loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • মিলানকে হারিয়ে পাঁচ ম্যাচ আগেই ইন্টারের ২০তম শিরোপা জয়

  • লেভাকুজেনের ৪৫ ম্যাচে অপরাজিত থাকার রেকর্ড

  • ফুলহ্যামকে হারিয়ে শিরোপা লড়াইয়ে লিভারপুল

  • তাইওয়ানে আবারও ভূমিকম্পের আঘাত

  • প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ড সফরকালে পাঁচটি দলিল স্বাক্ষর ও বহুমুখী সহযোগিতার সম্ভাবনা

আট বছরের জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পেলেন ৮৫ ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব ও সংগঠক


আট বছরের জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পেলেন ৮৫ ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব ও সংগঠক

৮৫ জন কৃতি ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া সংগঠককে ক্রীড়াঙ্গনে গৌরবোজ্জ্বল অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে আট বছরের (২০১৩ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত) ‘জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার’ প্রদান করা হয়েছে। রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বুধবার (১১ মে) সকালে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর পক্ষে কৃতি ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া সংগঠকদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, এমপি। ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন – যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, এমপি এবং যুব ও ক্রীড়া সচিব মেজবাহ উদ্দিন। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।

সভাপতির বক্তব্যে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজ বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের জন্য এক বিশেষ আনন্দঘন দিন। এটি এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। দেশের ক্রীড়াঙ্গনে অনবদ্য ও গৌরবোজ্জ্বল অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৮৫ জন গুণী খেলোয়াড় ও ক্রীড়া সংগঠককে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রদান করতে পেরে আমরা অভিভূত। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, সম্মানজনক রাষ্ট্রীয় এই স্বীকৃতি আপনাদেরকে  ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়নে কাজ করতে আরও উৎসাহিত করবে।’ এ-সময় পুরস্কার বিজয়ীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান প্রতিমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে ২০১৩ সালের জন্য ১১ জন, ২০১৪ সালের জন্য ১০ জন, ২০১৫ সালের জন্য ১১ জন, ২০১৬ সালের জন্য ১৩ জন, ২০১৭ সালের জন্য ১১ জন, ২০১৮ সালের জন্য ১০ জন,  ২০১৯ সালের জন্য ১১ জন এবং ২০২০ সালের জন্য আট জনসহ সর্বমোট ৮৫ জন ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া সংগঠকের হাতে তুলে দেওয়া হয় জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার।

পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেকে পেয়েছেন একটি আঠারো ক্যারেট মানের ২৫ গ্রাম ওজনের স্বর্ণপদক, এক লাখ টাকার চেক এবং একটি সম্মাননাপত্র। পুরস্কার বিতরণ শেষে অনুষ্ঠিত হয়েছে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্তদের তালিকা:

২০২০ সাল (আট জন)
মুক্তিযোদ্ধা শহীদ লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল (মরণোত্তর) – খেলোয়াড় ও সংগঠক,  মুক্তিযোদ্ধা আফজালুর রহমান সিনহা (মরণোত্তর) – সংগঠক (ক্রিকেট), নাজমুল আবেদীন ফাহিম – সংগঠক (ক্রিকেট কোচ), মো. মহসীন – খেলোয়াড় (ফুটবল), মো. মাহাবুবুল এহছান রানা – খেলোয়াড় (হকি), গ্র্যান্ডমাস্টার মোল্লা আব্দুল্লাহ আল রাকিব – খেলোয়াড় (দাবা), বেগম মোছা. নিলুফা ইয়াসমিন – খেলোয়াড় (অ্যাথলেটিক্স), আব্দুল কাদের স্মরণ – খেলোয়াড় (ব্যাডমিন্টন – বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী)।

২০১৯ সাল (১১ জন)
তানভীর মাজহার তান্না – সংগঠক (ফুটবল), অরুণ চন্দ্র চাকমা (মরণোত্তর) – (অ্যাথলেটিক্স), লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. মইনুল ইসলাম – সংগঠক (আরচারি), দিপু রায় চৌধুরী – খেলোয়াড় (ক্রিকেট), কাজী নাবিল আহমেদ – সংগঠক (ফুটবল), ইন্তেখাবুল হামিদ – সংগঠক (শ্যুটিং), বেগম মাহফুজা রহমান তানিয়া – খেলোয়াড় (সাঁতার), বেগম ফারহানা সুলতানা শীলা – খেলোয়াড় (সাইক্লিং), টুটুল কুমার নাগ – খেলোয়াড় (হকি), মাহবুবুর রব – খেলোয়াড় (ব্যাডমিন্টন), বেগম সাদিয়া আক্তার উর্মি – খেলোয়াড়  (টেবিল টেনিস – বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী)।

২০১৮ সাল (১০জন)
ফরিদা আক্তার বেগম – সংগঠক (অ্যাথলেটিক্স), জ্যোৎস্না আফরোজ – খেলোয়াড় (অ্যাথলেটিক্স), মো. রফিক উল্যা আখতার মিলন – সংগঠক (অ্যাথলেটিক্স), কাজী আনোয়ার হোসেন – খেলোয়াড় (ফুটবল), মো. শওকত আলী খান জাহাঙ্গীর – সংগঠক (ফুটবল), মীর রবিউজ্জামান – খেলোয়াড় (জিমন্যাস্টিক্স), মোহাম্মদ আলমগীর আলম – খেলোয়াড় (হকি), তৈয়েব হাসান সামছুজ্জামান – সংগঠক (রেফারি), নিবেদিতা দাস – খেলোয়াড় (সাঁতার), মাহমুদুল ইসলাম রানা – সংগঠক (তায়কোয়ান্ডো)।

