কথাসাহিত্যিক শওকত ওসমানের ২৪তম মৃত্যুবার্ষিকী শনিবার (১৪ মে)। শওকত ওসমান একাধারে নাটক, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, রম্যরচনা, রাজনৈতিক লেখা ও শিশু-কিশোর সাহিত্য রচনা করেছেন। ১৯৯৮ সালের এদিনে তিনি ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।
মুক্তচিন্তার বুদ্ধিজীবী হিসাবে সমধিক পরিচিত শওকত ওসমানের মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে শনিবার বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ইস্পেন্দিয়া জাহেদ হাসান মিলনায়তনে আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়েছে। এতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।
শওকত ওসমান বিংশ শতাব্দীর বাংলাদেশের একজন স্বনামখ্যাত কথাশিল্পী। জন্মসূত্রে তাঁর নাম শেখ আজিজুর রহমান। তিনি ১৯১৭ সালের ২ জানুয়ারি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের চুঁচুড়াতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ‘ক্রীতদাসের হাসি’ তাঁর প্রসিদ্ধ এক উপন্যাস। ১৯৬২ সালে তিনি লিখেছিলেন তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত এই উপন্যাসটি, যেটি প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৬৩ সালে।
‘ক্রীতদাসের হাসি’ ছিল মূলত: আইয়ুব খানের স্বৈরাচার, বর্বর শাসন ও বাক স্বাধীনতার হরণের জঘন্য নিয়মের বিরুদ্ধে এক শক্ত চপেটাঘাত। মূলত: স্বৈরশাসক আইয়ুুব খানের শাসন-ব্যবস্থাকে ব্যঙ্গ করে এই উপন্যাস লেখা হয়েছিল। সে-বছরই বাংলা সাহিত্যে অসামান্য অবদানের জন্য বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছেন শওকত ওসমান।
১৯৬৫ সালে শওকত ওসমান অনুবাদ করেন ‘স্পেনের ছোটগল্প’। এর দুই বছর পরে প্রকাশিত হয় তাঁর অসামান্য উপন্যাস ‘সমাগম’। তাঁর কয়েক মাস পরে প্রকাশিত হয় আরেকটি উপন্যাস ‘চৌরসন্ধি’।
শওকত ওসমানের লেখা অন্যান্য উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হলো – ‘রাজা উপাখ্যান’, ‘জাহান্নম হইতে বিদায়’, ‘দুই সৈনিক, ‘নেকড়ে অরণ্য’, ‘পতঙ্গ পিঞ্জর’, ‘আর্তনাদ’, ‘রাজপুরুষ’, ‘জলাঙ্গী’, ‘বনী আদম’ ও ‘রাজসাক্ষী’।
একুশে পদক, বাংলা একাডেমি, স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত শওকত ওসমানের লেখায় যেমন উঠে এসেছে তৎকালীন সমাজ বাস্তবতা, অনাচার-অবিচার, ধর্মান্ধতা, কুসংস্কার, প্রতিবাদের ভাষ্য – ঠিক তেমনি এসেছে জীবনবোধ, সময়ের সঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার অনন্ত অনুপ্রেরণা।
