loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • কুমিল্লা ইপিজেড-এ চামড়া কারখানা করবে চীনা প্রতিষ্ঠান

  • নারী এশিয়া কাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশের গ্রুপে শ্রীলংকা

  • অস্ট্রেলিয়ার কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো টাইগ্রেসরা

  • ১৯৭৫ সালের পর বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

  • প্রীতি ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও আর্জেন্টিনার জয়

সাংবাদিক, কবি ও গীতিকার কে জি মোস্তফা আর নেই


সাংবাদিক, কবি ও গীতিকার কে জি মোস্তফা আর নেই

বিশিষ্ট কবি, গীতিকার ও সাংবাদিক কে জি মোস্তফা (৮৪) আর নেই। রোববার (৮ মে) রাতে ঢাকায় নিজ বাসায় ইন্তেকাল করেছেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সোমবার (৯ মে) বাদ জোহর জাতীয় প্রেসক্লাবে কে জি মোস্তফার জানাজা হবে। এরপর আজিমপুর কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।

জাতীয় প্রেসক্লাবের স্থায়ী সদস্য ছিলেন কে জি মোস্তফা। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাসান হাফিজ ও সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।

কে জি মোস্তফার জন্ম ১৯৩৭ সালের ১ জুলাই নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।

গীতিকার হিসেবে বেশি পরিচিত হলেও কে জি মোস্তফা একজন সফল সাংবাদিক ও কলামিস্টও ছিলেন। প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, ১৯৫৮ সালে ‘দৈনিক ইত্তেহাদ’-এ শিক্ষানবিশ হিসেবে সাংবাদিকতায় হাতেখড়ি হয় তাঁর। ওই বছরেই ‘দৈনিক মজলুম’-এ সহ-সম্পাদক পদে নিয়োগ পান কে জি মোস্তফা। পত্রিকাটি বন্ধ হওয়ার আগপর্যন্ত সেটিতেই কাজ করেছেন তিনি। এরপর একটি বিরতি শেষে ১৯৬৮ সালে ‘সাপ্তাহিক জনতা’য় সহকারী সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন।

স্বাধীনতার পর কে জি মোস্তফা প্রথমে ‘দৈনিক গণকণ্ঠ’ ও পরে ‘দৈনিক স্বদেশ’-এ চিফ রিপোর্টারের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ‘দৈনিক জনপদ’-এ কূটনৈতিক প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করেছেন।

১৯৭৬ সালে কে জি মোস্তফা চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরে সহকারী সম্পাদক পদে যোগ দেন। পদোন্নতি পেয়ে প্রথমে সম্পাদক ও পরে সিনিয়র সম্পাদক পদে উন্নীত হন তিনি।

১৯৬০ সাল থেকে চলচ্চিত্র, রেডিও ও টেলিভিশনে কে জি মোস্তফার লেখা প্রচুর গান প্রচারিত হয়। তাঁর গানে উপমহাদেশের প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী তালাত মাহমুদসহ বাংলাদেশের খ্যাতিমান বেশিরভাগ শিল্পী কণ্ঠ দিয়েছেন।

ছাত্রজীবনেই বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও সাময়িকীতে তাঁর লেখা কবিতা প্রকাশিত হতে থাকে। একপর্যায়ে গান লিখতে শুরু করেন এবং তাঁর লেখা বেশ কিছু গান বেশ জনপ্রিয়তা পায়। তাঁর লেখা গানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে তালাত মাহমুদের কণ্ঠে ‘তোমারে লেগেছে এতো যে ভালো, চাঁদ বুঝি তা জানে’ এবং মাহমুদুন্নবীর কণ্ঠে ‘আয়নাতে ওই মুখ দেখবে যখন’। প্রথম গানটি এহতেশাম পরিচালিত ‘রাজধানীর বুকে’ ও দ্বিতীয় গানটি অশোক ঘোষ পরিচালিত ‘নাচের পুতুল’ সিনেমায় ব্যবহার করা হয়েছে। দুটি গানেরই সুরকার রবিন ঘোষ।

কে জি মোস্তফার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে – ‘কাছে থাকো ছুঁয়ে থাকো’, ‘উড়ন্ত রুমাল’, ‘চক্ষুহীন প্রজাপতি’, ‘সাতনরী প্রাণ’, ‘এক মুঠো ভালোবাসা’, ‘প্রেম শোনে না মানা’। তাঁর লেখা গল্পের বই ‘কোথায় চলেছি আমি’। এছাড়া, ‘শিশু তুমি যিশু’, ‘কন্যা তুমি অনন্যা’, ‘মজার ছড়া শিশুর পড়া’ নামে তিনটি ছড়ার বই রচনা করেছেন।

একসময় তিনি নাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালনার দিকেও ঝুঁকেছিলেন। সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন কয়েকটি ছবিতে।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পদক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সঙ্গীত বিভাগ পদক, ‘দেশবরেণ্য গীতিকার’ পদকসহ বেশ কিছু পদকে ভূষিত হয়েছেন তিনি।

Loading...