাগরিকদের, বিশেষ করে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জীবিকা সুরক্ষায় সহায়তা প্রদান করা এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ পুনরুদ্ধার করা।

তিনি বলেন, ‘আমরা প্রথমে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা এবং সামাজিক সুরক্ষা-নেট কর্মসূচির উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি নীতির দিকে মনোনিবেশ করছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার দ্বিতীয়ত টেকসই অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য কাজ করছে, যাতে উদ্ভাবন, কর্মসংস্থান এবং বিনিয়োগের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে।

তৃতীয়ত, তিনি বলেন যে, জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা এবং কম কার্বণ নিঃসরণের দিকে মনোনিবেশ করা হচ্ছে।

কোভিড-১৯ মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সরকারি উদ্যোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা ১৫.৪ বিলিয়ন ডলারের প্রণোদনা প্যাকেজ বরাদ্দ করেছি। দরিদ্র, বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এবং অনানুষ্ঠানিক খাতের কর্মীসহ ৪.৪ মিলিয়ন সুবিধাভোগীদের ১৬৬ মিলিয়ন ডলার বিতরণ করেছি।’

তিনি আরও বলেন, ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩৫ মিলিয়নের বেশি টিকা দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ২০২২ সালের অগাস্ট মাসের মধ্যে আমাদের জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ লোককে টিকা না দেওয়া পর্যন্ত আমরা প্রতি মাসে ২০ মিলিয়ন মানুষকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছি।’

Loading...