loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • ক্যানাডায় আর্টসেলের আটটি কনসার্ট

  • নড়াইলে ১৫ দিনব্যাপী ‘সুলতান মেলা’ শুরু

  • চেল্সির ছয় গোলে জয়ের ম্যাচে পামার চার গোল

  • ক্যালিয়ারির সাথে ড্র করে ইন্টারের পয়েন্ট নষ্ট

  • বায়ার্ন রাজত্বের অবসান ঘটিয়ে লেভাকুজেনের বুন্দেসলিগা জয়

ডিজিটাল ডিভাইস রপ্তানি দেশের জন্য এক অভাবনীয় অর্জন: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী


ডিজিটাল ডিভাইস রপ্তানি দেশের জন্য এক অভাবনীয় অর্জন: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল  ডিভাইস উৎপাদন ও রপ্তানি বাংলাদেশের জন্য এক অভাবনীয় অর্জন। তিনি বলেন, ‘আমদানিকারক দেশ থেকে উৎপাদনকারী এবং রপ্তানিকারী দেশে বাংলাদেশের রূপান্তর জাতীয় জীবনে এক অভাবনীয় অর্জন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৫ সালের ৬ অগাস্ট ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদন ও রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠায় যে-স্বপ্ন জাতিকে দেখিয়েছিলেন – তা আজ পূরণ করতে আমরা সক্ষম হয়েছি।’

মোস্তাফা জব্বার বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর শেরেবাংলানগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিন দিনব্যাপী মেকার কমিউনিকেশন আয়োজিত ‘স্মার্টফোন ও ট্যাব মেলা’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ-কথা বলেন। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।

মন্ত্রী বলেন, সরকারের প্রযুক্তিবান্ধব নীতির ফলে দেশে বিশ্ব মানের ১৪টি মোবাইল কোম্পানি মোবাইল ফোন কারখানা স্থাপন করেছে এবং আরও চারটি কারখানা স্থাপন পাইপ লাইনে আছে। এরই ধারাবাহিকতায় নেপাল ও নাইজেরিয়াসহ বিশ্বের বহুদেশে ল্যাপটপ ও কম্পিউটার রপ্তানি করা হচ্ছে এবং আমেরিকায় ফাইভ জি মোবাইল ফোন বাংলাদেশ রপ্তানি করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে বাংলাদেশের এখন সোনালী সময় – এ-কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল রূপান্তর ও ডিজিটাল প্রযুক্তির বিকাশে সরকার সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতা প্রদানে বদ্ধপরিকর।

ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের অগ্রদূত মোস্তাফা জব্বার ফাইভ জি প্রযুক্তিতে বাংলাদেশের প্রবেশকে একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ  করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বে এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ-প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়ের দিকনির্দেশনায় ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে বাংলাদেশ বিশ্বের অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

তিনি ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরেন এবং এখাতে তাঁর দীর্ঘ ৩৫ বছরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বলেন, প্রযুক্তিতে ৩২৪ বছরের পশ্চাদপদতা অতিক্রমের যাত্রা শুরু করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এরই ধারাবাহিকতায় জ্ঞানভিত্তিক ডিজিটাল সাম্যসমাজ প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৮ বছরে বাংলাদেশকে এক অনন্য উচ্চতায় উপনীত করেছেন।

অন্যান্যের মধ্যে টেলিটক বাংলাদেশ লিমটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাহাব উদ্দিন, হুয়াওয়ে টেকনোলজিস’র চিফ অপারেটিং অফিসার তাওগোয়ানজিও, অপো বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড্যামন ইয়াং, ট্রানশন বাংলাদেশ’র সিইও রেজওয়ানুল হক, ভিভো বাংলাদেশ’র সেলস ডিরেক্টর শ্যারন ওয়েন, রিয়েলমি বাংলাদেশ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক টিম শাও, স্যামসাং ইন্ডিয়া ইলেকট্রনিকস লিমিটেড’র কান্ট্রি ম্যানেজার হোয়ানসাং উ, ডিএক্স গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও দেওয়ান কানন এবং মেলার আয়োজক প্রতিষ্ঠান মেকার কমিউনিকেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহম্মদ খান অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

বক্তাগণ বলেন, দেশের শতকরা ৮০ ভাগ স্মার্টফোনের চাহিদা স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত কারখানা থেকে তাঁরা মেটাতে সক্ষম হচ্ছেন। তাঁরা আশা করছেন, খুব সহসাই তা ৯০ ভাগে উন্নীত করা সম্ভব হবে এবং আগামীদিন ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ মোবাইল বিশ্ব বাজারে ছড়িয়ে যাবে।

এই মেলায় দেশে প্রথবারের মতো ফাইভ জি এক্সপিরিয়েন্স জোন করা হয়েছে। মোবাইল অপারেটর টেলিটকের পরিচালনায় ও হুয়াওয়ে টেকনোলোজিস বাংলাদেশের কারিগরি সহায়তায় এই জোনে এসে দর্শকরা সরাসরি ফাইভ জি অভিজ্ঞতা নিতে পারছেন। 

পরে, টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মেলায় বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেছেন।

Loading...