মেলবোর্নে হলো না ১৯৯২ ওডিআই বিশ্বকাপের পুনরাবৃত্তি। ইমরান খান হয়ে উঠতে পারলেন না বাবর আজম। ফলে, ফাইনালের রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে পাকিস্তানকে পাঁচ উইকেটে পরাজিত করে দ্বিতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হলো ইংল্যান্ড। ২০১০ সালে ইংল্যান্ড প্রথমবার এই ফরম্যাটে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। রোববারের (১৩ নভেম্বর) ফাইনালে নিজেদের স্বল্প পুঁজির বিপরীতে পাকিস্তানি বোলাররা দারুণ বল করছিলেন। যাহােক, ইংল্যান্ডকে আটকাতে ১৩৭ রান যথেষ্ট ছিল না। অন্যদিকে, ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পরে ইংল্যান্ডের আরও একটি বিশ্বকাপ জয়ে বড় অবদান রাখলেন বেন স্টোক্স।
পুরুষদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল। ২০১০ সালের পরে দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জয় করলো ইংলিশরা। এর আগে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ দুইবার শিরোপা জিতেছিল।
রোববার অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড ওভালে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়তে পারেনি বাবর আজমের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পতনের কারণে আট উইকেটে ১৩৭ রান করতে পেরেছে দলটি। দলের হয়ে ২৮ বলে সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেছেন শান মাসুদ। ২৮ বলে মাত্র ৩২ রান করে ফেরেন অধিনায়ক বাবর আজম। ১৪ বলে ২০ রান করেছেন শাদাব খান।
১৩৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ছয় বল ও পাঁচ পাঁচ উইকেট হাতে রেখেই শিরোপা নিজেদের করে নেয় ইংল্যান্ড। দলের জয়ে ৪৯ বলে অপরাজিত ৫২ রান করেছেন বেন স্টোক্স। এছাড়া, ১৭ বলে ২৬ রান করে ফেরেন অধিনায়ক জস্ বাটলার। হ্যারি ব্রুকের সংগ্রহ ২৩ বলে ২০ রান।
শিরোপা ঘরে তুলতে সাধারণ এক স্কোর তাড়া করতে নেমে শাহিন আফ্রিদি ও হারিস রউফের গতির মুখে পড়ে ৪৫ রানেই তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে ইংল্যান্ড। শুরুতেই আঘাত হানেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। ইনিংসের প্রথম ওভারের শেষ বলে অ্যালেক্স হেইল্সকে বোল্ড করে ফেরান তিনি। ভারতের বিপক্ষে সেমিফাইনালে ৪৭ বলে ৮৬ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলা হেইল্সকে এদিন মাত্র এক রানে ক্রিজ থেকে ফেরান আফ্রিদি।
ম্যাচ-সেরা ও টুর্নামেন্ট-সেরা: স্যাম কারেন (ইংল্যান্ড)