loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • মাটিপের আত্মঘাতী গোলে লিভারপুলকে হারালো টটেনহ্যাম

  • মার্টিনেজের চার গোলে ইন্টারের জয়, জিতেছে নাপোলিও

  • বার্সাকে টপকে আবারও শীর্ষে রিয়াল

  • ‘হার্টের যত্নে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ জরুরি’

  • ‘হাসি-খুশি থাকাও হৃদরোগ প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে’

এফবিসিসিআই বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীদের এক কোটি টাকা দিয়েছে


এফবিসিসিআই বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীদের এক কোটি টাকা দিয়েছে

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই) বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের জন্য এক কোটি টাকা সহায়তা প্রদান করেছে। এফবিসিসিআই কার্যালয়ে শনিবার (২৭ মে) সকালে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের কাছে বঙ্গবাজার অগ্নি ক্ষতি সহায় তহবিলে এক কোটি টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়। এফবিসিসিআই’র পক্ষ থেকে সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স দোকান মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দের কাছে চেক হস্তান্তর করেন। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।

চেক হস্তান্তরের সময় এফবিসিসিআই সভাপতি ও সার্ক চেম্বারের নতুন সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন, “যেকোনো ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাই ব্যবসায়ীরদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক। বঙ্গবাজারে যখন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে, তখন আমি দেশের বাইরে ছিলাম। সেখানে আগুনের ভয়াবহতা এতটাই যে – সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে, কিছুই অবশিষ্ট নেই। সেখানে যাওয়ার পরে আমার মনে হয়েছে, এই সংকটে আমাদের পক্ষ থেকে সামান্য হলেও সহযোগিতা করা উচিত। সেজন্য আমরা এই এক কোটি টাকা সহায়তা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।”

তিনি আরও বলেন, ব্যবসায়ীদের অবশ্যই কমপ্লায়েন্স মেনে ব্যবসা করা উচিৎ। তবে, অগ্নিকাণ্ডে পরে সব দোষ শুধু ব্যবসায়ীদের না দিয়ে যে-সকল প্রতিষ্ঠান বাণিজ্যিক ভবন ও কলকারখানার লাইসেন্স প্রদান করে থাকে, তাঁরাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো উচিত। এ-ধরনের দুর্ঘটনায় সেসব প্রতিষ্ঠানেরও দায় রয়েছে।’ তিনি ভবিষ্যতে এ-ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে বঙ্গবাজারে পূর্বের মতো অবকাঠামো নির্মাণ না করে, স্থায়ী ও আধুনিক ভবন নির্মাণে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

দেশের কলকারখানাগুলোতে অগ্নি-নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকারের সঙ্গে এফবিসিসিআই কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, “প্রাইভেট সেক্টরে ফায়ার সেফটি নিয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে আমরা ফায়ার সেফটি কাউন্সিল গঠন করেছি। এই সেফটি কাউন্সিলের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত পাঁচ হাজার কোম্পানি পরিদর্শন করা হয়েছে। এর পাশাপাশি, প্রতিটি কল-কারখানায় অগ্নি-নির্বাপণ নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এই সেফটি কাউন্সিল সারাদেশে মোট ৪৪ হাজার কোম্পানি ভিজিট করবে।” এ-সময় তিনি দোকান ও শপিংমলে ফায়ার সেফটি নিশ্চিতে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি ও এফবিসিসিআই ফায়ার সেফটি কাউন্সিলকে একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশনা দেন।

এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, বঙ্গবাজারের ভবনটি ঝুকিপর্ণ উল্লেখ করে ফায়ার সার্ভিস একাধিকবার সতর্ক করলেও মার্কেট কমিটির পক্ষ থেকে বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। তিনি ব্যবসায়ীদের আরও দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন জানান, রাজধানীতে বিদ্যমান মার্কেটগুলো পরিদর্শন করা হচ্ছে। কোনো ধরনের ঝুঁকি লক্ষ্য করা গেলে তাঁদের সতর্ক করার পাশাপাশি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সেগুলো সংশোধনের নির্দেশনা দেওয়া হবে।

কাউন্সিলের প্রধান ব্রিগেডিয়ার আবু নাঈম মোঃ শহীদুল্লাহ কলকারখানায় অগ্নি-নিরাপত্তা নিশ্চিতে এফবিসিসিআই সেফটি কাউন্সিলের চলমান বিভিন্ন কর্মসূচির কথা তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি মোঃ আমিন হেলালী, মোঃ হাবীব উল্লাহ ডন, এফবিসিসিআইর পরিচালকবৃন্দ, বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স দোকান মালিক সমিতিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Loading...