loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • মিলানকে হারিয়ে পাঁচ ম্যাচ আগেই ইন্টারের ২০তম শিরোপা জয়

  • লেভাকুজেনের ৪৫ ম্যাচে অপরাজিত থাকার রেকর্ড

  • ফুলহ্যামকে হারিয়ে শিরোপা লড়াইয়ে লিভারপুল

  • তাইওয়ানে আবারও ভূমিকম্পের আঘাত

  • প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ড সফরকালে পাঁচটি দলিল স্বাক্ষর ও বহুমুখী সহযোগিতার সম্ভাবনা

টি-টোয়েন্টি সিরিজে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করলো বাংলাদেশ


টি-টোয়েন্টি সিরিজে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করলো বাংলাদেশ

বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করলো স্বাগতিক বাংলাদেশ। টাইগাররা সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) ১৬ রানে জয়লাভ করে। প্রথম দুই ম্যাচ যথাক্রমে – ছয় ও চার উইকেটে জিতেছিল সাকিবের দল। ফলে, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম দ্বি-পাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে জিতলো বাংলাদেশ। এর আগে, সফরকারী ইংল্যান্ডের কাছে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে হেরেছিল টাইগাররা।

এদিন শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ওপেনার লিটন দাসের হাফ-সেঞ্চুরিতে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে দুই উইকেটে ১৫৮ রান করে বাংলাদেশ। ৫৭ বলে ৭৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন লিটন। জবাবে, ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪২ রান করতে পেরেছে ইংল্যান্ড।

তিন ওয়ানডে ও দুই টি-টোয়েন্টির পরে অবশেষে এই সিরিজে প্রথমবারের মতো টসে জয় পান  ইংল্যান্ড অধিনায়ক জশ বাটলার।

ব্যাট হাতে নেমে বাংলাদেশকে দারুণ সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার লিটন দাস ও রনি তালুকদার। পাওয়ার প্লে-তে ৪৬ রান তুলেন তারা। অবশ্য ষষ্ঠ ওভারে পেসার জোফরা আর্চারের বলে রেহান আহমেদকে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যান ব্যক্তিগত ১৭ রানে থাকা  রনি।

সপ্তম ওভারে বাংলাদেশের রান ৫০ পার করে। অষ্টম ওভারে দলীয় ৫৫ রানে রনিকে ফিরিয়ে ইংল্যান্ডকে প্রথম সাফল্য এনে দেন স্পিনার আদিল রশিদ। তিনটি চারে ২২ বলে ২৪ রান করেন রনি। এরপর, লিটনের সঙ্গী হন শান্ত। মারমুখী মেজাজে দলের রানের চাকা সচল রাখেন লিটন। ত্রয়োদশ ওভারে ৪১ বল খেলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের নবম হাফ-সেঞ্চুরি করেন লিটন। একই ওভারে  বাংলাদেশের রান ১০০-তে পৌঁছায়।

চতুর্দশ ওভারের প্রথম বলে আর্চারের বলে বেন ডাকেটের হাতে জীবন পান ৫১ রানে থাকা লিটন। ওভারের শেষ দুই বলে চার-ছয় মারেন লিটন।

সপ্তদশ ওভারের শেষ বলে দলীয় ১৩৯ রানে লিটনকে বিদায় করেন ক্রিস জর্ডান। স্লোয়ার ডেলিভারিতে ডিপ মিড উইকেটে ফিল সল্টকে ক্যাচ দেন ১০টি চার ও ১টি ছক্কায় ৫৭ বলে ৭৩ রান করা লিটন। টি-টোয়েন্টিতে এটিই ক্যারিয়ার সেরা স্কোর লিটনের। শান্তর সাথে দ্বিতীয় উইকেটে ৫৮ বলে ৮৪ রান যোগ করেন লিটন।

লিটন ফেরার পর শেষ ১৮ বলে একটি চারে মাত্র ১৯ রান যোগ করতে পেরেছেন শান্ত ও অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। এতে ২০ ওভারে দুই উইকেটে ১৫৮ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। 

