loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে টাইগ্রেসদের দল ঘোষণা

  • বার্সাকে কাঁদিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে পিএসজি

  • অ্যাটলেটিকোকে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারে ডর্টমুন্ড

  • রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পাঠ্যক্রম যুগোপযোগী কর তাগিদ দিলেন

  • ক্যানাডায় আর্টসেলের আটটি কনসার্ট

জকোভিচ না থাকায় নাদালের চোখ ২৩তম গ্র্যান্ড স্ল্যামে


জকোভিচ না থাকায় নাদালের চোখ ২৩তম গ্র্যান্ড স্ল্যামে

রাফায়েল নাদালের সামনে এখন ক্যারিয়ারের পঞ্চম ইউএস ওপেন ও সব মিলিয়ে ২৩তম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের সুষ্পষ্ট লক্ষ্য। আর এই লক্ষ্যে দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী সার্বিয়ান তারকা নোভাক জকোভিচ এবার আর বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারবেন না। কেননা, করোনার টিকা দিতে অস্বীকৃতি জানানো জকোভিচ নিউ ইয়র্কে প্রবেশে বিধিনিষেধের নিয়মে ইতোমধ্যে টুর্নামেন্ট থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। খবর আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের।

নাদালের ইউএস ওপেনে অভিষেক হয়েছিল ১৯ বছর আগে। এরপর ইনজুরি-আক্রান্ত ক্যারিয়ারে ৩৬ বছর বয়সী এই স্প্যানিশ তারকা ২০১০, ২০১৩, ২০১৭ ও ২০১৯ সালে জিতেছেন গ্র্যান্ড স্ল্যাম শিরোপা। ২০১৯ সালই ছিল নাদালের সর্বশেষ টুর্নামেন্ট। ইনজুরির কারণে এবারো অবশ্য ফ্লাশিং মিডোতে দুই সপ্তাহের ব্যস্ত সময়টা শেষ পর্যন্ত সফলভাবে কাটবে কি-না – তা নিয়ে শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।

নাদাল পেটের পেশির ইনজুরির কারণে উইম্বলডনের সেমিফাইনালে নিক কিরিওসের বিপক্ষে ওয়াকওভার দিতে বাধ্য হয়েছিলেন। তারপর থেকে কোর্টের বাইরেই ছিলেন। এ-মাসের শুরুতে সিনসিনাতি মাস্টার্সে কোর্টে ফিরলেও প্রথম রাউন্ডেই বোর্না কোরিচের কাছে পরাজিত হয়ে বিদায় নেন। ইউএস ওপেনের আগে গত দুই মাসে এই একটি মাত্র ম্যাচ খেলেছেন নাদাল।

ইউএস ওপেনে খেলতে এসে নাদাল স্বীকার করেছেন, সিনসিনাতিতে ইনজুরির মাত্রা যেন বেড়ে না যায়, সেজন্য তিনি বেশ সতর্ক ছিলেন। কার্যত ইউএস ওপেনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে তিনি এই টুর্নামেন্টে খেলেছেন। 

এ-সম্পর্কে নাদাল বলেন, ‘সিনসিনাতি মাস্টার্সে আমি কার্যত নিজের ফিটনেস পরখ করতেই মাঠে নেমেছিলাম। অনুশীলনেও নিজেকে স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করেছি। কোনো ধরনের কঠিন ওয়ার্ক আউট গত কয়েক দিনে করিনি। সিনসিনাতির ম্যাচটিতে নিজের শরীরের ওপর কোনো ধরনের চাপ প্রয়োগ করিনি। বিশেষ করে, সার্ভিসে কোনো ধরনের জোর দেইনি। আশা করছি, ইউএস ওপেনের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে সক্ষম হয়েছি; এই মুহূর্তে শুধুমাত্র এটুকুই বলতে পারি। তবে, সার্ভিসের উপর বিশেষ যত্ন নিয়েছি।’

নাদাল গত জুনে ক্যারিয়ারের চতুর্দশ ফ্রেঞ্চ ওপেন শিরোপা জয় করেছেন। তবে তিনি পুরাে টুর্নামেন্টেই ব্যথানাশক ইঞ্জেকশন দিয়ে কোর্টে নেমেছিলেন। এবারের ইউএস ওপেন জিততে পারলে নিজের গ্র্যান্ড স্ল্যামের রেকর্ড বৃদ্ধির পাশাপাশি বাড়তি প্রাপ্তি হিসেবে র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থানটাও নিশ্চিত হবে তাঁর। তিনি ২০১৯ সালের ফাইনালে দানিল মেদভেদেভকে পাঁচ সেটের লড়াইয়ে পরাজিত করে শিরোপা জিতেছিলেন। এবার নাদালের সামনে সুযোগ এই মেদভেদেভের কাছ থেকেই শীর্ষস্থানটি ছিনিয়ে নেওয়ার।

