চারবারের চ্যাম্পিয়ন জার্মানিকে কাতার বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হলো। বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) রাতে ‘ই’ গ্রুপের ম্যাচে কোস্টা রিকাকে ৪-২ গোলে হারালেও পরপর দুইবারের মতাে দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলতে পারলো না হেভিওয়েট দলটি। একই সময়ে অনুষ্ঠিত অপর ম্যাচে স্পেনকে ২-১ গোলে পরাজিত করে এই গ্রুপের সেরা হয়ে নকআউট পর্বে উঠেছে জাপান। অবশ্য, জাপানে কাছে হেরে গেলেও গােল ব্যবধানে জার্মানিকে হটিয়ে শেষ ষোলোয় উঠে গেছে ২০১০ সালের বিশ্বজয়ী স্পেন। আর এই নিয়ে চতুর্থবারের মতো বিশ্বকাপের নক-আউট পর্বে উঠলো জাপান।
এদিন আল বাইত স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই কোস্টারিকার ওপর প্রভাব বিস্তার করেছে জার্মান দল। দশম মিনিটে গোল করে জার্মানিকে এগিয়ে দেন সার্জ গনাব্রি। ৫৮তম মিনিটে সমতা ফেরান ইয়েলৎসিন তাজেদা। ওয়াটসনের হেড জার্মানির গোলরক্ষক মানুয়েল নয়া ঝাঁপিয়ে পড়ে রক্ষা করেন; কিন্তু বল ধরে রাখতে পারেননি। ফিরতি বলে শট করে গোল করেন তাজেদা।
৭০তম মিনিটে ভেসে আসা বলে আলতো হেড করেন ভার্গাস। জার্মানির গোলরক্ষক টেরই পাননি; তাঁর পায়ে লেগে বল চলে যায় জালে। গোলটিকে আত্মঘাতী হিসেবে ধরা হয়েছে।
তিন মিনিট পরে জার্মানিকে ম্যাচে ফেরান টমাস মুলার বদলি হিসেবে নামা কাই হাভার্টজ। ৮৫তম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন তিনি। ৮৯তম মিনিটে গোল করে জার্মানির ৪-২ গোলে জয় নিশ্চিত করেন নিকোলাস ফুলক্রুগ।
অন্যদিকে, খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শুরুতে পিছিয়ে পড়েও শক্তিশালী স্পেনের বিরুদ্ধে ২-১ গোলে জয় তুলে নিয়েছে জাপান। যদিও, জাপানের দ্বিতীয় গোলটি নিয়ে বিতর্কের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।
যাহোক, নিজেদের প্রথম ম্যাচে জার্মানিকে হারানোর পরে অনেকেই মনে করেছিলেন, জাপানের সেই জয় নেহাতই আকস্মিক ঘটনা; বারবার হবে না। তবে, কয়েক দিনের ব্যবধানে স্পেনকে পরাজিত করে জাপান বুঝিয়ে দিলো – জার্মানির বিরুদ্ধে তাঁদের জয় কোনো অংশেই ‘ফ্লুক’ ছিল না। এশিয়ার দেশগুলো যে ইউরোপ-আমেরিকার সঙ্গে লড়াই করার জায়গায় চলে এসেছে, বৃহস্পতিবারের ফলাফলেই জাপান আবার সেটি প্রমাণ করলো।
তিন ম্যাচে গ্রুপ-সেরা জাপানের পয়েন্ট ছয়। স্পেন ও জার্মানি সমান চার পয়েন্ট করে পেলেও গোল ব্যবধানে পিছিয়ে বাদ পড়লো হ্যান্সি ফ্লিকের দল।
‘ই’ গ্রুপের আরেক দেশ কোস্টা রিকা তিন পয়েন্ট সংগ্রহ করে একেবারে নিচে রইলো।