loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • বুন্দেসলিগায় শীর্ষে বায়ার্ন; লেভাকুজেনের হোঁচট

  • প্রিমিয়ার লিগে সিটি’র পরাজয়ে শীর্ষে লিভারপুল

  • নারী ফুটবল দলকে এক কোটি টাকা পুরস্কার প্রদান

  • প্লাটিনাম লিড সার্টিফিকেশন পেলো আরেকটি বাংলাদেশি কারখানা

  • ইউরোপের ক্লাবে খেলার প্রস্তাব পেয়েছেন সাফ-সেরা ঋতুপর্ণা

উৎসবে লোকজ সুরের মিলনমেলা


উৎসবে লোকজ সুরের মিলনমেলা

তিনদিনের ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক লোকসংগীত উৎসব ২০১৯’-এর দ্বিতীয় দিনেও মাটির গানে মেতে উঠেছিল উপস্থিত দর্শক-শ্রোতাবৃন্দ। স্বদেশি হৃদয় পাগল করা গানের সঙ্গে বিদেশের লোকজ সুরের মেলবন্ধন গড়ে উঠেছিল শুক্রবারের (১৫ নভেম্বর) লোকসংগীত উৎসব-মঞ্চে।

দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশের কাজল দেওয়ান, কামরুজ্জামান রাব্বি, শফিকুল ইসলাম, পাকিস্তানের হিনা নাসরুল্লাহ এবং মালির লোকসংগীতের জীবন্ত কিংবদন্তি হাবিব কইটে ও তাঁর ব্যান্ড বামাদা’র সদস্যরা গেয়ে শোনান।

শুরুতে মঞ্চে আসেন শফিকুল ইসলাম। লোকগানের পরিবেশনা দিয়ে শ্রোতার মনোযোগ কেড়েছেন তিনি। ২০১৬ সালে ‘ম্যাজিক বাউলিয়ানা’য় প্রথম রানারআপ হয়ে আলোচনায় আসেন শফিকুল। বাউলগানের পাশাপাশি অন্যান্য ধারার গানেও পারদর্শী তিনি। শফিকুল গেয়ে শোনান শাহ আব্দুল করিমের ‘মন মজাইলা ওরে বাউলা গান’। এরপর ‘ও তুমি কই গেলা বন্ধুরে’। ‘কি সুন্দর এক গানের পাখি’ দিয়ে পরিবেশনা শেষ করেন তিনি।

এরপর আসেন লোকসংগীত শিল্পী কামরুজ্জামান রাব্বি। তিনিও ‘ম্যাজিক বাউলিয়ানা’র প্রতিযোগী ছিলেন। তাঁর পরিবেশনায় ছিল ‌‘বাংলাদেশের ঢোল’, ‘তোমার সঙ্গে কিসের পিরিতি’, ‘আমি তো ভালা না’, ‘গ্রামের নওজোয়ান’ প্রভৃতি গান।

কাজল দেওয়ান শুনিয়েছেন, ‘দিন ফুরাইলেই ভাইঙ্গা যাইবো এই রঙ্গের মেলা’, ‘পিরিতের বাজার ভালো না’, ‘আমায় এত দুঃখ দিলি বন্ধু রে’, ‘আরে ও জীবন রে, তুই জীবন ছাড়িয়া গেলে’, ‘কদম তলায় আমি যাবো না’। ‘ওরে বাঁশি, সুর দিয়ে জ্বালাইলি আগুন’ গানের মাধ্যমে কাজল দেওয়ান পরিবেশনা শেষ করেন।

বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামের আঁধার যেন জানান দিতে চায় - বিরহী হয়েছেন উপস্থিত সবাই!

অল্পক্ষণের নিবরতা ভেঙ্গে মঞ্চে আসেন আফ্রিকার মালির হাবিব কইটে অ্যান্ড বামাদা। নব্বই দশকে হাবিব কইটের প্রথম অ্যালবাম ‘মুসো কো’ প্রকাশিত হয়। প্রথম অ্যালবাম দিয়েই সারাবিশ্বের সংগীতপ্রেমীর মন জয় করে নেন তিনি। ব্যান্ড বামাদাকে নিয়ে তিনি সহস্রাধিক’ কনসার্টে গান করেছেন বলে সূত্রে প্রকাশ। পারফর্ম করেছেন বিশ্বের বড় বড় মঞ্চে। এদিন আফ্রিকান লোকধারার গান নিয়ে তিনি প্রায় এক ঘণ্টা মঞ্চে থেকেছেন।

তাঁর পরিবেশনার পরে সুরের মূর্চ্ছনা নিয়ে আসেন বাংলাদেশের ফকির শাহাবুদ্দিন। বাউল গানের এই জাদুকর বাউল সম্রাট লালন সাঁইয়ের গান ‘আল্লাহ বল মন রে পাখি’ দিয়ে শুরু করেন পরিবেশনা। এরপর একে একে গেয়ে শোনানা ‘একদিন মাটির ভেতরে হবে ঘর’, ‘মাঝি পাল তুলে দে’ গানগুলো। এসময় আধ্যাত্মিকতার স্বাদে কিছুক্ষণ ডুবে ছিলেন দর্শক-শ্রোতারা।

দ্বিতীয় দিনের প্রতীক্ষিত গায়িকা ছিলেন পাকিস্তানের হিনা নাসরুল্লাহ। তিনি গেয়ে শােনান তাঁর জনপ্রিয় গানগুলো। তাঁর পরিবেশনার পরেই ইতি টানা হয় উৎসবের দ্বিতীয় দিনের পর্ব।

গত ১৪ নভেম্বর রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে শুরু হওয়া আন্তর্জাতিক লোকসংগীত উৎসবের এবারের আয়োজনের শেষ দিন আজ শনিবার। এদিন পাকিস্তানের ব্যান্ড ‘জুনুন’-এর পরিবেশনার কথা রয়েছে।

Loading...