অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ আলভারো মোরাতার ৯৪ মিনিটের গোলে সোমবার (১৩ মার্চ) জিরোনার বিরুদ্ধে কষ্টার্জিত জয় পেয়েছে। এই জয়ে অ্যাটলেটিকো লা লিগা টেবিলের তৃতীয় স্থান ধরে রাখলো।
চতুর্থ স্থানে থাকা রিয়াল সোসিয়েদাদ রোববার মায়োর্কার সাথে ড্র করেছে; ফলে, এই জয়ে অ্যাটলেটিকো তিন পয়েন্ট এগিয়ে তৃতীয় স্থানে রইলো। ইনজুরি টাইমে কর্নার থেকে অ্যাঞ্জেল কোরেয়ার ফ্লিকে মোরাতা পোস্টের খুব কাছে থেকে বল জালে জড়ান। অফসাইডের শঙ্কায় পড়া অ্যাটলেটিকোকে শেষ পর্যন্ত দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরে গোল উপহার দিয়েছে ভিএআর।
ম্যাচ শেষে মোরাতা বলেছেন, ‘আমার কাছে গোলটি বেশ স্পষ্টই মনে হয়েছে। অর্থাৎ, গোলটি বৈধ ছিল। কিন্তু সেটি না হলে হতাশা নিয়ে বাড়ি ফিরতে হতো। সতীর্থরাও বেশ অস্বস্তিতে ছিল। ভিএআর শেষ পর্যন্ত গোল উপহার দেওয়ায় আমরা সবাই দারুণ খুশি। সবাই উদ্বিগ্ন ছিল – আমি আদৌ বলটি স্পর্শ করেছিলাম কি-না।’
লা লিগা টেবিলের দ্বাদশ স্থানে থাকা জিরোনা এদিন ম্যাচের শুরুটা ভালোই করেছিল; স্টিফেন সাভিচের হ্যান্ডবলে দলটি পেনাল্টিও উপহার পায়। কিন্তু, স্ট্রাইকার টাটি কাস্তেলানোসের অফসাইডের কারণে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়।
গত সপ্তাহে সেভিয়াকে ৬-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছিল অ্যাটলেটিকো। এ-কারণেই কোচ দিয়েগো সিমিওনে আক্রমণভাগে মেম্ফিস ডিপাই-আঁতোয়ান গ্রিজম্যান জুটির ওপর আস্থা রেখেছিলেন। আর এই জুটি শুরুতেই নিজেদের মেলে ধরার চেষ্টা করেছে।
ডিপাইয়ের পাস থেকে গ্রিজম্যানের শট রুখে দেন পাওলো গাজ্জানিগা। এরপর গ্রিজম্যানের ক্রসে ডিপাইয়ের ভলি অল্পের জন্য পোস্টের বাইরে দিয়ে চলে যায়। প্রথমার্ধে গাজ্জানিগাকে পরীক্ষায় ফেলেন ইয়ানিক কারাস্কো। প্রান্ত ধরে কারাস্কো বারবার আক্রমণ চালালেও সফল হতে পারেননি। যাহোক, ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি নিজেদের কাছেই রেখেছিল অ্যাটলেটিকো।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে এবারের লিগের অন্যতম ইন-ফর্ম খেলোয়াড় গ্রিজম্যান মার্কোর লোরেন্টেকে দারুণ এক পাস দিয়েছিলেন। কিন্তু, অ্যাটলেটিকোর এগিয়ে যাওয়ার পথে আবারো বাঁধা হয়ে দাঁড়ান গাজ্জানিগা।
ওরিওল রোমেউর হ্যান্ডবলে অ্যাটলেটিকো পেনাল্টির আবেদন করে সফল হতে পারেনি। ভিএআর রিপ্লেতে দেখা গেছে, ডিফেন্ডার মারিও হারমোসো জিরোনার মিডফিল্ডার রোমেউকে ফাউল করেছেন।
এই প্রথমবারের মতো অ্যাটলেটিকোর মূল একাদশে খেলতে নামা গোলরক্ষক ইয়ান ওব্লাক, ভিক্টর টাসিয়ানকোভ ও ডেভিড লোপেজের শট রুখে দিয়ে অভিজ্ঞতার পরিচয় দিয়েছেন।অ্যাটলেটিকোর এই স্লোভেনিয়ান গোলরক্ষক ম্যাচের শেষ ভাগে রড্রিগো রিকুয়েল্মেকে দারুণভাবে রুখে দিয়ে আবারো জিরোনাকে হতাশ করেন।
ম্যাচটি যখন নিশ্চিত ড্রয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল, তখনই মোরাতা দলকে মূল্যবান তিন পয়েন্ট এনে দেন।
গত পাঁচ লিগ ম্যাচে এটি অ্যাটলেটিকোর চতুর্থ জয়।
