loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • অস্ট্রেলিয়ার কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো টাইগ্রেসরা

  • ১৯৭৫ সালের পর বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

  • প্রীতি ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও আর্জেন্টিনার জয়

  • ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে শেষ মুহূর্তে প্রতিরোধ ভাঙলো বাংলাদেশের

  • প্রীতিম্যাচে স্পেনকে রুখে দিলো ব্রাজিল

শিশুশ্রম নিরসনে জোর দেওয়ার আহ্বান


শিশুশ্রম নিরসনে জোর দেওয়ার আহ্বান

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশের সকল খাত থেকে শিশুশ্রম নিরসনের লক্ষ্যে পরিদর্শন কার্যক্রমে জোর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর (ডাইফ)-এর মহাপরিদর্শক এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)-এর কর্মকর্তাগণ।

রোববার (৩ অক্টোবর) কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর আয়োজিত ‘স্ট্র্যান্দেনিং লেবার ইন্সপেকশন টু কমবেট চাইল্ড লেবার’ শীর্ষক কর্মশালায় অংশ নিয়ে এই আহ্বান জানান তাঁরা। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পদস্থ কর্মকর্তাগণ এবং মাঠ পর্যায়ে কর্মরত সহকারী মহাপরিদর্শক এবং শ্রম পরিদর্শকগণের জন্য এই কর্মশালা আয়োজন করা হয়।

কর্মশালার প্রধান অতিথির বক্তব্যে শ্রম সচিব মো. এহছানে এলাহী বলেন, “শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। কর্মক্ষেত্রে শিশুশ্রমকে উপেক্ষা করার কোনো সুযোগ নেই আমাদের। শোভন কর্মপরিবেশ বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়ন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হিসেবে আমরা প্রতিষ্ঠা পেতে চাই। এজন্য দুর্ঘটনা ও শিশুশ্রমমুক্ত কর্মক্ষেত্র নিশ্চিত করতে ডাইফ-এর পরিদর্শকগণকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।”

সভাপতির বক্তব্যে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক ‍(অতিরিক্ত সচিব) মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, “শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের দিক নির্দেশনায়, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের সার্বিক সহযোগিতায় ইতোমধ্যে আটটি শিল্পকে শিশুশ্রমমুক্ত ঘোষণা করেছে সরকার। যেমন: তৈরি পোশাক, চিংড়ি, ট্যানারি, গ্লাস, সিরামিক, জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ, রপ্তানিমুখী চামড়াজাত শিল্প ও পাদুকা এবং রেশম। ২০২৫ সালের মধ্যে সব ধরনের শিশুশ্রমের অবসান ঘটাতে ইতোমধ্যে বিভিন্ন খাত থেকে শিশুশ্রম নির্মূল করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ডাইফ। বর্তমানে এক বছরের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে আমরা কাজ করছি।”

শিশুশ্রম মোকাবেলায় ডাইফ-এর পরিদর্শকদের দক্ষভাবে শ্রম পরিদর্শনের আহ্বান জানান তিনি।

কর্মশালা আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতা করেছে আইএলও বাংলাদেশ। কর্মশালায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে কি-নোট পেপার উপস্থাপন করেন দক্ষিণ-এশিয়া অঞ্চলের দায়িত্বে নিয়োজিত আইএলও’র টেকনিক্যাল স্পেশালিস্ট মি. ইনসাফ নিজাম। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন – কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক ড. গোলাম মো. ফারুক, আইএলও বাংলাদেশ-এর চিফ টেকনিক্যাল এডভাইসার জর্জ ফেলার এবং অধিদপ্তরের পদস্থ কর্মকর্তাগণ; বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের চেয়ারপারসন মো. মাহবুবুল হক। 

– সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

Loading...