loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে টাইগ্রেসদের দল ঘোষণা

  • বার্সাকে কাঁদিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে পিএসজি

  • অ্যাটলেটিকোকে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারে ডর্টমুন্ড

  • রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পাঠ্যক্রম যুগোপযোগী কর তাগিদ দিলেন

  • ক্যানাডায় আর্টসেলের আটটি কনসার্ট

সপ্তাহব্যাপী ‘বাংলাদেশ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্মেলন’ উদ্বোধন করলেন শেখ হাসিনা


সপ্তাহব্যাপী ‘বাংলাদেশ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্মেলন’ উদ্বোধন করলেন শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকায় সপ্তাহব্যাপী আন্তর্জাতিক ‘বাংলাদেশ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্মেলন-২০২১’ উদ্বোধন করেছেন। সম্মেলনটি সারাবিশ্বের নীতি নির্ধারক, ব্যবসায়ী নেতা ও বিনিয়োগকারীদের একত্রিত করবে।

এই সম্মেলনের লক্ষ্য – কোভিড-১৯ মহামারিতে বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্তাদের কাছে বাংলাদেশের প্রস্তুতি প্রদর্শন করা। প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) সকালে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র (বিআইসিসি)-তে ভার্চুয়াল এই শীর্ষ সম্মেলন উদ্বোধন করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ঢাকা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এই ভার্চুয়াল সম্মেলনটি আয়োজন করেছে। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।

বিআইসিসি’র হল অফ ফেইমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান। ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ চেম্বার্স অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)-এর সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে যোগ দেন।

এর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এই শীর্ষ সম্মেলনটি পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) মডেলের একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ, যা উন্নত অর্থনীতির জন্য নতুন নীতি প্রণয়নে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে। তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ বিশেষ করে, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও অবকাঠামো উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে, যা বৈদেশিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আকর্ষণের ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণ-পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সম্ভাব্য কয়েকটি দেশের সঙ্গে এফটিএ ও পিটিএ ছাড়ের জন্য তাঁর মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ‘বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট সামিট-২০২১’ সারাবিশ্বের ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের সাথে সংযোগ স্থাপনের জন্য একটি দারুণ প্ল্যাটফর্ম হবে।

টিপু মুনশি বলেন, আমাদের রপ্তানি প্রধানত তৈরি পোষাকের উপর নির্ভরশীল এবং এই রপ্তানি-বাজার সম্প্রসারণ ও পণ্যের বৈচিত্র্য আনতে সম্ভাব্য অন্যান্য খাতে কাজ করার সময় এসেছে।

এই সম্মেলনে অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ সক্ষমতা ও সম্ভাবনার উপর ভিত্তিতে বিশেষ করে অবকাঠামো (ভৌত, লজিস্টিক্স ও জ্বালানি), আইটি/আইটিইএস ও ফিনটেক, চামড়াজাত পণ্য, ফার্মাসিউটিক্যাল্স, অটোমোটিভ ও হালকা প্রকৌশল, প্ল্যাস্টিক পণ্য, কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, পাট ও বস্ত্র, এফএমসিজি (ফাস্ট মুভিং ভোগ্যপণ্য) এবং খুচরা ব্যবসাসহ নয়টি খাত অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

সম্মেলনে বাংলাদেশসহ পাঁচটি মহাদেশের ৩৮টি দেশের ৫৫২টি কোম্পানি ৪৫০টি বিজনেস টু বিজনেস (বিটুবি) ম্যাচ মেকিং সেশনে অংশগ্রহণ করবে, যা বাংলাদেশে নতুন ব্যবসার সুযোগ অন্বেষণ করতে এবং বৈদেশিক বিনিয়োগ (এফডিআই) আকৃষ্ট করতে সহায়তা করবে। তাছাড়া, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ-সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে ছয়টি ওয়েবিনার আয়োজন করা হবে, যেখানে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ ও নীতিনির্ধারকরা অংশ্রগ্রহণ করে এ-বিষয়ে তাঁদের সুচিন্তিত মতামত দেবেন।

Loading...