সংক্ষিপ্ত স্কোর
অস্ট্রেলিয়া ১৬৮-৮ (২০ ওভার): ম্যাক্সওয়েল ৫৪*, মার্শ ৪৫; ফজলহক ফারুকি ২/২৯, নাভিন-উল-হক ৩/২১
আফগানিস্তান ১৬৪-৭ (২০ ওভার): রশিদ ৪৮*, গুলবাদিন ৩৯; জশ হ্যাজলউড ২/৩৩, অ্যাডাম জাম্পা ২/২২
ফলাফল: অস্ট্রেলিয়া চার রানে জয়ী
শেষ বলে আফগানিস্তানের দরকার ছিল নয় রান। রশিদ খান পেলেন বাউন্ডারি। অস্ট্রেলিয়া পেলো চার রানের জয়। ১৬৯ তাড়া করতে নেমে আফগানিস্তানকে থামতে হলো ১৬৪ রানে। দলটির এতদূর আসার পেছনে একজনেরই অবদান – রশিদ খান। তিনি ২৭ বলে হার না-মানা ৪৮ রানের ইনিংস খেলে অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচ প্রায় কেড়েই নিয়েছিলেন। তাঁর ঝড়ো ব্যাটিং দেখেছে শুক্রবার (৪ নভেম্বর) দর্শকে ঠাসা অ্যাডিলেড। আফগান ব্যাটারদের আটটি ছক্কার চারটিই মেরেছেন রশিদ।
গ্লেন ম্যাক্সওয়েল যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন অস্ট্রেলিয়ার সেমিফাইনালের স্বপ্ন সজীব রাখতে। কিন্তু, তাঁর অপরাজিত ৫৪ রান সত্ত্বেও স্বাগতিক দলের শেষ চারে ওঠা আর তাঁদের হাতে নেই।
এদিন, নেট রানরেটে ইংল্যান্ডকে টপকানোর জন্য অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ছিল – আফগানিস্তানকে বেশ বড় ব্যবধানে হারানো। কিন্তু, বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা আট উইকেটে ১৬৮ করার পরে রশিদ খানের দুঃসাহসিক ব্যাটিংয়ে আফগানিস্তান সাত উইকেটের বিনিময়ে ২০ ওভার শেষ করে ১৬৪ রানে।
অস্ট্রেলিয়ার অল্প ব্যবধানে জয়ের অর্থ হলো – শনিবার (৫ নভেম্বর) শ্রীলংকাকে হারালে ইংল্যান্ড সেমিফাইনালে উঠে যাবে, অস্ট্রেলিয়ার বিদায় ঘটবে। আর যদি, শ্রীলংকা ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দেয়, তাহলেই অস্ট্রেলিয়া শেষ চারে উঠবে। সেক্ষেত্রে, শ্রীলংকা ও ইংল্যান্ড – উভয় দলই বাদ যাবে।
শুক্রবারের প্রথম ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে ৩৫ রানে হারিয়ে গ্রুপ-১ থেকে প্রথম দল হিসাবে শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড।