অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশ্লি বার্টি মাত্র ২৫ বছর বয়সে পেশাদার টেনিস থেকে আচমকা অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। নারীদের এককের বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বরে থাকা এই তারকা খুশি মনেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর আরও কিছু স্বপ্ন রয়েছে, যেগুলোর পেছনে ছোটার জন্য টেনিসকে বিদায় বলতে হলো।
তিনটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী বার্টি বুধবার (২৩ মার্চ) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সটাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি দিয়েছেন বিদায়ী বার্তা, ‘আজকের দিনটি খুবই কঠিন আর আবেগপূর্ণ। কারণ, আমি টেনিস থেকে অবসরের ঘোষণা দিচ্ছি। বার্টির কাছে মনে হয়েছে এটাই উপযুক্ত সময়। ‘আমি খুবই খুশি। আমি তৈরি ছিলাম (বিদায়ের ঘোষণা দেওয়ার জন্য)। আর এই মুহূর্তে আমি মন থেকে জানি যে, আমার জন্য এটাই সঠিক।’
ভিডিওতে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়া বার্টিকে তাঁর বন্ধু ও সাবেক খেলোয়াড় ক্যাসি ডেলাকোয়ার কাছে সাক্ষাৎকার দিতে দেখা যায়। বার্টি জানিয়েছেন, মানসিক ও শারীরিক কোনো দিক থেকেই আর টেনিস খেলার অবস্থায় নেই তিনি।
‘(টেনিসের) শীর্ষ স্তরে নিজেকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য যে-শারীরিক প্রেরণা, মানসিক চাহিদা এবং প্রায় যা যা লাগে, সেসব আর আমার মধ্যে নেই। আমি শুধু জানি যে, আমি সব কিছু খরচ করে ফেলেছি এবং শারীরিকভাবে আমার আর কিছু দেওয়ার নেই।’
২০১৯ সালে ফরাসি ওপেন দিয়ে প্রথমবারের মতো গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতেন বার্টি। এরপর থেকে নারীদের র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছিলেন তিনি। গত বছর উইম্বলডন জয় করেন বার্টি। ৪১ বছর পরে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে উইম্বলডনে নারী এককে চ্যাম্পিয়ন হন তিনি।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতে সাড়া ফেলে দেন বার্টি। তাঁর হাত ধরে অবসান হয় অস্ট্রেলিয়ার দীর্ঘ অপেক্ষার। ১৯৭৮ সালের পরে পুরুষ ও নারীদের একক মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জেতা প্রথম ঘরের খেলোয়াড় তিনি।
ফর্মের তুঙ্গে থাকাকালে এত কম বয়সে অবসর নেওয়াটা তাঁর ভক্ত-সমর্থকদের জন্য বিস্ময়কর ও হতাশাজনক। তবে, বার্টি বলেছেন, নিজের অর্জনে তিনি সন্তুষ্ট, ‘টেনিস নামের সুন্দর খেলাটির জন্য আমি আমার সব কিছু নিংড়ে দিয়েছি; আর সেটা নিয়ে আমি খুশি। আমার কাছে এটাই সাফল্য। আমি জানি, লোকেরা হয়তো এটা বুঝবে না; সেটা ঠিক আছে। আমার কাছে সেটা গ্রহণযোগ্য বলে মনে হয়।’