তথ্য ও যোগাযোগ-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, গত এক-দশকে দেশে স্টার্টআপ খাতে সাড়ে ৭০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি-বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে। দেশে বর্তমানে প্রায় ২২,৫০০ স্টার্টআপ রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারিভাবে স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড ও বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ড (বিগ)-এর আইডিয়া প্রকল্পের মাধ্যমে স্টার্টআপগুলোকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী বুধবার (১৬ মার্চ) আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারের বিসিসি মিলনায়তনে আইসিটি বিভাগের স্টার্টআপ বাংলাদেশে লিমিটেডের উদ্যোগে ‘শতবর্ষে শত আশা’ ক্যাম্পেইনের আওতায় দ্বিতীয় ধাপে স্টার্টআপদের বিনিয়োগ-সহযোগিতা প্রদান অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ-কথা বলেন। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।
অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক ড. মো. আব্দুল মান্নান, বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিংয়ের সভাপতি ওয়াহিদ শরিফ ও স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর সামি আহমেদ এই অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীকে স্মরণীয় করে রাখতে আইসিটি বিভাগ ‘শতবর্ষে শত আশা’ শীর্ষক ক্যাম্পেইনের উদ্যোগ গ্রহণ করে। এই উদ্যোগের লক্ষ্য হলো – ৫০টি স্টার্টআপে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ ও দেশে উদ্যোক্তা-সংস্কৃতি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা।
এরই অংশ হিসেবে বুধবার দ্বিতীয় ধাপে আটটি স্টার্টআপকে ১৭ কোটি টাকা মূলধন সহযোগিতা প্রদানের লক্ষ্যে বিনিয়োগ চুক্তি হয়েছে। বিনিয়োগকারী হিসেবে স্টার্টআপ বাংলাদেশ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামী আহমেদ এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সিইওরা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- হ্যালো টাস্ক, ১০ মিনিট্স স্কুল, আই ফারমার, ফ্রন্টিয়ার নিউট্রেশন, লুপ, যান্ত্রিক, সাটেল ও ট্রাক লাগবে। প্রথম ধাপে সাতটি স্টার্টআপকে ১৭ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে।
‘শতবর্ষে শত আশা’ ক্যাম্পেইন বৈশ্বিক অর্থনীতিতে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে উল্লেখ করে অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই উদ্যোগ দেশে একটি জাতীয় উদ্যোক্তা-প্লাটফর্ম তৈরি করবে এবং নতুন নতুন উদ্ভাবন বাস্তবায়নে গতি সঞ্চালন করবে। এর ফলে সম্ভাবনাময় কোনো উদ্যোগই আর ঝরে পড়বে না। কারণ, উদ্যোগ বাস্তবায়নের আর্থিক সঙ্কট ঘুচবে। পাশাপাশি কর্মসংস্থানেরও সুযোগ সৃষ্টি হবে।
পলক বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মোকাবেলায় ৫৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষায়িত ল্যাব, ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভ্যুলেশন সেন্টার, ৪৯৪টি উপজেলায় জয় ডিজিটাল সার্ভিস সেন্টার, ৩০০ স্কুল অফ ফিউচার ও শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অফ ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে।
তিনি এ-সময় এই আশাবাদও ব্যক্ত করেন যে, তরুণ প্রজন্মের উদ্যোক্তারাই ভবিষ্যতে জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি ও উদ্ভাবনী বাংলাদেশ গড়ে তুলবে।