২০১৭ সাল (১১ জন)
শাহরিয়া সুলতানা – খেলোয়াড় (ভারোত্তোলন), আওলাদ হোসেন – সংগঠক (জুডো, কারাতে ও মার্শাল আর্ট), ওয়াসিফ আলী – খেলোয়াড় (বাস্কেটবল), শেখ বশির আহমেদ মামুন – সংগঠক (জিমন্যাস্টিক্স), মো. সেলিম মিয়া – খেলোয়াড় (সাঁতার), হাজী মো. খোরশেদ আলম – সংগঠক (রোইং), আবু ইউসুফ – খেলোয়াড় (ফুটবল), এ. টি. এম. শামসুল আলম – সংগঠক (টেবিল টেনিস), রহিমা খানম যুথী – খেলোয়াড় (অ্যাথলেটিক্স), আসাদুজ্জামান কোহিনুর – সংগঠক (হ্যান্ডবল), মো. মাহবুব হারুন – খেলোয়াড় (হকি)।

২০১৬ সাল (১৩ জন)
মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান – খেলোয়াড় (সাঁতার), লেঃ কমান্ডার এ কে সরকার (অবঃ) – সংগঠক (বাস্কেটবল), বেগম সুলতানা পারভীন লাভলী – খেলোয়াড় (অ্যাথলেটিক্স), মুক্তিযোদ্ধা শামীম-আল-মামুন - সংগঠক (ভলিবল), আরিফ খান জয় – খেলোয়াড় (ফুটবল), খন্দকার রকিবুল ইসলাম – খেলোয়াড় (ফুটবল), মোহাম্মদ জালাল ইউনুস – সংগঠক (ক্রিকেট), মো. তোফাজ্জল হোসেন – সংগঠক (অ্যাথলেটিক্স), কাজল দত্ত – খেলোয়াড় (ভরোত্তোলন), মো. তাবিউর রহমান পালোয়ান – সংগঠক (কুস্তি), জেড. আলম (মরণোত্তর) – সংগঠক (ফুটবল ), আবদুর রাজ্জাক সোনা মিয়া (মরণোত্তর) – খেলোয়াড় (হকি), কাজী হাবিবুল বাশার – খেলোয়াড় (ক্রিকেট)।

২০১৫ সাল (১১ জন)
অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম – সংগঠক (ক্যারম), মো. আহমেদুর রহমান – খেলোয়াড় ও সংগঠক (জিমন্যাস্টিক্স), আহমেদ সাজ্জাদুল আলম – সংগঠক (ক্রিকেট), খাজা রহমতউল্লাহ (মরণোত্তর) – খেলোয়াড় (হকি), মাহ্তাবুর রহমান বুলবুল – খেলোয়াড় ও সংগঠক (বাস্কেটবল), বেগম ফারহাদ জেসমিন লিটি – খেলোয়াড় (অ্যাথলেটিক্স), বরুণ বিকাশ দেওয়ান – খেলোয়াড় (ফুটবল), রেহানা জামান – খেলোয়াড় (সাঁতার), মো. জুয়েল রানা – খেলোয়াড় (ফুটবল), বেগম জেসমিন আক্তার – খেলোয়াড় (ভারোত্তোলন, কারাতে ও তায়কোয়ান্ডো), বেগম শিউলী আক্তার সাথী – খেলোয়াড় (ব্যাডমিন্টন)।

২০১৪ সাল (১০ জন)
শামসুল বারী (মরণোত্তর) – খেলোয়াড় ও সংগঠক (হকি), এনায়েত হোসেন সিরাজ – সংগঠক (ক্রিকেট), মো. ফজলুর রহমান বাবুল – সংগঠক (ফুটবল), সৈয়দ শাহেদ রেজা – সংগঠক (হ্যান্ডবল), মো. ইমতিয়াজ সুলতান জনি – খেলোয়াড় (ফুটবল), মোহাম্মদ এহসান নামিম – খেলোয়াড় (হকি), বেগম কামরুন নেছা – খেলোয়াড় (অ্যাথলেটিক্স), মো. সামছুল ইসলাম – খেলোয়াড় (সাঁতার), মিউরেল গোমেজ – খেলোয়াড় (অ্যাথলেটিক্স), মো. জোবায়েদুর রহমান রানা – খেলোয়াড় (ব্যাডমিন্টন)।

২০১৩ সাল (১১ জন)
মুজাফ্ফর হোসেন পল্টু – খেলোয়াড় ও সংগঠক (ক্রিকেট), কাজী মাহতাব উদ্দিন আহমেদ – সংগঠক (হ্যান্ডবল), উইং কমান্ডার (অব.) মহিউদ্দিন আহমেদ – সংগঠক (ভারোত্তোলন), সামশুল হক চৌধুরী – সংগঠক (ফুটবল), মুক্তিযোদ্ধা মো. শাহ্জাহান মিজি – খেলোয়াড় (সাঁতার), রোকেয়া বেগম খুকী – খেলোয়াড় (অ্যাথলেটিক্স), বেগম মুনিরা মোর্শেদ খান হেলেন – খেলোয়াড় (টেবিল টেনিস), মো. ইলিয়াস হোসেন – খেলোয়াড় (ফুটবল), বেগম জ্যোৎস্না আক্তার – খেলোয়াড় (অ্যাথলেটিক্স), ভোলালাল চৌহান – খেলোয়াড় (স্কোয়াশ), খালেদ মাহমুদ সুজন – খেলোয়াড় (ক্রিকেট)।

Loading...