loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে টাইগ্রেসদের দল ঘোষণা

  • বার্সাকে কাঁদিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে পিএসজি

  • অ্যাটলেটিকোকে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারে ডর্টমুন্ড

  • রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পাঠ্যক্রম যুগোপযোগী কর তাগিদ দিলেন

  • ক্যানাডায় আর্টসেলের আটটি কনসার্ট

এল ক্লাসিকোতে রিয়ালকে হারিয়ে শিরােপো আরও কাছে বার্সা


এল ক্লাসিকোতে রিয়ালকে হারিয়ে শিরােপো আরও কাছে বার্সা

রিয়াল মাদ্রিদকে শিরোপার লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে ম্যাচটি জেতা ছাড়া বিকল্প ছিল না। আগে গোল করে এগিয়েও গিয়েছিল কার্লো আনচেলত্তির দল; কিন্তু শেষ পর্যন্ত বার্সেলোনার সঙ্গে পেরে উঠেনি। বার্সা প্রথমার্ধেই সমতা ফেরায়; এবং প্রায় অন্তিমলগ্নে আরেকটা গোল করে ছিনিয়ে নেয় ২-১ ব্যবধানের মহাগুরুত্বপূর্ণ এক জয়। বার্সার এই জয়ে লা লিগার শিরোপার লড়াইও কার্যত শেষই বলা যায়। ২৬ ম্যাচ শেষে ৬৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থানে ক্যাটালান ক্লাবটি। সমান-সংখ্যক ম্যাচে ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে রিয়ালের অবস্থান দুই নম্বরে। অবশ্য, কাগজে-কলমে এখনো রিয়ালের পক্ষে বার্সাকে ধরা অসম্ভব নয়। কিন্তু, ১২ পয়েন্টের ব্যবধান ঘুচিয়ে শেষ পর্যন্ত যদি রিয়াল এই মৌসুমে লা লিগার শিরোপা জিতে যায়, সেটা অনেকটা রূপকথার মতোই হবে।

ক্যাম্প নিউতে রোববার (১৯ মার্চ) শুরুটা ভালো করেছিল বার্সেলোনাই। প্রথম কয়েক মিনিটের মধ্যেই রিয়াল গোলরক্ষক থিবো কোর্টোয়াকে ব্যস্ত করে ফেলেন তাঁরা। যদিও কোর্টোয়া ভালোই সামলেছেন।

খেলার ধারার বিপরীতে গিয়ে প্রথম গোলটা পেয়ে যায় রিয়াল। এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা বার্সেলোনার বক্সের ভেতর প্রবেশ করে বল বাড়িয়ে দেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের দিকে। ভিনি বল নিয়ে কিছুটা এগিয়ে শট নেন। সেই শট বার্সার রাইট ব্যাক রোনালদ আরাউহোর গায়ে গেলে চলে যায় জালে (১-০)। গোলরক্ষক মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগেনের এক্ষেত্রে খুব বেশি কিছু করার ছিল না।

পিছিয়ে পড়ে বার্সেলোনা মরিয়া চেষ্টা করতে থাকে ম্যাচে ফেরার। যাহােক, ৩২ মিনিটে আন্দ্রেয়াস ক্রিস্টিনসেন ও ৩৪ মিনিটে রাফিনিয়ার দু’টি ভালো প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেন কোর্টোয়া।

অবশ্য, কোচ জাভি হার্নান্দেজকে হতাশা নিয়ে বিরতিতে যেতে হয়নি। ৪৫তম মিনিটে রিয়ালের ডি-বক্সে জটলার মধ্যে বার্সার একাধিক শট ফিরে আসার পরে সার্জি রবার্তোর পায়ে বল গেলে তাঁর শট ঠেকাতে পারেননি কোর্টোয়া (১-১)।

বিরতির পরও আধিপত্য বজায় রাখে বার্সা। যাহােক, লেভান্ডোস্কি-রাফিনিয়ারা সুযোগ নষ্ট করায় এগিয়ে যাওয়া হয়নি দলটির।

সুযোগ অবশ্য রিয়ালও পেয়েছে। তবে, ৭৯ মিনিটে করিম বেন্জেমার শট ঠেকিয়ে দেন টের স্টেগেন। এর দুই মিনিট পরে মার্কো আসেন্সিও বার্সার জালে বল স্পর্শ করিয়ে উদযাপনও করেন। দুর্ভাগ্য তাঁর, ভিএআর-এ অফসাইড ধরা পড়ায় বাতিল হয়ে যায় সেই গোল।

রিয়ালের কপাল এদিন মন্দই ছিল; গোল তো বাতিল হলোই, উল্টো যোগ হওয়া সময়ে গোল খেয়ে বসলো। ৭৭ মিনিটে সার্জি রবার্তোর বদলি নেমেছিলেন ফ্রাঙ্ক ক্যাসি। ম্যাচের একেবারে শেষ মূহূর্তে তিনিই হলেন নায়ক। লেভার দারুণ এক ব্যাকহিল থেকে বল পেয়ে অ্যালেক্স বালদে পাস দেন ক্যাসিকে; আর সেই বল জালে ছোঁয়াতে মোটেই ভুল করেননি তিনি।

এরপর বার্সেলোনার খেলোয়াড়দের উদযাপনে মনে হচ্ছিল – এই গোল লা লিগার ট্রফি তাঁদের প্রায় হাতে এনে দিয়েছে, সেটা তাঁরা জানেন!

Loading...