loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • কুমিল্লা ইপিজেড-এ চামড়া কারখানা করবে চীনা প্রতিষ্ঠান

  • নারী এশিয়া কাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশের গ্রুপে শ্রীলংকা

  • অস্ট্রেলিয়ার কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো টাইগ্রেসরা

  • ১৯৭৫ সালের পর বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

  • প্রীতি ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও আর্জেন্টিনার জয়

উত্তর কোরিয়ায় ‘প্রথম’ করোনা শনাক্ত, লকডাউন ঘোষণা


উত্তর কোরিয়ায় ‘প্রথম’ করোনা শনাক্ত, লকডাউন ঘোষণা

উত্তর কোরিয়া প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্তের কথা স্বীকার করেছে। বৃহস্পতিবার (১২ মে) বিষয়টি স্বীকার করার পাশাপাশি একে ‘গুরুতর জাতীয় জরুরি অবস্থা’ আখ্যায়িত করা হয়েছে এবং দেশজুড়ে কঠোর লকডাউনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজধানী পিয়ংইয়ং-এ করোনার অমিক্রন ধরন শনাক্ত হয়েছে বলে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে। খবর আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের।

এই প্রথম করোনা শনাক্তের কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করলো দেশটি। এতে দেশটিতে সম্ভাব্য বড় ধরনের সংকটের বিষয়টি নজরে এলো। উত্তর কোরিয়া বিদেশি সাহায্য নিয়ে টিকাদান কর্মসূচি চালাতে রাজি হয়নি। বিশ্বে করোনা-অতিমারি শুরুর পর থেকে দেশটি সীমান্ত বন্ধ করে রেখেছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)’র তথ্য অনুযায়ী, মার্চ নাগাদ উত্তর কোরিয়ায় কোনো করোনা-রোগী শনাক্ত হয়নি। দেশটির কোনো নাগরিককে টিকা দেওয়ার বিষয়েও কোনো দাপ্তরিক তথ্য নেই।

রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ বলেছে, ‘রাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুতর জরুরি ঘটনাটি ঘটে গেছে। আমাদের জরুরি মহামারি প্রতিরোধ লড়াইয়ে একটা ধাক্কা লেগেছে। আমরা ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে দুই বছর তিন মাস এই মহামারি ঠেকিয়ে রেখেছিলাম।’

প্রতিবেদনে বলা হয়, জ্বরে ভুগছেন – এমন লোকজনের নমুনা সংগ্রহ করা হয় গত ৮ মে। এতে অমিক্রন ধরনের একটি উপধরন শনাক্ত হয়। এই উপধরন বিএ.২ হিসেবেও পরিচিত। তবে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ও সংক্রমণের উৎস সম্পর্কে এতে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি।

করোনার প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় বৃহস্পতিবার ওয়ার্কার্স পার্টির সভায় সভাপতিত্ব করেন উত্তর কোরিয় নেতা কিম জং-উন। এরপরই করোনা শনাক্ত হওয়ার খবর প্রকাশ করা হয়। করোনার বিস্তার ঠেকাতে শহর ও পৌর এলাকাগুলোকে ‘কঠোর লকডাউন’ মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছেন কিম। জরুরি চিকিৎসা-সরঞ্জাম সরবরাহ করা হবে বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এর আগে কখনো একজন করোনা রোগীও শনাক্ত হওয়ার কথা নিশ্চিত করেনি উত্তর কোরিয়া। অথচ, প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়া ও চীনে করোনার অমিক্রন ধরন ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। তাই, উত্তর কোরিয়া এত দিন কোভিডমুক্ত ছিল, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র।

২০২০ সালের শুরুতে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে বাকি বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন উত্তর কোরিয়া দেশটিতে কঠোর কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থা চালু করে। সীমান্তও বন্ধ করে দেওয়া হয়। ২০১৭ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় পালিয়ে যান এক ব্যক্তি। তিনি দেশে ফেরার পর উপসর্গ দেখা গেলে দুই কোরিয়ার সীমান্তবর্তী কায়েসংয়ে তিন সপ্তাহের জন্য কিম জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন এবং লকডাউন আরোপ করেন।

ডব্লিউএইচও’র সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ৩১ মার্চ পর্যন্ত উত্তর কোরিয়ার ২ কোটি ৪৭ লাখের বেশি মানুষের মধ্যে ৬৪,২০৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। তাঁদের কারোরই করোনা শনাক্ত হয়নি।

Loading...