ফাইল ছবি
সারাদেশে শান্তি শোভাযাত্রা , বৌদ্ধ মঠ ও মন্দিরগুলোতে প্রদীপ প্রজ্জ্বালন, পূজা ও প্রার্থনার মধ্য দিয়ে রোববার (১৫ মে) বৌদ্ধ সম্প্রদায় তাঁদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বুদ্ধপূর্ণিমা উদযাপন করেছে। ‘জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক’ – এই অহিংস বাণীর প্রচারক গৌতম বুদ্ধের আবির্ভাব, বোধিপ্রাপ্তি আর মহাপরিনির্বাণ – এই স্মৃতি বিজড়িত দিনটিকে বুদ্ধ পূর্ণিমা হিসাবে পালন করেন বুদ্ধ-ভক্তরা।
রাষ্ট্রীয় ছুটির এই দিনটির শুরুতে শান্তি শোভাযাত্রা ও বৌদ্ধ মঠ ও মন্দিরগুলোতে দিনব্যাপী প্রদীপ প্রজ্জ্বালন, পূজা ও প্রার্থনার আয়োজন করেছিল গৌতম বুদ্ধের আদর্শ অনুসারী বৌদ্ধ সম্প্রদায়। এ-উপলক্ষে রাজধানীসহ দেশজুড়ে বৌদ্ধ বিহারগুলোতে বুদ্ধ পূজা, প্রদীপ প্রজ্জ্বালন, শান্তি শোভাযাত্রা, ধর্মীয় আলোচনা সভা, প্রভাতফেরি, সমবেত প্রার্থনা, আলোচনা সভা ও বুদ্ধ পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া, মানবজাতির সর্বাঙ্গীণ শান্তি ও মঙ্গল কামনায় বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ বুধ্ধিস্ট ফেডরেশন রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় আর্ন্তজাতিক বৌদ্ধবিহারে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। সকাল ছয়টায় জাতীয় ও ধর্মীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়।
গৌতম বুদ্ধের শুভজন্ম, বোধিজ্ঞান ও নির্বাণ লাভ – এই ত্রিস্মৃতি বিজড়িত বৈশাখী পূর্ণিমা বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। বিশ্বের সকল বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে এটি বুদ্ধপূর্ণিমা নামে পরিচিত।
বৌদ্ধ ধর্ম মতে, আজ থেকে আড়াই হাজার বছর আগে এই দিনে মহামতি গৌতম বুদ্ধ আবির্ভূত হয়েছিলেন। তাঁর জন্ম, বোধিলাভ ও মহাপ্রয়াণ বৈশাখী পূর্ণিমার দিনে হয়েছিল বলে এর (বৈশাখী পূর্ণিমা) অপর নাম দেওয়া হয় ‘বুদ্ধ পূর্ণিমা’।