loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • কুমিল্লা ইপিজেড-এ চামড়া কারখানা করবে চীনা প্রতিষ্ঠান

  • নারী এশিয়া কাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশের গ্রুপে শ্রীলংকা

  • অস্ট্রেলিয়ার কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো টাইগ্রেসরা

  • ১৯৭৫ সালের পর বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

  • প্রীতি ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও আর্জেন্টিনার জয়

সাবেক নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার আর নেই


সাবেক নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার আর নেই

সাবেক নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার ইন্তেকাল করেছেন। তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বুধবার (২৪ অগাস্ট) রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

মাহবুব তালুকদারের বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই কন্যা, এক পুত্র সন্তানসহ অসংখ্য বন্ধুবান্ধব ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর তিন সন্তানের মধ্যে বড় মেয়ে ডা. আইরিন মাহবুব ঢাকায় বসবাস করছেন। বাকী দুই সন্তানের একজন কানাডায় ও একজন আমেরিকায় থাকেন।

মাহবুব তালুকদার ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি  থেকে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর মৃত্যুতে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন এবং নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের পক্ষ  থেকে শোক প্রকাশ করা হয়েছে এবং শোক-সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করা হয়েছে। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।

মাহবুব তালুকদার ১৯৪২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে তিনি দৈনিক ইত্তেফাকের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ছিলেন। তিনি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন ও মুজিব নগর সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের চাকুরিতে যোগ দেন। এ-সময় তিনি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সংগেও যুক্ত ছিলেন। ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি আবু সাঈদ চৌধুরী তাঁকে উপসচিবের পদমর্যাদায় রাষ্ট্রপতির স্পেশাল অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেন। রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সময়ে তিনি তাঁর জনসংযোগ কর্মকর্তা ছিলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রপতি হওয়ার পরে মাহবুব তালুকদার তাঁর সহকারী প্রেস সচিব (উপসচিব) এর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ সংসদ সচিবালয়ে অতিরিক্ত সচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

মাহবুব তালুকদার ঢাকা জগন্নাথ কলেজ, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)-এর স্থাপত্য বিভাগ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে শিক্ষকতাও করেছেন।

তিনি একজন বিশিষ্ট সৃজনশীল লেখক। কবিতা, গল্প, উপন্যাস, স্মৃতিকথা, ভ্রমণকাহিনী মিলিয়ে তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা চল্লিশটি। তিনি ২০১২ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।

Loading...