loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে টাইগ্রেসদের দল ঘোষণা

  • বার্সাকে কাঁদিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে পিএসজি

  • অ্যাটলেটিকোকে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারে ডর্টমুন্ড

  • রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পাঠ্যক্রম যুগোপযোগী কর তাগিদ দিলেন

  • ক্যানাডায় আর্টসেলের আটটি কনসার্ট

অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে টি-২০ সিরিজ জিতলো ভারত


অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে টি-২০ সিরিজ জিতলো ভারত

ভারতের জয়ের জন্য শেষ ওভারে দরকার ছিল ১১ রান। ড্যানিয়েল স্যামসকে ছক্কা হাঁকিয়ে ভিরাট কোহলি নিলেন বিদায়। পরের দুই বলে এলো সিঙ্গেল। ক্রিকেটের দুই পরাশক্তির লড়াইয়ে তখন টানটান উত্তেজনা। পঞ্চম বল হার্দিক পান্ডিয়ার ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় মাঠের বাইরে। আর এতেই হলো ফয়সালা। রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসলো ভারত। অস্ট্রেলিয়াকে তিন ম্যাচের সিরিজে ২-১ ব্যবধানে হারালো দলটি।

হায়দ্রাবাদে রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) অঘোষিত ফাইনালে রূপ নেওয়া তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে ছয় উইকেটে জিতেছেন রোহিত শর্মারা। অজিদের ছুঁড়ে দেওয়া ১৮৭ রানের বড় লক্ষ্য তাঁরা পেরিয়ে গেছেন মাত্র এক বল বাকি থাকতে!

ভারতের জয়ের ভিত গড়ে দেন সূর্যকুমার যাদব। তিনি পাঁচটি করে চার ও ছয়ে খেলেছেন ৩৬ বলে ৬৯ রানের বিস্ফোরক ইনিংস। তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দেওয়া কোহলি করেছেন ৬৩ রান। ৪৮ বলের ইনিংসে তিনি মেরেছেন তিনটি চার ও চার ছক্কা। হার্দিক দুইটি চার ও এক ছয়ে ১৬ বলে ২৫ রান করে স্বাগতিকদের জিতিয়ে অপরাজিত থাকেন।

এদিন টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা অস্ট্রেলিয়ার হয়ে শুরুতেই জ্বলে ওঠেন ওপেনার ক্যামেরন গ্রিন; দ্রুত রান আনতে থাকেন তিনি। অন্যপ্রান্তে, অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চের ভুমিকা ছিল শুধুই দর্শকের। তাঁকে বিদায় করে ভারতকে প্রথম সাফল্য এনে দেন বাঁহাতি স্পিনার অক্ষর প্যাটেল। ফলে, ভেঙে যায় ২১ বলে ৪৪ রানের উদ্বোধনী জুটি।

গ্রিন ফিফটি স্পর্শ করেন ১৯ বলে; তিন এরপর অবশ্য ক্রিজে টিকতে পারেননি। ভুবনেশ্বর কুমারের বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন লোকেশ রাহুলের হাতে। তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ৫২ রান। মাত্র ২১ বলের সেই ইনিংসে ছিল সাতটি চার ও তিনটি ছক্কা।

অসাধারণ পাওয়ার প্লের পরে খেই হারিয়ে ফেলে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া। স্টিভেন স্মিথ লেগ স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহালের বলে স্টাম্পড হন। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল কাটা পড়েন রান আউটে। এরপর ইনিংস মেরামতের কাজে লাগেন জন ইংলিস ও টিম ডেভিড। পঞ্চম উইকেটে ২৪ বলে ৩১ রানের জুটি গড়েন এই দুইজন। তবে, চতুর্দশ ওভারে অক্ষরের দুই শিকারে ফের বাড়ে চাপ। ২২ বলে ২৪ করে সাজঘরের পথে ধরেন ইংলিস। অভিজ্ঞ ম্যাথু ওয়েড বিদায় নেন ফিরতি ক্যাচ দিয়ে।

১১৭ রানে ছয় উইকেট হারানো অজিরা ঘুরে দাঁড়িয়ে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পায় টিম ডেভিডের কল্যাণে। ২৭ বলে ৫৪ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেন তিনি। এই সিরিজের আগে সিঙ্গাপুরের প্রতিনিধিত্ব করা ব্যাটার মেরেছেন দুই চার ও চার ছক্কা। ফলে, সপ্তম উইকেট জুটিতে আসে ৩৪ বলে ৬৮ রান। স্যাম্স অপরাজিত ছিলেন ২০ বলে ২৮ রানে।

লক্ষ্য তাড়ায় ৩০ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারায় ভারত। স্যামসের বলে রাহুল আউট হন উইকেটরক্ষক ওয়েডের অসাধারণ ক্যাচে। অধিনায়ক রোহিতকে ডানা মেলতে দেননি প্যাট কামিন্স। দমে না গিয়ে উল্টো পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন সূর্যকুমার। অন্যপ্রান্তে কোহলি করেছেন দায়িত্বশীল ব্যাটিং।

তাঁদের তৃতীয় উইকেটে এসেছে ৬২ বলে ১০৪ রানের জুটি। ২৯ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন সূর্যকুমার। বড় শট খেলতে গিয়ে লং-অনে ফিঞ্চের হাতে ধরা পড়লে থেমেছে তাঁর ঝড়ে-ব্যাটিং। এরপর, কোহলি ও পান্ডিয়া মিলে ভারতকে নিয়ে যান জয়ের কাছে। তাঁরা গড়েছেন ৩২ বলে ৪৮ রানের খুবই গুরুত্বপূর্ণ এক জুটি। কোহলি ফিরলেও ম্যাচ শেষ করে মাঠ ছাড়েন হার্দিক।

Loading...