ঘরের মাঠ ক্যাম্প নিউতে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ৩-০ গোলে পরাজয় দিয়ে শুরু। এরপর পর্তুগালের বেনফিকার মাঠেও একই ব্যবধানে উড়ে গিয়েছিল বার্সেলোনা। টানা দুই পরাজয়ে ভীষণ চাপে পড়ে যাওয়া ক্যাটালান ক্লাবটি অবশেষে জয়ের স্বাদ পেলো ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে। ডায়নামো কিয়েভের বিপক্ষে দলটির এই স্বস্তির জয়ের নায়ক জেরার্ড পিকে।
বুধবার (২০ অক্টােবর) রাতে ইউরোপের সর্বোচ্চ ক্লাব আসরের 'ই' গ্রুপে ক্যাম্প নিউতে ১-০ গোলে জিতেছে রোনাল্ড কোমানের শিষ্যরা। প্রথমার্ধে অভিজ্ঞ স্প্যানিশ ডিফেন্ডার পিকের লক্ষ্যভেদই ব্যবধান গড়ে দেয় ম্যাচে। বিরতির আগে একাধিক সুযোগ হাতছাড়া না করলে তাঁদের জয়ের ব্যবধান হতে আরও বড় হতেই পারতো।
এদিন বল দখলে অনেক এগিয়ে থাকা বার্সা প্রতিপক্ষের গোলমুখে ১১টি শট নিয়ে লক্ষ্যে রাখতে পেরেছে তিনটি। অন্যদিকে, প্রতিপক্ষের জমাট রক্ষণভাগের বিপরীতে ইউক্রেনের ক্লাব কিয়েভ তিনটি শট নিতে পারলেও, একটিও ছিল না লক্ষ্যে। ফলে স্বাগতিক গোলরক্ষক মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেনকে গোলপোস্টের নিচে অনেকটা অলস সময়ই পার করতে হয়েছে।
সার্জিনো ডেস্ট দারুণ সুযোগ নষ্ট না করলে দ্বিতীয় মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো বার্সেলোনা। দূরের পোস্টে আলবার বিপজ্জনক ক্রসে গোলপোস্টের খুব কাছ থেকে তাঁর হেড চলে যায় পোস্টের উপর দিয়ে।
অষ্টাদশ মিনিটে ফের হতাশ হতে হয় স্প্যানিশ পরাশক্তিদের। ডাচ ফরোয়ার্ড মেম্ফিস ডিপাই নিখুঁত ক্রস ফেলেছিলেন ছয় গজের বক্সে; কিন্তু, ফাঁকায় থাকা স্বদেশি লুক ডি ইয়ং যে-হেড নিয়েছিলেন, তা লক্ষ্যেই ছিল না।
তিন মিনিট পরে গোলরক্ষক হেয়র্হি বুশ্চানের ভুলে গোল হজম করতে বসেছিল সফরকারী দল। তাঁর দুর্বল পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গাভি বল বাড়ান লুকের উদ্দেশ্যে। ২০ গজ দূর থেকে তাঁর নেওয়া শট কর্নার বিনিময়ে রক্ষা করেন বুশ্চান।
চার মিনিট পরে ডিপাইয়ের কর্নারে লুকের আরেকটি প্রচেষ্টা সফল হয়নি। ৩৬তম মিনিটে হতাশা বাড়ান ডেস্ট। আল্বার ক্রসে হিসাব-নিকাশ করে শট নেওয়ার সময়-সুযোগ থাকলেও গোলরক্ষক বরাবর বল মারেন তিনি; তা লুফে নিতে বেশি কষ্ট করতে হয়নি বুশ্চানের।
কিছুক্ষণের মধ্যেই অবশ্য গোলের উল্লাসে ফেটে পড়ে ক্যাম্প নিউ। স্বদেশি আল্বার মাপা ক্রসে দারুণ ভলিতে কিয়েভের জাল কাঁপান পিকে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এবারের আসরে এটাই তাঁর প্রথম গোল।
বিরতির পরে বেশি সুযোগ তৈরি করতে পারেনি কোনো দলই। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বার্সার বদলি নামা আন্সু ফাতির ৫৩তম মিনিটের প্রচেষ্টা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৭১তম মিনিটে আরেক বদলি ফিলিপ কটিনিয়োর ডি-বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শট চলে যায় পোস্টের উপর দিয়ে।
বাকি সময়ে আর কোনো গোল না হলে রেত গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে বার্সেলোনা।
তিন ম্যাচে প্রথম জয়ে তিন পয়েন্ট নিয়ে ক্লাবটি উঠে এসেছে গ্রুপের তিন নম্বরে। নিচে নেমে যাওয়া কিয়েভের পয়েন্ট এক। দুই ম্যাচ খেলে শীর্ষে থাকা বায়ার্নের অর্জন ছয় পয়েন্ট। সমান-সংখ্যক ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে বেনফিকার অবস্থান দুই।
