বাবা-মায়ের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। মানুষের শ্রদ্ধা-ভালোবাসা আর রাষ্ট্রীয় সম্মানে সিক্ত হয়ে সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে জানাজা শেষে তাঁকে দাফন করা হয়েছে। রোববার (১ মে) দুপুর তিনটার দিকে শহরের রায়নগর এলাকায় পারিবারিক গোরস্থানে বাবা অ্যাডভোকেট আবু আহমদ আবদুল হাফিজ এবং মা সৈয়দ শাহার বানু চৌধুরীর কবরের পাশে মুহিতকে সমাহিত করা হয়। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।
এর আগে দুপুরে সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে অনুষ্ঠিত জানাজার মানুষের ঢল নেমেছিল। পরে, মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় নগরীর রায়নগরে মুহিতের পারিবারিক গোরস্থানে। সেখানে দুপুর পৌনে তিনটায় দাফন সম্পন্ন হয়।
জানাজার আগে সাবেক অর্থমন্ত্রীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে স্মৃতিচারণ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান, সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক, উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ, হাবিবুর রহমান হাবিব, হাফিজ আহমদ মজুমদার, আব্দুল মজিদ। এ-সময় সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ আবুল মাল আবদুল মুহিতকে শেষ বিদায় জানান সিলেটবাসী। রোববার বেলা ১২টার দিকে প্রয়াত সাবেক অর্থমন্ত্রীর মরদেহ বিশেষ অ্যাম্বুলেন্সে করে শহিদ মিনারে আনার পরে সর্বস্তরের মানুষ ফুলেল শ্রদ্ধার মাধ্যমে তাঁকে বিদায় জানান।
শেষ যাত্রায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সহকর্মী, বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় সিক্ত হলেন এই নেতা।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মুহিতকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের জন্য সকাল থেকে সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ আসতে শুরু করেন। শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে কালো কাপড় দিয়ে বিশেষ মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়। দুপুর ১২টার দিকে কফিনবাহী অ্যাম্বুলেন্স এলে বিভিন্ন স্তরের মানুষ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
প্রথমেই সিলেট মহানগর পুলিশের একটি চৌকস দল ভাষাসৈনিক ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আবুল মাল আবদুল মুহিতের প্রতি রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শন করে। এরপর, প্রয়াতের প্রতি সম্মান দেখিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
মুহিত গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা ৫৬ মিনিটে রাজধানীর একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।