ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে দেশের ৮৭ উপজেলায় (২৯ মে) ভোটগ্রহণ হবে। সকাল আটটা থেকে শুরু হয়ে বিকেল চারটা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ করা হবে। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে। এই ধাপে ১০৯ উপজেলায় ভোটগ্রহণের কথা থাকলেও, ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’-এর কারণে মোট ২২টি উপজেলার ভোট স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। ফলে এদিন ৮৭টি উপজেলায় ভোট হবে। খবর – স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম সোমবার (২৭ মে) সাংবাদিকদের বলেন, এ-পর্যন্ত পাওয়া তথ্যানুযায়ী, যেসব নির্বাচনী এলাকায় জলোচ্ছ্বাসের পানি প্রবেশ করেছে, কোথাও কোথাও বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করেছে, কোথাও কোথাও গাছ উপড়ে পড়েছে, কোথাও বিদ্যুতসংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে; এসব বিবেচনায় নিয়ে নির্বাচন কমিশন মোট ১৯টি উপজেলার ভোটগ্রহণ আপাতত স্থগিত করেছে। এগুলো হলো – বাগেরহাটের শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ, মোংলা, খুলনা জেলার কয়রা, ডুমুরিয়া, পাইকগাছা, বরিশালের গৌরনদী, আগৈলঝাড়া, পটুয়াখালী সদর, দুমকী, মির্জাগঞ্জ, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া, ভোলার তজুমদ্দিন, লালমোহন, ঝালকাঠির রাজাপুর ও কাঠালিয়া, বরগুনার বামনা ও পাথরঘাটা এবং রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলা। এছাড়া, ইভিএম মেশিনে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছন্ন থাকায় চাঁদপুরের কচুয়া ও ফরিদগঞ্জ এবং সড়ক সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলার ভোট স্থগিত করেছে।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এই ধাপে ১,১৫২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৩৯৭ জন, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৪৫৬ জন এবং নারী ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ২৯৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নির্বাচন উপলক্ষ্যে ভোটগ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিবসের পূর্ববর্তী মধ্যরাত, অর্থাৎ ২৮ মে দিবাগত মধ্যরাত ১২টা থেকে ২৯ মে দিবাগত মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত ট্যাক্সি ক্যাব, পিকআপ, মাইক্রোবাস ও ট্রাক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকবে। নির্বাচন কমিশন তিন দিনের জন্য মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। ভোটের পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে রাখতে মাঠে নামানো হয়েছে বিজিবি ও পুলিশসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নির্বাচন অপরাধ আমলে নিয়ে সংক্ষিপ্ত বিচার কাজ পরিচালনায় মাঠে রয়েছেন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট ও আচরণ বিধি প্রতিপালনে মাঠে রয়েছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।