loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • শেষ মুহূর্তের গোলে ইতালিয়ান কাপের ফাইনালে ইউভেন্টাস

  • আর্সেনালের কাছে পাঁচ গোলে উড়িয়ে গেলো চেল্সি

  • হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

  • বেপজা অর্থনৈতিক জোনে চীনা কোম্পানির ১৯.৯৭ মি. ডলার বিনিয়োগ

  • কাতারের আমিরের ঢাকা ত্যাগ

ওমান পৌঁছেছে টাইগাররা


ওমান পৌঁছেছে টাইগাররা

সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি নিতে সোমবার (৪ অক্টোবর) ওমানে পৌঁছেছে বাংলাদেশ দল। ঘূর্ণিঝড় শাহীনের কারণে ওমানের শহর মাস্কাটে বাংলাদেশের যাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিলো। রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই ঘণ্টারও বেশি সময় পর রাত ১টা ১০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে বাংলাদেশ দল।

রোববার দেশ ছাড়া নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকলেও টাইগাররা সময়মতোই বিমানবন্দরে উপস্থিত হয়েছিল। অনিশ্চয়তা দূর হলে যাত্রা শুরু করে এবং পরের দিন সকালে ওমান পৌঁছায় বাংলাদেশ দল। মাস্কাটে টিম হোটেলে নিরাপদে পৌঁছেছে। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।

কোভিড-১৯ পরীক্ষায় নেগেটিভ এলে ১৪ জন ক্রিকেটারসহ ২১ সদস্যের একটি দল ওমান গেছে। ১৫ সদস্যের বিশ্বকাপ দলের ১২ জন ক্রিকেটার ছাড়াও পেসার রুবেল হোসেন এবং লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলামও দলের সাথে আছেন। তাঁরা শুধুমাত্র মাস্কাটে অনুশীলন ক্যাম্পে অংশগ্রহণ করবেন।

চারদিন আগে সস্ত্রীক মাস্কাটে গেছেন ওপেনার লিটন দাস। বর্তমানে আইপিএল খেলতে আরব আমিরাতে আছেন সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমান। ৯ অক্টোবর আবুধাবিতে দলের সাথে যোগ দেবেন তাঁরা।

এখন একদিনের রুম কোয়ারেন্টিনে থাকবে বাংলাদেশ দল। দু’টি প্রস্তুতিমূলক ম্যাচের জন্য দুবাইয়ে যাওয়ার আগে অনুশীলন শুরু করবেন তাঁরা। শ্রীলংকা ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে যথাক্রমে ১২ ও ১৪ অক্টোবর দু’টি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে টাইগাররা।

বাছাইপর্বের ম্যাচ খেলতে আবারো ওমানে আসবে টাইগাররা। গ্রুপ ‘বি’তে যৌথ আয়োজক ওমান, স্কটল্যান্ড ও পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ।

বাছাইপর্বে বাংলাদেশ মুখোমুখি হবে স্কটল্যান্ড-যৌথ আয়োজক ওমান ও পাপুয়া নিউ গিনির। ১৭ অক্টোবর স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে মাহমুদুল্লাহর দল। এরপর ১৯ ও ২১ অক্টোবর ওমান ও পাপুয়া নিউ গিনির বিপক্ষে লড়বেন তাঁরা।

প্রথম রাউন্ডের বাঁধা পার হতে পারলে সুপার ১২তে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে বাংলাদেশ। তখন আবারো আরব আমিরাত যাবে টাইগাররা।

ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ত সংস্করণের বিশ্বকাপে টাইগাররা ২৫টি ম্যাচ খেলেছে এবং পাঁচটিতে জিতেছে। এর মধ্যে, বাছাইপর্ব থেকেই চারটি জয় এসেছে। মূল পর্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাত্র একটি ম্যাচ জিতেছে টিম বাংলাদেশ।

মোহাম্মদ আশরাফুলের ব্যাটিং নৈপুণ্যে জিতেছিলো টাইগাররা। ২৭ বলে ৬১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। যেখানে সাতটি চার ও তিনটি ছক্কা ছিল। ঐ ম্যাচে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠেছিলেন আফতাব আহমেদও। ৪৯ বলে আটটি চার ও এক ছক্কায় অপরাজিত ৬২ রান করেছিলেন তিনি।

ঐতিহাসিক সেই জয়ের পরে ধারাবাহিকতা ছিল না বাংলাদেশ দলের। ২০০৯, ২০১০, ২০১২, ২০১৪ ও ২০১৬-এর আসরে জয়হীন ছিলো টাইগাররা।

এবার দলের দায়িত্ব মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের হাতে। সাথে থাকছে এক ঝাঁক তরুণ ক্রিকেটার এবং সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, সৌম্য সরকার, মুস্তাফিজুর রহমান এবং লিটন দাসের অভিজ্ঞদের সংমিশ্রণ। যেকোনো পরিস্থিতিতে যেকোনো দলকে হারানো লক্ষ্য বাংলাদেশের। তারপরও এটি একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ – তা বলাই বাহুল্য।

বাংলাদেশ দল

মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, সৌম্য সরকার, লিটন কুমার দাস, আফিফ হোসেন, মোহাম্মদ নাঈম শেখ, নুরুল হাসান সোহান, শামীম হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, শরিফুল ইসলাম, শেখ মাহেদি হাসান, নাসুম আহমেদ ও তাসকিন আহমেদ।

স্ট্যান্ড-বাই: রুবেল হোসেন ও আমিনুল ইসলাম বিপ্লব।

Loading...