বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবকে নিয়ে নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘বঙ্গমাতা’ বড় পর্দায় এসেছে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় সোমবার (৭ অগাস্ট) সন্ধ্যায় চলচ্চিত্রটির উদ্বোধনী প্রদর্শনী হয়েছে। প্রদর্শনীটি উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সিমিন হোসেন রিমি। লেখক খোরশেদ বাহারের ‘বঙ্গমাতা, ইতিহাসের নিভৃত সৈনিক’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমার চিত্রনাট্য লিখেছেন নাসরীন মুস্তাফা। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেছেন গৌতম কৈরী। বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে অগাস্ট মাসজুড়ে চলচ্চিত্রটি বিভিন্ন টিভি চ্যানেলসহ বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের দূতাবাসে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করবে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। খবর – স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।
উদ্বোধনী প্রদর্শনীতে সিমিন হোসেন রিমি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সঙ্গে আমাদের পারিবারিক সম্পর্ক ছিল। চাচিকে (বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব) দেখে আমাদের বড় হওয়া। তিনি নিবিড়ভাবে পরিবারটাকে আগলে রেখেছিলেন। আমাদের অসম্ভব স্নেহ করতেন।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, অগাস্ট মাসে জন্মেছিলেন বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব। কিন্তু এ-মাসেই আমরা হারিয়েছি জাতির পিতাসহ তাঁর পরিবারের ১৭জন সদস্যকে। প্রাপ্তি ও হারানোর যোগফল রক্তাক্ত অগাস্ট।
ছবিতে ‘বঙ্গমাতা’র চরিত্রে অভিনয় করেছেন জ্যোতিকা জ্যোতি। ‘বঙ্গবন্ধু’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন মনির আহমেদ, শেখ হাসিনার কিশোরীবেলার চরিত্রে রয়েছেন লাবণ্য চৌধুরী। আরও রয়েছেন – শোভন দাস, ফারজানা রহমান ছবি, খলিলুর রহমান কাদেরী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতি সচিব খলিল আহমেদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, লেখক খোরশেদ বাহার, নির্মাতা গৌতম কৈরী। উদ্বোধনী প্রদর্শনীতে চিত্রনাট্যকার নাসরীন মুস্তাফা, অভিনয়শিল্পী জ্যোতিকা জ্যোতি, মনির আহমেদ, লাবণ্য চৌধুরীসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা ১৯৩০ সালের ৮ অগাস্ট তৎকালীন গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর ডাকনাম ছিল রেণু। বাবার নাম শেখ জহুরুল হক ও মায়ের নাম হোসনে আরা বেগম। এক ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন ছোট।