প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর মিরপুরে ২.৩৪ কিলোমিটার কালশী ফ্লাইওভার যান চলাচলের জন্য উদ্বােধন করেছেন। তিনি ইসিবি স্কয়ার থেকে কালশী পর্যন্ত ৩.৭০ কিলোমিটার প্রসারিত রাস্তাটিও উদ্বোধন করেন – যেটি চার লেন থেকে ছয় লেনে উন্নীত এবং প্রশস্ত করা হয়েছে। শেখ হাসিনা রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে কালশী বালুরমাঠে আয়োজিত এক নাগরিক সমাবেশে – যেটি পরবর্তীতে বিশাল জনসভায় পরিণত হয়েছিল – ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে এই ফ্লাইওভার ও রাস্তা উদ্বোধন করেন। ফ্লাইওভারটি মিরপুর, ডিওএইচএস, পল্লবী, কালশী, মহাখালী, বনানী, উত্তরা ও বিমানবন্দরের মধ্যে যোগাযোগ আরও উন্নত করবে। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।
একনেক ২০১৮ সালের ৯ জানুয়ারি এই প্রকল্পটি অনুমোদন করেছিল। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী (২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে।২০১৮ সালের জানুয়ারিতে প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে ২০২৩ সালের জুনে নির্ধারিত সময়ের চার মাস আগেই নির্মাণ কাজ শেষ হলো।
প্রকল্পের বিবরণ অনুযায়ী, ফ্লাইওভারটি ইংরেজি ‘ওয়াই’ অক্ষরের মতো। প্রধান চার লেন বিশিষ্ট ফ্লাইওভারটি ইসিবি স্কয়ার থেকে কালশী ও মিরপুর ডিওএইচএস-এ বিস্তৃত হয়েছে। দুই-লেন বিশিষ্ট র্যাম্পটি কালশী মোড় থেকে শুরু হয়ে কালশী সড়কে যাবে।
এই প্রকল্পের আওতায় একটি পিসি গ্রিডার ব্রিজ, দুইটি ফুট ওভারব্রিজ, একটি পাবলিক টয়লেট, দুটি পুলিশ বক্স, একটি ৭.৪০ কিলোমিটার আরসিসি ড্রেন, একটি ১,৭৫৫ মিটার আরসিসি পাইপ ড্রেন, ৩,৩৮৩ মিটার যোগাযোগ তার, পৃথক সাইকেল লেন ও ছয়টি বাস বে নির্মাণ করা হয়েছে।
প্রকল্পটি চালু হওয়ায় মিরপুর, ডিওএইচএস, পল্লবী, কালশী, মহাখালী, বনানী, উত্তরা ও বিমানবন্দর সড়কের যানজট কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কালশী ফ্লাইওভার উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এলজিআরডি ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, এলজিআরডি ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ, ঢাকা-১৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইব্রাহিম অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
