সাফ উইমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপে ‘এ’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়েই সেমিফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ দল। কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালায় বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশের সিনিয়র নারী ফুটবল দল ভারতের বিপক্ষে এই প্রথমবারের মতো জয়ের স্বাদ পেলো।
সেই ২০১০ সালে কক্সবাজারে হওয়া প্রথম সাফ থেকে শুরু করে সিনিয়র পর্যায়ে গত পাঁচটি আসরে ভারতকে কখনো হারাতে পারেনি বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। কাঠমান্ডুতে বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) এক যুগের সেই অপেক্ষার অবসান হলো। সিরাত জাহান স্বপ্নার দুই গোলসহ বাংলাদেশ ৩-০ গোলে পরাজিত করেছে ভারতকে। এই জয়ের গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই সেমিফাইনালে নাম লিখিয়েছে সাবিনা খাতুনের দল।
ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের নারী দলের এমন আধিপত্য এর আগে দেখা যায়নি। এদিন তাঁরা ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আক্রমণে আক্রমণে কোণঠাসা করে রেখেছিলেন ভারতীয় নারীদের। গোল হতে পারতো সপ্তম মিনিটেই। সান্জিদা আক্তারের ক্রসে সিরাত হেডে বল জালে ঠেলেছিলেন; কিন্তু তার আগে গোলরক্ষককে ফাউলের বাঁশি বাজিয়েছেন রেফারি।
যাহােক, বাংলাদেশকে গোল পেতে আর খুব বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি। সাবিনার কাছ থেকে বল পেয়ে কৃষ্ণারানী সরকার থ্রু পাস বাড়ান বক্সে, সিরাত গোলরক্ষের পাশ দিয়ে সেই বল জালে ঠেলে দেন (১-০)।
ভারতের বিপক্ষে এর আগে কোনো ম্যাচে লিড নিতে না পারা বাংলাদেশ এই গোলের পরে আরো আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে। সিরাতের সঙ্গে দেওয়া-নেওয়া করে ৩৪ মিনিটে কৃষ্ণাই বল জালে পাঠিয়েছেন।
বাংলাদেশের আক্রমণ সামলাতে ডিফেন্ডার জুলিকি শানের পরিবর্তে মার্গারেট কাস্টানহাকে মাঠে পাঠায় ভারত। যাহােক, মণিকা চাকমারা বিরতিতে যান ২-০-তে এগিয়ে থেকেই।
বাংলাদেশ বিরতি থেকে ফিরে ভারতকে ম্যাচে ফিরতে না দিয়ে উল্টো জয় নিশ্চিত করতে আরও মরিয়া ছিল। সাবিনার থ্রু পাসে সিরাত গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে বল জালে ঠেলে দিলে জয় অনেকটাই মুঠোয় চলে আসে।
বাকি সময়ে একইভাবে ভারতীয়দের আর কোনো সুযোগ না দিয়ে সেই ঐতিহাসিক জয় অর্জন করে বাংলাদেশ।
গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় বাংলাদেশ সেমিফাইনালে শক্তিশালী নেপালকেও এড়াতে পারলো। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে রুপনা চাকমা-শিউলি আজিম-মারিয়া মান্ডারা খেলবেন ভুটানের বিপক্ষে।