loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • লিভারপুল হারলো এভারটনের কাছে, ম্যানইউ-এর শেফিল্ড-বাধা অতিক্রম

  • শুরু হলো স্বাধীনতা দিবস জিমন্যাস্টিক্স প্রতিযোগিতা ২০২৪

  • জাভি এই মৌসুম শেষেই বার্সা ছাড়বেন না

  • নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি

  • ইতালিয়ান কাপের ফাইনালে ইউভেন্টাস

ভারতকে প্রথম পরাজয়ের স্বাদ দিলো দক্ষিণ আফ্রিকা


ভারতকে প্রথম পরাজয়ের স্বাদ দিলো দক্ষিণ আফ্রিকা

পুরুষদের চলতি টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে রোববারের (৩০ অক্টোবর) আগ পর্যন্ত শতভাগ জয় পাওয়া একমাত্র দল ছিল ভারত। তবে, রোববার সেই দলটাই কেমন যেন অচেনা হয়ে গেল। বিবর্ণ নৈপুণ্য প্রদর্শন করে দলটি পরাজিত হলো দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে। রোহিত শর্মার দলকে পাঁচ উইকেটে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় ম্যাচ জিতলো দক্ষিণ আফ্রিকা।

এই জয়ে গ্রুপ ‘বি’তে সেমিফাইনালে যাওয়ার লড়াইটা আরও জমিয়ে তুললো দক্ষিণ আফ্রিকা। তিন ম্যাচে পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠেলো টেম্বা বাভুমার দল। চার পয়েন্ট করে রয়েছে বাংলাদেশ ও ভারতের।

এদিন ১৩৪ রান করার লক্ষ্যে নেমে প্রোটিয়াদের শুরুটাও ভালো হয়নি। দলীয় তিন রানে অর্শদীপ সিংয়ের শিকার হন দারুণ ফর্মে থাকা কুইন্টন ডি’কক (১)। বাংলাদেশের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করা রাইলি রুশোকেও (০) লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন অর্শদীপ। এরপর অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা (১০) মোহাম্মদ শামির বলে দিনেশ কার্তিকের গ্লাভসবন্দি হলে ২৪ রানে তিন উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ধীরগতিতে দলকে টানতে থাকেন এইডেন মার্করাম ও ডেভিড মিলার। দ্বাদশ ওভারে অশ্বিনের বলে মার্করামের সহজ একটা ক্যাচ মিস করেন ভিরাট কোহলি।

পরের ওভারে রোহিত শর্মার ভুলে নিশ্চিত রান আউট থেকে বেঁচে যান ডেভিড। ৩৮ বলে অর্ধশত রান করেছেন মার্করাম। অর্শদীপের ওই বলেও দুই ফিল্ডার তালগোল পাকিয়ে ক্যাচ ফেলেন। অবশেষে ৪১ বলে ৫২ রান করা মার্করামকে ফেরান হার্দিক পান্ডিয়া।

৬০ বলে ৭৬ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি যখন ভাঙে, ততক্ষণে ম্যাচ অনেকটাই দক্ষিণ আফ্রিকার নিয়ন্ত্রণে। ডেভিড মিলার অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠেন। জয়ের জন্য যখন ১৫ বলে ১২ রান প্রয়োজন, তখন ট্রিস্টান স্টাব্সকে (৬) এলবিডাব্লিউ করে দেন অশ্বিন। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি স্টাব্স।

শেষ দুই ওভারে প্রয়োজন ছিল ১২ রান। শামির প্রথম বলেই বাউন্ডারি মেরে ফিফটি (৪০ বলে) করেন মিলার। পরের পাঁচ বলে দুই রান দেন শামি। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ছয় রান; বোলার ভুবনেশ্বর কুমার। তৃতীয় বলে স্ট্রাইক পেয়ে পরের দুই বলে বাউন্ডারি মেরে দুই বল হাতে রেখে পাঁচ উইকেটে দলের জয় নিশ্চিত করেন মিলার। এই মারকুটে ব্যাটার অপরাজিত ছিলেন ৪৬ বলে চারটি চার, তিন ছক্কায় ৫৯ রানে।

এদিন টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০ ওভারে নয় উইকেটে ১৩৩ রান করে ভারত। পঞ্চম ওভারের দ্বিতীয় বলে রোহিতকে (১৫) কট অ্যান্ড বোল্ড করেন লুঙ্গি এনগিডি। রাহুলও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। একই ওভারের শেষ বলে মার্করামের তালুবন্দি হয়ে ফেরেন নয় রানে। পাওয়ার প্লেতে মাত্র ৩৩ রান করতে পেরেছে ভারত।

কাগিসো রাবাদাকে দুই বাউন্ডারি মেরে হাত খোলেন কোহলি। তবে, লুঙ্গি ১২ রানেই তাঁকে থামিয়ে দিলে বেশ চাপে পড়ে যায় ভারত।

প্রোটিয়া পেসারের চতুর্থ শিকার হন দিপক হুদা (০)। এরপর হার্দিক পান্ডিয়া (২) ও দিনেশ কার্তিকও (৬) ফেরেন দ্রুত। এক প্রান্ত আগলে ৩০ বলে ফিফটি তুলে নেন সূর্যকুমার যাদব। তাঁর ব্যাটেই পঞ্চদশ ওভারে ভারতের স্কোর তিন অঙ্ক ছাড়ায়।

শেষের দিকে দুই উইকেট নিয়ে ভারতের মিডল অর্ডার ধসিয়ে দেন ওয়েনি পার্নেল। ঊনবিংশ ওভারে তাঁর শিকার হন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। একই ওভারের পঞ্চম বলে ৪০ বলে ছয় চার ও তিন ছক্কায় ৬৮ করা সূর্যকুমারকে ফিরিয়ে করেন তৃতীয় উইকেট শিকার।

২৯ রানে চার উইকেট শিকার করেছেন লুঙ্গি। পার্নেল মাত্র ১৫ রানে পেয়েছেন তিন উইকেট।

Loading...