loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে টাইগ্রেসদের দল ঘোষণা

  • বার্সাকে কাঁদিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে পিএসজি

  • অ্যাটলেটিকোকে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারে ডর্টমুন্ড

  • রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পাঠ্যক্রম যুগোপযোগী কর তাগিদ দিলেন

  • ক্যানাডায় আর্টসেলের আটটি কনসার্ট

বাংলাদেশ করোনা মোকাবেলায় দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষে


বাংলাদেশ করোনা মোকাবেলায় দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষে

* সূচকে ৮০ পয়েন্ট নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ; নেপাল ষষ্ঠ স্থানে
* ২০২০ সালের ৮ মার্চ বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনাক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়

বাংলাদেশ করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারি মোকাবেলায় সারাবিশ্বে পঞ্চম স্থানে রয়েছে; আর দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আছে সবচেয়ে ওপরে। বৃহস্পতিবার (৫ মে) জাপানভিত্তিক প্রতিষ্ঠান নিক্কেই এশিয়ার ‘নিক্কেই কোভিড-১৯ রিকোভারি ইনডেস্ক’ শীর্ষক এক পরিসংখ্যানে এই চিত্র উঠে এসেছে।

বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে গত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ১২১টি দেশের কোভিড-১৯ মোকাবেলার পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে নিক্কেই এশিয়া। এতে বিশ্বের সবার ওপরে রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার। এরপর রয়েছে যথাক্রমে – সংযুক্ত আরব আমিরাত, কম্বোডিয়া ও রুয়ান্ডা।

নিক্কেই এশিয়া বলছে, করোনা-সংক্রমণ পরিস্থিতি মোকাবেলায় ব্যবস্থাপনা, করোনাপ্রতিরোধী টিকাদান এবং এ-সংক্রান্ত সামাজিক তৎপরতার ওপর ভিত্তি করে জরিপের মূল্যায়ন করা হয়েছে। সূচকে যে-দেশের অবস্থান যত ওপরে, করোনা মোকাবেলায় সে-দেশের অবস্থান তত ভালো হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

নিক্কেই এশিয়ার সূচকে ৮০ পয়েন্ট নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পরে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে নেপাল। ৭০ পয়েন্ট নিয়ে পাকিস্তানের অবস্থান ২৩তম। ৬৮ পয়েন্ট নিয়ে শ্রীলঙ্কার অবস্থান ৩১তম এবং ৬২.৫ পয়েন্ট নিয়ে ৭০তম অবস্থানে রয়েছে ভারত।

দেশে আরও ১০ জনের করোনা শনাক্ত

বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় [শুক্রবার (৬ মে) সকাল আটটা থেকে শনিবার (৭ মে) সকাল আটটা পর্যন্ত] করোনাক্রান্ত কারো মৃত্যু হয়নি। সরকারি হিসাবে, দেশে এ-পর্যন্ত করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ২৯,১২৭ জনের। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১০ জন। সব মিলিয়ে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৫২ হাজার ৭৭৬ জনে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর শনিবার বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ-তথ্য জানায়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ঢাকা মহানগরীসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২১৭ জন। ফলে, দেশে এ-পর্যন্ত মোট সুস্থ হলেন ১৮ লাখ ৯৭ হাজার ২৬৩ জন।

সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৭৯টি পরীক্ষাগারে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ২,৬৩৯টি এবং নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২,৬৫৬টি। এ-পর্যন্ত মোট নমুনা করা পরীক্ষা হয়েছে এক কোটি ৪০ লাখ সাত হাজার ২৪৮টি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ০.৩৮ শতাংশ। এ-পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩.৯৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার বর্তমান হার ৯৭.১৬ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর বর্তমান হার ১.৪৯ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দুই জন আইসোলেশনে (বিচ্ছিন্নকরণ) এসেছেন এবং আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে আটজন। আইসোলেশনে এ-পর্যন্ত এসেছেন চার লাখ ৪৩ হাজার ৬৯৯ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন চার লাখ ১৩ হাজার ৩৪৩ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে রয়েছেন ৩০,৩৫৬ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনাক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যু সংবাদ জানায়।

Loading...