প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রচিত ‘শেখ মুজিব আমার পিতা’ গ্রন্থ অবলম্বনে অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্র ‘মুজিব আমার পিতা’ মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) মুক্তি পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে এদিন সন্ধ্যায় রাজধানীর পান্থপথে অবস্থিত বসুন্ধরা সিটির স্টার সিনেপ্লেক্সে চলচ্চিত্রটির প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ-প্রযুক্তি বিভাগ প্রযোজিত এবং সোহেল রানা পরিচালিত ‘মুজিব আমার পিতা’ প্রদর্শন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন মুজিবশতবর্ষ উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড.কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু জাদুঘরের কিউরেটর ড. নজরুল ইসলাম খান প্রমুখ। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান এ-সময় চলচ্চিত্রটি নির্মাণের সাথে যুক্ত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধু-কন্যা, জননেত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিনে তাঁর লেখা গ্রন্থ অবলম্বনে নির্মিত প্রথম সেন্সর ছাড়পত্রপ্রাপ্ত অ্যানিমেশন মুভি ‘মুজিব আমার পিতা’র মুক্তি জাতীয় চলচ্চিত্র অঙ্গনে একটি মাইলফলক। অ্যানিমেটেড মুভি আরও হয়েছে, কিন্তু সেন্সর ছাড়পত্রপ্রাপ্ত মুভি এটিই প্রথম।
চলচ্চিত্রকে একটি ক্রমবর্ধমান মাধ্যম হিসেবে উল্লেখ করেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রদর্শনের মাধ্যম থেকে শুরু করে নির্মাণ মাধ্যম সবকিছুই কিন্তু পরিবর্তন হচ্ছে। কারণ, পৃথিবীতে গত দুই দশকে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। সেইসাথে চলচ্চিত্রেরও অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে। সেই প্রেক্ষাপটে এই অ্যানিমেশন মুভিটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
হাছান মাহমুদ বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা এখন আর শুধু বাংলাদেশের নেত্রী নন, তিনি সারা পৃথিবীকে আলো দেখানো নেত্রীতে রূপান্তরিত হয়েছেন। সেই কারণে তাঁকে জাতিসংঘে এসডিজি অগ্রগতি পদকে ভূষিত করা হয়েছে। উন্নয়নে, অর্জনে, সংকটে, সংগ্রামে একটি নাম সেটি হলো জননেত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা হাসলে বাংলাদেশ হাসে। সমগ্র বাংলাদেশ যখন ঘুমায় তখনও শেখ হাসিনা দেশের জন্য জেগে থাকেন। তাই, আজকের এই দিনে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ঠিকানায় দেশকে নিয়ে যাওয়ার জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনাকেই প্রয়োজন এবং তিনি আরও বহু বছর ধরে নেতৃত্ব দিয়ে যাবেন – সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী।
তথ্য ও যোগাযোগ-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড না থাকলে আমাদের তরুণরা বিপথে যায়। সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের বড় অনুসঙ্গ হচ্ছে চলচ্চিত্র।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু-কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা তাঁর দৃষ্টিতে পিতাকে কিভাবে দেখেছেন – সেটা নিয়েই তিনি বইটি লিখেছেন এবং এর উপর ভিত্তি করে ছবিটি নির্মাণ করা হয়েছে। এটি জাতির সকলকে অনুপ্রাণিত করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
