loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • প্রীতি ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও আর্জেন্টিনার জয়

  • ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে শেষ মুহূর্তে প্রতিরোধ ভাঙলো বাংলাদেশের

  • প্রীতিম্যাচে স্পেনকে রুখে দিলো ব্রাজিল

  • একই মঞ্চে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ২০ জন কণ্ঠ ও শব্দ সৈনিক

  • বঙ্গভবনে স্বাধীনতা দিবসের সংবর্ধনায় ভুটানের রাজার যোগদান

প্রথম দল হিসেবে ‘প্লে-অফ’ পর্বে মাশরাফির সিলেট


প্রথম দল হিসেবে ‘প্লে-অফ’ পর্বে মাশরাফির সিলেট

সিলেট স্ট্রাইকার্স তাঁদের দুই ব্যাটার তৌহিদ হৃদয় (৭৪) ও জাকির হাসানের (৫৩) দুই হাফ-সেঞ্চুরির পরে পেসার রুবেল হোসেনের দারুণ বোলিং নৈপুণ্যে প্রথম দল হিসেবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের নবম আসরে টেবিলের শীর্ষে থেকে ‘প্লে-অফ’ পর্বে উঠলো। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সোমবার (৩০ জানুয়ারি) মাশরাফি বিন মুর্তজা-মুশফিকুর রহিমের সিলেট ৩১ রানে হারিয়েছে তামিম ইকবালের খুলনা টাইগার্সকে। ১০ ম্যাচে আট জয় ও দুই পরাজয় ১৬ পয়েন্ট সিলেটের। অন্যদিকে, আট ম্যাচে দুই জয় ও ছয় পরাজয়ে চার পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পঞ্চম স্থানেই রইলো খুলনা।

এদিন খুলনার বিপক্ষে সিলেটের ওপেনার নাজমুল দ্রুত আউট হয়ে গেলেও তিনে নামা জাকিরের সঙ্গে হৃদয়ের জুটিটা জমে যায়। ফলে, সিলেট পেয়ে যায় চার উইকেটে ১৯২ রান।

ব্যাটিংয়ের মতো বোলিংয়েও সিলেট প্রায় প্রতি ম্যাচেই নতুন নায়কের আবির্ভাব ঘটছে। সোমবারও চলতি আসরে মাত্র তৃতীয় ম্যাচ খেলতে নামা রুবেল হোসেন ৩৭ রানে সর্বোচ্চ চার উইকেট নিয়ে খুলনার রান তাড়া করা কঠিন করে তোলেন। দু’টি করে উইকেট শিকার করেন মোহাম্মদ আমির ও রেজাউর রহমান রাজা। ফলে, নয় উইকেটে ১৬১ রানে থেমে যায় খুলনার ইনিংস।

সাকিব আল হাসানের পর দ্বিতীয় বোলার হিসেবে বিপিএল-এ ১০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করলেন রুবেল।

প্রথম দল হিসেবে ‘প্লে-অফ’ নিশ্চিত করায় খেলা শেষে গ্যালারির দর্শকদের উদ্দেশ্যে ল্যাপ অফ অনার দিয়েছেন সিলেটের ক্রিকেটাররা।

বড় লক্ষ্য তাড়া করে সফল হতে হলে খুলনার টপ অর্ডারকেও জ্বলে উঠতে হতো। তৃতীয় ওভারের মধ্যে অ্যান্ড্রু বলবার্নি ও তামিম ইকবালকে আউট করে সেটি হতে দেননি রুবেল। শাই হোপ ও মাহমুদুল হাসান জয় ধাক্কাটা সামলে নিলেও তাঁদের ৩৫ বলে ৫৪ রানের জুটি আর দীর্ঘ হয়নি।

তারপরও খুলনা আশায় ছিল, আজম খানের একটি বিস্ফোরক ইনিংসের। চার-ছক্কা মেরে আজম সিলেট দলে ভীতি ছড়ালেও সেটি দীর্ঘ হতে দেননি তাঁরই স্বদেশি ইমাদ ওয়াসিম। ১৭ বলে সর্বোচ্চ ৩৩ রান করে আউট হন আজম। ৩৩ রান করেছেন শাই হোপও। জয়ের সংগ্রহ ২০ রান।

সিলেটের অষ্টম জয়ের দিন কুঁচকির চোটে পড়েছেন অধিনায়ক মাশরাফি। তিনি ২.১ ওভার বল করে মাঠ ছাড়েন। ফিল্ডিং করতে গিয়ে আঘাত পেয়েছেন আরেক পেসার রেজাউর রহমানও।

সিলেট অবশ্য শুরুতে বেশ মন্থর ব্যাটিং করেছে। প্রথম পাঁচ ওভারে তাঁদের রান ছিল মাত্র ২৬। পরে, শিশিরে বল ভিজে যাওয়ার শঙ্কায় খুলনার অধিনায়ক ইয়াসির আলী পাওয়ারপ্লেতে পেসার না এনে স্পিন দিয়ে কাজ চালাচ্ছিলেন। তবে, নাসুম আহমেদের করা পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে ১৬ রান করে ইনিংসের গতিপথ বদল দেন জাকির-হৃদয় জুটি।

এরপর, খুলনার অনভিজ্ঞ পেসার নাহিদ রানার ওপর রীতিমতো চড়ে বসেন হৃদয়; বাউন্ডারি নিতে থাকেন একের পর এক। খুলনার বোলাররা নো বল, ফ্রি হিট ও বাই রান দিয়েও সিলেটের রান বৃদ্ধিত সহায়ক হয়েছেন।

ম্যাচ-সেরা হৃদয় ৩৪ বলে বিপিএল-এ নিজের চতুর্থ ফিফটি করে এগোচ্ছিলেন আরও বড় রানের দিকে। ৩৬ বলে ফিফটি করা জাকিরও পরে চার-ছক্কায় রানের গতি বাড়িয়ে দেন। ষোড়শ ওভারে রানার বলে মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলে আউট হন ৪৯ বলে ৭৪ রান করা হৃদয়। ১৫১ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসে চার ছিল নয়টি। পরের ওভারে আউট হওয়া জাকির শেষ পর্যন্ত ৩৮ বলে করেছেন ৫৩ রান।

Loading...