loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে টাইগ্রেসদের দল ঘোষণা

  • বার্সাকে কাঁদিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে পিএসজি

  • অ্যাটলেটিকোকে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারে ডর্টমুন্ড

  • রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পাঠ্যক্রম যুগোপযোগী কর তাগিদ দিলেন

  • ক্যানাডায় আর্টসেলের আটটি কনসার্ট

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান অনাস্থা ভোটে পরাজিত হয়ে ক্ষমতাচ্যুত


পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান অনাস্থা ভোটে পরাজিত হয়ে ক্ষমতাচ্যুত

দীর্ঘ নাটকীয়তার পরে পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে অনাস্থা ভোটে পরাজিত হয়েছেন ইমরান খান। এর মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারানোর পাশাপাশি পতন হলো তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, এমন পরিস্থিতিতে দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছেন বিরোধীদলীয় নেতা ও পাকিস্তান মুসলিম লীগ-এন (পিমএমএল-এন)-এর প্রধান শাহবাজ শরিফ। শাহবাজ শরিফ পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী পদে জাতীয় পরিষদে বিরোধীদলীয় জোটের প্রার্থী। আর্থিক দুরাবস্থা ও ভুল পররাষ্ট্রনীতির অভিযোগে ইমরানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল এই জোটের দলগুলোই। পাকিস্তানের ইতিহাসে ইমরানই প্রথম প্রধানমন্ত্রী – যিনি অনাস্থা ভোটে হেরে বিদায় নিলেন। সোমবার নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেওয়া হতে পারে। 

পাকিস্তানের ইতিহাসে অনাস্থা ভোটে হেরে যাওয়া প্রথম প্রধানমন্ত্রী হলেন ইমরান খান। শনিবার (৯ এপ্রিল) মধ্যরাতে অনাস্থা ভোটে পরাজিত হয়েছেন তিনি। দেশটির ইতিহাসে অনাস্থা ভোটে হেরে কোনো প্রধানমন্ত্রী পদ হারাননি। অনাস্থা ভোটের অধিবেশনটি পরিচালনা করেন সাবেক স্পিকার আয়াজ সাদিক। বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাবে ইমরানের বিরুদ্ধে ভোট পড়েছে ১৭৪টি। প্রস্তাব পাসের জন্য দরকার ছিল ১৭২ ভোট। খবর আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের।

পাকিস্তানের ২২তম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ইমরান খান। তাঁর পতনের মধ্য দিয়ে দেশটির নির্বাচিত একজন প্রধানমন্ত্রীও তাঁর মেয়াদ পূর্ণ করতে পারলেন না।

ইমরানের অনাস্থা ভোটের অধিবেশনটি শনিবার চার বার মূলতবি করা হয়েছিল। এদিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন শুরু হয়। কিন্তু অনাস্থা ভোটের আগে ইমরান খানের সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে সংসদের ভেতর তুমল হট্টগোলে জাতীয় পরিষদের স্পিকার সাময়িকভাবে অধিবেশন মুলতবি করেন।

এর দুই ঘণ্টা পর আবার অধিবেশন শুরু হয়। পরে দেওয়া হয় যোহরের নামাজের বিরতি। এরপর পুনরায় শুরু হলে আবারও হট্টগোলে বিরতিতে যান স্পিকার। পরে, দুই দফায় দেওয়া হয় ইফতার ও এশার নামাজের বিরতি। রাত সাড়ে নয়টায় তা আবার শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বিলম্বিত হয়। শেষ পর্যন্ত, পাকিস্তান সময় শনিবার রাত ১২টার ১০ মিনিট আগে অনাস্থা ভোট শুরু হয়।

গত ৩ এপ্রিল অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করে দেন জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি। পরে, প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেন প্রেসিডেন্ট। ওই দিন অনাস্থা প্রস্তাব খারিজের বৈধতা নিয়ে শুনানি গ্রহণ করেন সুপ্রিমকোর্ট। টানা পাঁচ দিনের দীর্ঘ শুনানি শেষে গত বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ ও জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিপক্ষে রায় দেন সর্বোচ্চ আদালত। শনিবার (৯ এপ্রিল) অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোট অনুষ্ঠানেরও নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্ট।

৬৯ বছর বয়সী সাবেক ক্রিকেট তারকা ইমরান খান ২০১৮ সালে ক্ষমতায় এসেছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে করোনা-অতিমারিতে বিপর্যস্ত অর্থনীতিকে সতেজ করা ও দুর্নীতিমুক্ত পাকিস্তান গড়তে ব্যর্থতার অভিযোগ করা হয়েছে।

অনাস্থা প্রস্তাবের ভোটকে ঘিরে দেশটির পার্লামেন্টের বাইরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে দাঙ্গা পুলিশ।

Loading...