বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও রোববার (১ মে) রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন মহান মে দিবস পালিত হয়েছে। শ্রমিক-মালিক সুসম্পর্ক নীতি আদর্শ বজায় রেখে বাংলাদেশের কলকারখানায় উৎপাদন ব্যবস্থা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করে রাজধানীতে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন নানা কর্মসূচি পালন করে।
এ-বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘শ্রমিক-মালিক একতা, উন্নয়নের নিশ্চয়তা’। এই উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো.আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষদের প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।
দিবসটি পালন উপলক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন সংস্থা ও দপ্তর কর্মসূচি সংক্ষিপ্তভাবে পালন করেছে।
মহান মে দিবস উপলক্ষ্যে রোববার সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং এর অধীনস্থ দপ্তর, অধিদপ্তর, সংস্থা ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন। শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ানের নেতৃত্বে এই শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এ-সময় শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব মো. এহছানে এলাহী, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি নুর কুতুব আলম মান্নানসহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও, বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন গুলো আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মানববন্ধনের আয়োজন করেছিল।
১ মে বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন। ১৮৮৬ সালের এই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটের শ্রমিকরা আট ঘণ্টা কাজের দাবীতে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। ওইদিন তাঁদের আত্মদানের মধ্যদিয়ে শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।