loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • লিভারপুল হারলো এভারটনের কাছে, ম্যানইউ-এর শেফিল্ড-বাধা অতিক্রম

  • শুরু হলো স্বাধীনতা দিবস জিমন্যাস্টিক্স প্রতিযোগিতা ২০২৪

  • জাভি এই মৌসুম শেষেই বার্সা ছাড়বেন না

  • নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি

  • ইতালিয়ান কাপের ফাইনালে ইউভেন্টাস

বীর মুক্তিযোদ্ধা-সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী আর নেই


বীর মুক্তিযোদ্ধা-সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী আর নেই

মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা, সালথা ও সদরপুর) আসনের সংসদ সদস্য, জাতীয় সংসদের উপনেতা ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী আর নেই। রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১১টা ৪০ মিনিটে ঢাকা সিএমএইচ-এ চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।

বার্ধক্যজনিত সমস্যার কারণে গত শুক্রবার  তাঁকে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এ ভর্তি করা হয়েছিল।

সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক জানিয়েছেন। এছাড়া, জাতীয় সংসদের স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার ও সংসদ-সদস্যসহ দলীয় নেতারা শোক জানিয়েছেন। 

প্রবীণ এই রাজনীতিবিদের মৃত্যুতে রাজনৈতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা রাতেই হাসপাতালে ছুটে যান।

জানা গেছে, সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর প্রথম নামাজে জানাজা সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় হবে। এরপর বাদজোহর তাঁর নির্বাচনি এলাকা নগরকান্দায় হবে দ্বিতীয় জানাজা। বাদআসর রাজধানীর বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।

সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ১৯৩৫ সালের ৮ মে মাগুরা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। পিতা সৈয়দ শাহ হামিদ উল্লাহ এবং মাতা সৈয়দা আছিয়া খাতুন। তিনি স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তাঁর স্বামী রাজনীতিবিদ এবং সমাজকর্মী গোলাম আকবর চৌধুরী (২০১৫ সালের নভেম্বরে প্রয়াত)।

১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পরে আওয়ামী লীগে বিপর্যয় নেমে এসেছিল। সাজেদা চৌধুরী সেই সংকটময় মুহূর্তে দলকে সংগঠিত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ১৯৭৬ সালে আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। ১৯৮৬ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত দলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি। ১৯৯২ থেকে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নির্বাচিত হয়ে আসছেন। এর আগে, ১৯৬৯ থেকে ৭৫ পর্যন্ত সাজেদা চৌধুরী মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

সাজেদা চৌধুরী একাধিবার জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিজয়ের পর সাজেদা চৌধুরীকে জাতীয় সংসদের উপনেতা করা হয়। এরপর, দশম ও একাদশ সংসদেও তিনি উপনেতার দায়িত্ব পান।

তিনি ১৯৭৪ সালে গ্রামীণ উন্নয়ন ও শিক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য ইউনেস্কো ফেলোশিপপ্রাপ্ত হন। একই সময়ে তিনি বাংলাদেশ গার্ল-গাইড অ্যাসোসিয়েশনের জাতীয় কমিশনার হিসাবে সর্বোচ্চ সম্মানসূচক সনদ সিলভার এলিফ্যান্ট পদক লাভ করেন। ২০০০ সালে তিনি আমেরিকান বায়োগ্রাফিক্যাল ইনস্টিটিউট কর্তৃক ওমেন অফ দি ইয়ার নির্বাচিত হন। 

মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য ২০১০ সালে সাজেদা চৌধুরী স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।

Loading...