রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দিয়েছেন। তাঁদের নিয়োগের ব্যাপারে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ পৃথক দুইটি থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। সিইসি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল। এছাড়া, নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন – অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ বেগম রাশিদা সুলতানা, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবীব খান, অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর ও অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব আনিছুর রহমান। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগের লক্ষ্যে ১০ জনের নাম সুপারিশের জন্য গত ৫ ফেব্রুয়ারি ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করেন রাষ্ট্রপতি। সুপ্রিম কোর্টের অ্যাপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে এর প্রধান করা হয়।
যোগ্য ব্যক্তিদের নাম বাছাই করতে গত ১২ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে তিনটি বৈঠক করেন সার্চ কমিটি। এসব বৈঠকে অংশ নেওয়া বিশিষ্টজনরা নির্বাচন কমিশনার হিসেবে যোগ্য ব্যক্তিদের কিছু নাম প্রস্তাব করেন।
এর আগে, সার্চ কমিটির পক্ষ থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের এবং ব্যক্তি পর্যায়ে সবার কাছে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে যোগ্য ব্যক্তিদের নাম চাওয়া হয়। আওয়ামী লীগসহ অনেক রাজনৈতিক দল নাম পাঠায়। অনেকে ব্যক্তিগতভাবেও নাম পাঠান।
সার্চ কমিটির কাছে মোট ৩২২ জনের নাম জমা পড়ে। এরপর তাঁরা কয়েকটি বৈঠক করে ওই ৩২২ জন থেকে ১০ জনের নাম চূড়ান্ত করেন। ২৪ ফেব্রুয়ারি রাতে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে ১০ জনের এই তালিকা জমা দেন সার্চ কমিটির সদস্যরা।
উল্লেখ্য, এর আগের নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ গত ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়েছে। স্বাধীনতার পরে এবারই আইন অনুযায়ী প্রথম নির্বাচন কমিশন গঠিত হলো। এজন্য, গত ২৭ জানুয়ারি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২ জাতীয় সংসদে পাস হয়।