নাদাল যখন নিউ ইয়র্কে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত, সে-সময় তাঁর দীর্ঘ সময়ের প্রতিদ্বন্দ্বী জকোভিচ ইউরোপেই অবস্থান করছেন। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কোভিড-নীতির কারণে শেষ মুহূর্তে নাম প্রত্যাহারে বাধ্য হয়েছে এই সার্বিয়ান তারকা। ভ্যাক্সিন না নেওয়ার কারণে অবশ্য এ-বছর অস্ট্রেলিয়ান ওপেনসহ বেশ কয়েকটি মাস্টার্স টুর্নমেন্টেও খেলা হয়নি জকোভিচের। তিনি ক্যারিয়ারের তিন ইউএস ওপেন শিরোপার সর্বশেষটি জিতেছিলেন ২০১৮ সালে। ৩৫ বছর বয়সী জকোভিচের ২০১৫-১৬ সালের পরে প্রথমবারের মতো এক ক্যালেন্ডার বছরে চারটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল ২০২১ সালে ইউএস ওপেনের ফাইনালে মেদভেদেভের কাছে পরাজিত হয়ে। 

গত মাসে সপ্তম উইম্বলডন শিরোপা ঘরে তোলার পরে আর কোর্টে নামা হয়নি সাবেক এই সার্বিয়ান নাম্বার ওয়ানের। এই জয়ের মাধ্যমে তিনি ক্যারিয়ারের একবিংশ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন।

জকোভিচের এবারের না খেলাটা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে নাদাল বলেছেন, এই বিষয়টি অবশ্যই অস্বস্তির। এটা একইসাথে সমর্থক, টুর্নামেন্ট আয়োজক কমিটি, অন্যান্য খেলোয়াড়ের জন্য হতাশার। কারণ, যেকোনো টুর্নমেন্টেই সবাই সম্ভাব্য সেরা খেলোয়াড়দের কোর্টে দেখতে চায়।

ইনজুরির কারণে এবারের আসরেও খেলতে পারছেন না বিশ্বের আরেক শীর্ষ তারকা রজার ফেদেরার। নাদালের ফিটনেস ও জকোভিচের অনুপস্থিতিতে সাম্প্রতিক সময়ে পুরুষদের বিভিন্ন টুর্নামেন্টে অন্যান্যদের সামনে সুযোগ এসেছে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণের। মারিন সিলিচ, স্ট্যান ওয়ারিঙ্কা, ডোমিনিক টিম ও মেদভেদেভ – এঁদের প্রত্যেকের সামনেই সুযোগ আছে ২০১৪ সালের পরে ‘বিগ থ্রির’ বাইরে গিয়ে ইউএস ওপেনের শিরোপা জয়ের তালিকায় নিজেদের নাম লেখানোর। বিশেষ করে, মেদভেদেভ এবার নিজেকে দারুণভাবে প্রস্তুত করেই কোর্টে নামছেন। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের কারণে উইম্বলডনে সকল রাশিয়ান খেলোয়াড়ের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা ছিল। যে-কারণে, অন্যান্যদের সাথে মেদভেদেভেরও উইম্বলডনে খেলা হয়নি। অল ইংল্যান্ড ক্লাবে খেলা না হলেও ২৬ বছর বয়সী মেদভেদেভ লস ক্যাবোসে হার্ড কোর্ট শিরোপা জিতে ইউএস ওপেনের প্রস্তুতিটা ভালোভাবেই সেরেছেন।

বিশ্বের দুই নম্বর খেলোয়াড় ও ২০২০ সালের রানার-আপ আলেক্সান্দাার স্পেরেভ ইনজুরির কারণে এবার খেলতে পারছেন না। তবে, চতুর্থ র‌্যাঙ্কধারী ও ২০২১ সালের কোয়ার্টার ফাইনালিস্ট তরুণ কার্লোস আলকারাজ মাত্র ১৯ বছর বয়সে প্রথমবারের মতো ক্যারিয়ারে গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের স্বপ্নে বিভোর রয়েছেন। আলকারাজ বলেছেন, ‘গত বছরের তুলনায় নিজেকে শক্তিশালী ও আরও বেশি প্রস্তুত করে এখানে এসেছি। এ-বছর বেশ কিছু শীর্ষ খেলোয়াড়ের বিপক্ষে আমি দীর্ঘ ও কঠিন ম্যাচ খেলেছি। যে-কারণে আমার কাছে মনে হচ্ছে – এ বছর আমি আরও বেশি প্রস্তুত।’

গত বছরের সেমিফাইনালিস্ট ফেলিক্স অগার-আলিয়াসিমে ছাড়া র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ ১০ খেলোয়াড়ের নিউ ইয়র্কে তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে। এর মধ্যে, কাসপার রুড, ক্যামেরুন নোরি ও হুবার্ট হারকাজের এখনো ইউএস ওপেনের দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠা হয়নি।

Loading...