loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • শেষ মুহূর্তের গোলে ইতালিয়ান কাপের ফাইনালে ইউভেন্টাস

  • আর্সেনালের কাছে পাঁচ গোলে উড়িয়ে গেলো চেল্সি

  • হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

  • বেপজা অর্থনৈতিক জোনে চীনা কোম্পানির ১৯.৯৭ মি. ডলার বিনিয়োগ

  • কাতারের আমিরের ঢাকা ত্যাগ

অ্যান্থনি আলবানিজ অস্ট্রেলিয়ার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী


অ্যান্থনি আলবানিজ অস্ট্রেলিয়ার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী

লেবার পার্টি অস্ট্রেলিয়ায় প্রায় এক দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো নির্বাচিত হয়েছে। লেবার-নেতা অ্যান্থনি আলবানিজ দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন বলে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।

অ্যান্থনি আলবানিজ ২৫ বছর যাবত সংসদ সদস্য হচ্ছেন। তিনি ২০১৯ সালে লেবার পার্টির চেয়ারম্যান হন। আলবানিজ ১৯৯৬ সালে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৭ সালে লেবার পার্টি যখন ক্ষমতায় এসেছিল – তখন অ্যান্থনি আলবানিজ সড়ক ও অবকাঠামো মন্ত্রী হন। 

আলবানিজ অস্ট্রেলিয়ায় বিনামূল্যে চিকিৎসা-সেবার পক্ষে থাকায় আরও বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় লেবার পার্টি নেতা অ্যান্থনি নরম্যান আলবানিজকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি আজ তাঁকে এই অভিনন্দন জানিয়ে স্বচ্ছ্ব জ্বালানি, সামুদ্রিক নিরাপত্তা, সমুদ্র শাসন এবং ব্লু ইকোনমি বিষয়ে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।

প্রধানমন্ত্রী অভিনন্দনপত্রে বাংলাদেশ সরকার ও জনগণ এবং ব্যাক্তিগতভাবে অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ায় লেবার পার্টির নেতা অ্যান্থনি নরম্যান আলবানিজকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস উইং থেকে দেওয়া এক সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী অভিনন্দনপত্রে গভীর বিশ্বাসের সাথে বলেন, লেবার পার্টির এই বিজয় অ্যান্থনি নরম্যান আলবানিজের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়াকে অর্ন্তভূক্তি, শান্তি ও সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যেতে তাঁর ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে দেশটির জনগণের আস্থারই প্রতিফলন।

শেখ হাসিনা পুর্নব্যক্ত করেন, বাণিজ্য, অর্থনীতি, সংস্কৃতি ও শিক্ষার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর মাধ্যমে দু’দেশের সম্পর্ক গভীর হয়েছে এবং সময়ের সাথে বন্ধন আরও জোরদার হয়েছে। স্বচ্ছ্ব জ্বালানি, সামুদ্রিক নিরাপত্তা, সমুদ্রশাসন এবং ব্লু ইকোনমি বিষয়ে সহযোগিতায় অপার সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি কৃতজ্ঞতার সাথে বাংলাদেশের স্বাধীনতায় অস্ট্রেলিয়ার দ্বিপাক্ষিক সমর্থন এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকে উদার সহায়তার কথা উল্লেখ করেন।

দু’দেশে বন্ধুত্বের ৫০ বছর উদযাপনের প্রেক্ষাপটে তিনি বলেন, আমরা পারস্পরিক স্বার্থ, পরিপূরকতা এবং আন্তঃনির্ভরতার নতুন ক্ষেত্রগুলো খুঁজে বের করবে, যাতে আমাদের সম্পর্কগুলো মূল অংশীদারিত্বের পর্যায়ে উন্নীত হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুই দেশ একসাথে ভারত মহাসাগর অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বাড়াতে এবং নিয়মভিত্তিক আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা রক্ষা করতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী অভিনন্দন বার্তায় বলেন, আপনি সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরে আসবেন বলে আমি আন্তরিকভাবে আশা করছি। অ্যান্থনি ঢাকা সফরে এলে সেটি হবে ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ সফর করা সেদেশের  প্রধানমন্ত্রী গফ হুইটলামের পরে অস্ট্রেলিয়ার কোনো প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশে প্রথম সফর।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, এই ধরনের উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা দু’দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও দৃঢ় এবং দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ ও সমসাময়িক আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সমস্যাগুলির বিষয়ে একটি সাধারণ বোঝাপড়া তৈরিতে সাহায্য করবে।

Loading...