একটি চার ও দুইটি ছক্কায় ৩৬ বলে অপরাজিত ৪৭ রান করেছেন শান্ত। ছয় বলে চার রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন সাকিব। 

ইংল্যান্ডের রশিদ ও জর্ডান একটি করে উইকেট পেয়েছেন।

হোয়াইটওয়াশ এড়াতে ১৫৯ রানের  লক্ষ্যে খেলতে নেমে  ইনিংসের তৃতীয় বলেই উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। অভিষেক ম্যাচে ইনিংসের প্রথম ওভারেই আক্রমণে আসেন স্পিনার তানভির ইসলাম। প্রথম বলে চার মারেন ডেভিড মালান। তৃতীয় বলে লিটনের দুর্দান্ত স্টাম্পিংয়ে শূন্যতে আউট হন আরেক ওপেনার সল্ট।

শুরুতেই উইকেট হারানোর পরে বাংলাদেশ বোলারদের উপর চড়াও হন মালান ও তিন নম্বরে নামা বাটলার। দ্বিতীয় ওভারে রিভিউ নিয়ে বাঁচার পর বাটলারকে নিয়ে পাওয়ার প্লেতে ৪৭ রান করেন মালান। সাকিবের করা সপ্তম ওভারে একটি করে চার-ছক্কায় ১৩ রান করেন মালান। নবম ওভারে হাসানের বলে তৌহিদ হৃদয়ের হাতে ব্যক্তিগত ৪২ রানে জীবন পান মালান।

এরপর ৪৩ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের পঞ্চদশ হাফ-সেঞ্চুরি করেন মালান। পরের ওভারে ইংল্যান্ডের রান ১০০ করেন মালান-বাটলার। দারুণ জুটিতে ম্যাচের লাগাম হাতে মুঠোয় নিয়ে নেয় এই জুটি।

বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরাতে এ-সময় ছয় বোলার ব্যবহার করেও সাফল্য পাননি সাকিব। যাহােক, চতুর্দশ ওভারে ডাবল উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। প্রথম বলে মালানকে শিকার করে জুটি ভাঙেন পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। এই উইকেটের মাধ্যমে বিশ্বের ষষ্ঠ ও বাংলাদেশের দ্বিতীয় বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টি ১০০ উইকেট-শিকার করলেন ফিজ। ছয়টি চার ও দুইটি ছক্কায় ৪৭ বলে ৫৩ রান করেন মালান।

পরের ডেলিভারিতে মিরাজের থ্রোতে রান আউট হন চারটি চার ও এক ছক্কায় ৩১ বলে ৪০ রান করা বাটলার। দ্বিতীয় উইকেটে ৭৬ বলে ৯৫ রান যোগ করেন মালান-বাটলার জুটি।

১০০ রানে তৃতীয় উইকেট হারানোর পর জুটির গড়ার চেষ্টা করেন বেন ডাকেট ও মইন আলি। কিন্তু সপ্তদশ ওভারে ডাকেট ও মইনকে বিদায় করে বাংলাদেশকে চালকের আসনে বসিয়ে দেন পেসার তাসকিন। মিরাজকে ক্যাচ দিয়ে নয় রানে মইন এবং ১১ রান করা ডাকেটকে বোল্ড করেন তাসকিন। 

এ-অবস্থায় ম্যাচ জিততে শেষ তিন ওভারে ৩৬ রানের দরকার ছিল ইংল্যান্ডের।

অষ্টাদশ ওভারে পাঁচ রান দেন মুস্তাফিজ। ঊনবিংশ ওভারের প্রথম বলে কারানকে চার রানে শিকার করেন সাকিব। এই ওভার থেকে ইংল্যান্ড পায় চার রান। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ২৭ রান দরকার হয় ইংল্যান্ডের। হাসানের করা সেই ওভার থেকে ১০ রানের বেশি নিতে পারেননি ওক্স ও জর্ডান। 

২০ ওভারে ছয় উইকেটে ১৪২ রান করতে পেরেছে ইংল্যান্ড।

বাংলাদেশের তাসকিন দুইটি, তানভির, সাকিব ও মুস্তাফিজ একটি করে উইকেট শিকার করেন।

Loading...