বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, নিম্ন আয়ের দেশগুলো বিশেষ করে আফ্রিকার দেশগুলোতে টিকা সরবরাহের অগ্রাধিকারের মাধ্যমে কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে প্রতিটি দেশে ২০২১ সালের শেষ নাগাদ জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ এবং ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ে ৭০ শতাংশ লোককে টিকা দেওয়া হবে।
“আজ থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০২২ সালের মাঝামাঝি নাগাদ বৈশ্বিক কভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রমের লক্ষ্য অর্জনের কৌশল করছে” উল্লেখ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’র মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসিস বৃহস্পতিবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, এই কৌশলের লক্ষ্য হলো চলতি বছরের শেষ নাগাদ জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ এবং ২০২২ সালের মাঝামাঝি ৭০ শতাংশ লোকের টিকাদান সম্পন্ন করা, এই লক্ষ্য অর্জনে আমাদের সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে।”
টেড্রোস বলেন, এই লক্ষ্য অর্জনে কমপক্ষে ১১ বিলিয়ন টিকার ডোজ প্রয়োজন হবে, এটি সরবরাহের সমস্যার পরিবর্তে এটি একটি বরাদ্দের সমস্যা।
তিনি বলেন, “বিশ্বব্যাপী টিকা উৎপাদন এখন প্রতি মাসে প্রায় ১.৫ বিলিয়ন ডোজ, আমাদের লক্ষ্য অর্জনের জন্য পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে, যদি সেগুলো সমানভাবে বিতরণ করা হয়, তাহলেই লক্ষ্য অর্জন সম্ভব।”
ডব্লিউএইচও জানায়, বিশ্বব্যাপী এখন পর্যন্ত ৬.৪ বিলিয়নের বেশি ভ্যাক্সিন ডোজ প্রদান করা হয়েছে এবং বিশ্বের প্রায় এক তৃতীয়াংশের বেশি জনসংখ্যা কোভিড-১৯ টিকা পেয়েছে। যদিও নিম্ন আয়ের দেশগুলো এক শতাংশের অর্ধেকের কম টিকা পেয়েছে। আফ্রিকায় পাঁচ শতাংশের কম লোকের টিকার পুরো ডোজ সম্পন্ন হয়েছে।
চলতি বছরের শুরুতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সব দেশের জন্য সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ জনসংখ্যার ১০ শতাংশ লোকের টিকাদান সম্পন্ন করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল, ৫৬টি দেশ এই লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি। এ-কারণে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টােনিও গুটেরেস সম্প্রতি নতুন কৌশল ঘোষণায় ডব্লিউএইচও-প্রধানকে উদ্বুদ্ধ করেন।