loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • কুমিল্লা ইপিজেড-এ চামড়া কারখানা করবে চীনা প্রতিষ্ঠান

  • নারী এশিয়া কাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশের গ্রুপে শ্রীলংকা

  • অস্ট্রেলিয়ার কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো টাইগ্রেসরা

  • ১৯৭৫ সালের পর বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

  • প্রীতি ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও আর্জেন্টিনার জয়

আরব আমিরাতের বিপক্ষে টাইগারদের ঘাম ঝরানো জয়


আরব আমিরাতের বিপক্ষে টাইগারদের ঘাম ঝরানো জয়

সংক্ষিপ্ত স্কোর

বাংলাদেশ: ১৫৮/৫, ২০ ওভার (আফিফ ৭৭*, সোহান ৩৫*; মিয়াপ্পন ২/৩৩)
সংযুক্ত আরব আমিরাত: ১৫১/১০, ১৯.৪ ওভার (সুরি ৩৯, আয়ান ২৫; মিরাজ ৩/১৭)
ফলাফল: বাংলাদেশ সাত রানে জয়ী

জিম্বাবুয়ের কাছে সিরিজ পরাজয়ের পরে এশিয়া কাপে চরম ব্যর্থতা; ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে ক্রান্তিকাল অতিক্রম বাংলাদেশ। অবশেষে এলাে এক জয়। দুবাইয়ে রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে আরব আমিরাতকে সাত রানে হারিয়েছে তরুণদের নিয়ে গঠিত বাংলাদেশ দল; যদিও ম্যাচটি জিততে যথেষ্ট ঘাম ঝরাতে হয়েছে। আফিফ হোসেনের দারুণ ব্যাটিং আর মেহেদি মিরাজের ঘূর্ণিজাদু এই ম্যাচের বড় প্রাপ্তি।

দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রান তাড়ায় নেমে ২৭ রানে আরব আমিরাতের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে। রান-আউট হয়ে ফেরেন ১৫ বলে ১৫ করা মুহাম্মদ ওয়াসিম। অপর ওপেনার চিরাগ সুরি এবং আরিয়ান লাকার ব্যাটে দলটি এগোতে থাকে; পাওয়ারপ্লেতে আসে ৪৩ রান। ২২ বলে ৩৯ রানের এই চমৎকার জুটি ভাঙে চিরাগ সুরির বিদায়ে। মেহেদি মিরাজের বলে সোহানের দারুণ স্টাম্পিংয়ে ইরেন ২৪ বলে ৭ চারে ৩৯ রান করা সুরি। আমিরাতের তৃতীয় উইকেটেরও পতন ঘটে মিরাজের ঘূর্ণিতে। ১০ ওভারে দলটির সংগ্রহ ছিল তিন উইকেটে ৭৯।

পরের ওভারে বাংলাদেশের চতুর্থ সাফল্যেও মিরাজের দারুণ অবদান ছিল। মুস্তাফিজের বলে রিজওয়ানের (৫) ক্যাচ চমৎকার ডাইভে তিনি তালুবন্দি করেন। এরপর থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে স্বাগতিক দল। অবশ্য, মারকুটে ব্যাটিংয়ে রান উঠছিল ঠিকই। শেষ ওভারে তাঁদের প্রয়োজন ছিল ১১ রান। শরীফুলের করা দ্বিতীয় বলে সহজ ক্যাচ ছাড়েন সাইফউদ্দিন। পরের বলেই ১৭ বলে ২৫ করা আয়ান খানের ক্যাচ নেন মোসাদ্দেক হোসেন। এর পরের বলে ফের উইকেট; এবার আর ক্যাচ নিতে ভুল করেননি সাইফউদ্দিন। ১৫১ রানে অল-আউট হয় আমিরাত। বাংলাদেশ পায় সাত রানের জয়।

শরীফুল ইসলাম ও মেহেদি মিরাজ শিকার করছেন তিনটি করে উইকেট। মুস্তাফিজ ৩১ রানে পেয়েছেন দুইটি।  

এদিন টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে টাইগাররা আফিফ হোসেনের ব্যাটে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে পাঁচ উইকেটে ১৫৮ রান করেছিল। এদিন দ্বিতীয় ওভারেই দলীয় ১১ রানে ‘ডাক’ মেরে ফেরেন সাব্বির রহমান। অপর ওপেনার মিরাজ ১৪ বলে ১২ রান করেন। তিনে নামা লিটন দাস আট বলে তিন চারে ১৩ রান করে ক্যাচ তুলে দেন। এরপর মেইয়াপানের বলে ইয়াসির আলী (৭ বলে ৪) বোল্ড হলে ৪৭ রানে চার উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ দল।

একপ্রান্ত আগলে হাত খুলে মারার চেষ্টা করতে থাকেন আফিফ। সাত বলে তিন রান করা মোসাদ্দেক হোসেন ফেরেন স্টাম্পড হয়ে; ৭৭ রানে পাঁচ উইকেটের পতন। এই অবস্থায় আফিফ এবং অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় দল। ষষ্ঠ উইকেটে দুজনে গড়েন ৫৪ বলে ৮১* রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। আফিফ হোসেন ৫৫ বলে সাত চার তিন ছক্কায় ৭৭* এবং সোহান ২৫ বলে দুইটি করে চার-ছক্কায় ৩৫* রানে অপরাজিত ছিলেন।

আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর একই ভেন্যুতে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ ও আরব আমিরাত।

Loading...