রোববার (২৭ নভেম্বর) ‘শহীদ ডা. মিলন দিবস’। ১৯৯০ সালের এই দিনে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় গুলিতে নিহত হন ডা. শামসুল আলম খান মিলন।
দিবসটির প্রাক্কালে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তাঁরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের বীর শহীদ ডা. মিলনের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।
চিকিৎসকদের শীর্ষ সংগঠন – বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ)’র সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. মিলনের ৩২তম মৃত্যুবার্ষিকীতে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী দল ও সংগঠনের পক্ষ থেকে পৃথক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালনের বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। দিবসটি স্মরণে রোববার সকাল ৮টায় দলটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ চত্বরে ডা. শামসুল আলম খান মিলনের সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত কর্মসূচি পালন করবে।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল – জাসদ-এর কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে – রোববার ভোর ৬টায় দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, সকাল ৮টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজস্থ শহীদ ডা. মিলনের সমাধি ও সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি-সংলগ্ন শহীদ ডা. মিলন সৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ। এছাড়া, বিএমএসহ বিভিন্ন চিকিৎসক সংগঠনের আয়োজনের আলোচনা সভা হবে।
ডা. মিলনের রক্তদানের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে তখন নতুন গতি সঞ্চারিত হয়েছিল। পরে, ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সেই সময়ের স্বৈরশাসনের পতন ঘটে এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের শনিবার এক বিবৃতিতে শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলন দিবসে বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের জন্য সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।