loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • লিভারপুল হারলো এভারটনের কাছে, ম্যানইউ-এর শেফিল্ড-বাধা অতিক্রম

  • শুরু হলো স্বাধীনতা দিবস জিমন্যাস্টিক্স প্রতিযোগিতা ২০২৪

  • জাভি এই মৌসুম শেষেই বার্সা ছাড়বেন না

  • নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি

  • ইতালিয়ান কাপের ফাইনালে ইউভেন্টাস

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে কবি নজরুলকে বাংলাদেশে আনার সুবর্ণজয়ন্তী পালিত


নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে কবি নজরুলকে বাংলাদেশে আনার সুবর্ণজয়ন্তী পালিত

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক কবি কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশে নিয়ে আসার সুবর্ণ জয়ন্তী (৫০ বছর) উপলক্ষ্যে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে ত্রিশালের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়। মঙ্গলবার (২৪ মে) দিনব্যাপী জমকালো আয়োজনের মধ্যদিয়ে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় এই কর্মসূচি পালন করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ-তথ্য জানানো হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কবি কাজী নজরুল ইসলামকে ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি বাংলাদেশে নিয়ে এসে তাঁকে জাতীয় কবির মর্যাদা দেন।

এ-উপলক্ষ্যে কর্মসূচির মধ্যে ছিল – আলোচনা সভা, স্থানীয় ও আন্তর্জাাতিক সেমিনার, স্মারক ডাক টিকেট প্রকাশ, নজরুল পদক প্রদান, বইমেলা ও চারুকলা প্রদর্শনী। 

এদিন সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে বঙ্গবন্ধু ও কাজী নজরুল ইসলামের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর, বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘গাহি সাম্যের গান’ মঞ্চে তিন দিনব্যাপী ১২৩তম নজরুল জন্মজয়ন্তী উদ্বোধনী পর্ব ও বঙ্গবন্ধুর উদ্যোগে নজরুলের বাংলাদেশে আগমনের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মোস্তাফা জব্বার। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, ট্রেজারার অধ্যাপক মো. জালাল উদ্দিন ও শিল্পী সুজিত মোস্তফা। সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর।

ত্রিশালের নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় সারা বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে পথ নির্দেশক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার প্রতাশ্যা জানিয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ইট ফেলা থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত এর সঙ্গে আমার যে-সম্পর্ক, সে-সম্পর্কের সূত্রধরে আমার অন্তরের মধ্যে এই বিশ্ববিদ্যালয়। এই প্রতিষ্ঠান আমাদের স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান।

নজরুলের জীবনের নানা দিকের কথা তুলে ধরে সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, এই দিনটি যদি আমাদের ইতিহাসে না থাকতো, দিনপঞ্জিকায় না থাকতো, তাহলে হয়তো আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে আমাদের এই মাটিতে সমাধিস্থ করতে পারতাম না। আমাদের এই মাটিতে যে-তাঁকে দীর্ঘ কয়েক বছর রাখার সুযোগ পেয়েছিলাম, সেই সুযোগ হতে বঞ্চিত হতাম।

দুপুরে ‘গাহি সাম্যের গান’ মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘বঙ্গবন্ধুর উদ্যোগে নজরুলের বাংলাদেশে আগমনের সুবর্ণজয়ন্তী’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনার। বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদারের সভাপতিত্বে ‘বাঙালিত্বের স্বপ্নবাহক নজরুল ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরের গবেষক ও প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি মফিদুল হক; ‘বাংলাদেশে নজরুল, নজরুলের বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আনোয়ার সাঈদ এবং ‘পশ্চিমবঙ্গে নজরুলের অবস্থান (১৯৪২-১৯৭২)’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কলকাতার ডায়মন্ড হার্বার উইমেন্স ইউনিভার্সিটির কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তপন মন্ডল।

সেমিনারে আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইয়াসমীন আরা লেখা। এরপরে, সংগীত, নৃত্য-নাটক ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী করা হয়।

Loading...