loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • পোশাক খাতের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হয়েছে

  • রিজার্ভ ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত

  • চীনা বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

  • ঢাকা ও বেইজিং-এর মধ্যে নয়টি চুক্তি স্বাক্ষরিত

  • বিএমইউ বহির্বিভাগ ২৯ মার্চ ও ২ এপ্রিল খোলা

একুশের বইমেলার ১০ম দিনে নতুন বই এসেছে ৮৪টি


একুশের বইমেলার ১০ম দিনে নতুন বই এসেছে ৮৪টি

অমর একুশে বইমেলা ২০২৫-এর দশম দিনে  (১০ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫/২৭শে মাঘ ১৪৩১ সোমবার) নতুন বই এসেছে মোট ৮৪টি। এরমধ্যে গল্পের বই ছয়টি, উপন্যাস ১৮টি, প্রবন্ধ দুইটি, কবিতা ২১টি, গবেষণা একটি, ছড়া একটি, শিশুসাহিত্য একটি, জীবনী দুইটি, রচনাবলি দুইটি, মুক্তিযুদ্ধ একটি, নাটক একটি, বিজ্ঞান দুইটি, ভ্রমণ একটি, ইতিহাস দুইটি, রাজনীতি একটি, ভাষা একটি, গণঅভ্যুত্থান দুইটি, ধর্মীয় একটি, অনুবাদ একটি, সায়েন্স ফিকশন একটিসহ অন্যান্য ১৬টি।

সোমবার বইমেলার নির্ধারিত আয়োজনে বিকেল চারটায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘ড. মনিরুজ্জামানের সময়রেখা: ভাষাবিজ্ঞানের ত্রিকালদর্শী পরিব্রাজক’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মাশরুর ইমতিয়াজ। অধ্যাপক মনসুর মুসা সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন সালমা নাসরীন ও মামুন অর রশীদ।

প্রাবন্ধিক বলেন, ড. মনিরুজ্জামান ভাষাবিজ্ঞানের দুরূহ পথে কেবল সরল রৈখিকভাবেই পরিভ্রমণ করেননি, বরং নজর দিয়েছেন অতীতের ভাষিক নিরীক্ষায় এবং ভবিষ্যতের ভাষা-গবেষণার সুলুক সন্ধানে। প্রতিভার মৌলিকত্বে তিনি তাঁর স্বকীয় অবস্থান নিশ্চিত করেছেন। ভাষাবিজ্ঞান বিষয়ে গভীর পাণ্ডিত্য এবং উপভাষা গবেষণায় অসামান্য অবদানের কারণে ভাষাবিজ্ঞানের জগতে যেমন তাঁর অবিস্মরণীয় খ্যাতি রয়েছে, তেমনি সুসাহিত্যিক ও সাহিত্য-বিশ্লেষক হিসেবেও বাংলা সাহিত্যজগতে তাঁর নাম সুবিদিত। তিনি বাংলাদেশে অনুসৃত ভাষা বিজ্ঞানের যাবতীয় ধারাসমূহের বিন্যাস করেছেন। একইসঙ্গে তাঁর রচনায় তুলনামূলক ভাষাতত্ত্বের বিকাশমানতার ধারা প্রতিভাত হয়েছে।

আলোচকদ্বয় বলেন, ড. মনিরুজ্জামান ছিলেন আধুনিক চিন্তাধারার অধিকারী বিজ্ঞান মনস্ক একজন মানুষ। গবেষণার মাধ্যমে তিনি বাংলা উপভাষার উচ্চারণগত, ব্যাকরণগত এবং শব্দগত বৈচিত্র্য তুলে ধরেছেন। ভাষা গবেষণায় তিনি আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতির প্রয়োগ ঘটিয়েছেন। তিনি উপভাষার অভ্যন্তরীণ রূপটি আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন এবং উপভাষাকে উদার দৃষ্টিতে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক মুনসুর মুসা বলেন, ড. মনিরুজ্জামান শৈশবকাল থেকেই বিভিন্ন উপভাষার সংস্পর্শে এসেছিলেন এবং একজন গবেষক হিসেবে ভাষাবিজ্ঞানের বিভিন্ন দিক নিয়ে গবেষণা করেছেন। তাঁর মূল্যবান গবেষণা ভবিষ্যতের গবেষকদের জন্য প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা জোগাবে।

‘লেখক বলছি মঞ্চে’ নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন – কুদরত-ই-হুদা ও হিজল জোবায়ের।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এদিন ছিল মো. আনোয়ার হোসেনের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘আরশিনগর বাউল সংঘ’, সানজিদা আহমেদ লাবণ্যের পরিচালনায় নৃত্যসংগঠন ‘নৃত্য সংসদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ এবং মজিবুর রহমান বিরোহীর পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘বিরোহী শিল্পীগোষ্ঠী’র পরিবেশনা।

সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী আব্দুল লতিফ শাহ, বাউল সুভাষ বিশ্বাস, আবুল কালাম আজাদ, সাধিকা সৃজনী তানিয়া, এলাহী মাসুদ, কাজী দেলোয়ার হোসেন, এ টি এম গোলাম মোস্তফা, পিয়াল হাসান ও শামিমা সুলতানা। যন্ত্রাণুষঙ্গে ছিলেন প্রিয়ব্রত চৌধুরী (তবলা), শাহীনুর রহমান (কি-বোর্ড), মো. ফায়জুর রহমান (বাঁশি), সুমন কুমার শীল (দোতারা) ও হাসান মিয়া (বাংলা ঢোল)।

বইমেলার একাদশ দিন মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল চারটায় বইমেলার মূলমঞ্চে আয়োজন করা হবে ‘জীবন ও সাহিত্য: শাহেদ আলী’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন শিবলী আজাদ। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন নাজিব ওয়াদুদ ও মোস্তাক আহমাদ দীন। সভাপতিত্ব করবেন চঞ্চল কুমার বোস।

মেলা প্রতি কর্মদিবসে শুরু হয় বিকেল তিনটায় এবং চলে রাত নয়টা পর্যন্ত।

- তথ্যসূত্র: বাংলা একাডেমি’র সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

Loading...