ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট প্রান্ত পর্যন্ত অংশে রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) ভোর ছয়টা থেকে যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিমানবন্দর প্রান্তের কাওলা অংশে নামফলক উন্মোচনের মাধ্যমে বহু আকাঙ্ক্ষিত দেশের প্রথম ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী কাওলা প্রান্ত থেকে টোল দিয়ে এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠেন। শেখ হাসিনা প্রায় ১১ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ে ১৪ মিনিটে পার হয়ে আগারগাঁওয়ে পুরাতন বাণিজ্য মেলা মাঠে সুধী সমাবেশে পৌঁছেন। সেখানে রাখা উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন এবং পরে দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন। পরে, প্রধানমন্ত্রী আগারগাঁও ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের একাংশের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। এ-সময়ে তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। খবর – স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে দুই এবং তিন চাকার যানবাহন এবং পথচারী চলাচল সম্পূর্ণ নিষেধ। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ওপর যেকোনো ধরনের যানবাহন দাঁড়ানো ও যানবাহন থেকে নেমে ছবি তোলা সম্পূর্ণ নিষেধ। এক্সপ্রেসওয়ের মূল সড়কে সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার এবং ওঠা-নামার র্যাম্পের জন্য সর্বোচ্চ গতিসীমা থাকবে ৪০ কিলোমিটার। বিজ্ঞপ্তিতে নির্ধারিত টোল পরিশোধ করে নিন্মবর্ণিত স্থানসমূহ থেকে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠা-নামা করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
দক্ষিণ অভিমুখী যানবাহন ওঠার স্থান
১. হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওলা
২. প্রগতি সরণি এবং বিমানবন্দর সড়কের আর্মি গলফ ক্লাব
দক্ষিণ অভিমুখী যানবাহন নামার স্থান
১. বনানী কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ
২. মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনে
৩. ফার্মগেট প্রান্তে ইন্দিরা রোডের পাশে
উত্তর অভিমুখী যানবাহন ওঠার স্থান
১. বিজয় সরণি ওভারপাসের উত্তর ও দক্ষিণ লেন
২. বনানী রেলস্টেশনের সামনে
উত্তর অভিমুখী যানবাহন নামার স্থান
১. মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনে
২. বনানী কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ের সামনে বিমানবন্দর সড়ক
৩. কুড়িল বিশ্বরোড
৪. বিমানবন্দর তৃতীয় টার্মিনালের সামনে
টোল
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চলাচল করতে যানবাহনকে টোল দিতে হবে। টোল হার যানবাহনের শ্রেণিভেদে ভিন্ন।
শ্রেণি-১: কার, ট্যাক্সি, স্পোর্টস ইউটিলিটি ভিহেক্যাল, মাইক্রোবাস (১৬ সিটের কম) এবং হালকা ট্রাক (তিন টনের কম) – টোল ৮০ টাকা
শ্রেণি-২: মাঝারি ট্রাক (ছয় চাকা পর্যন্ত) – টোল ৩২০ টাকা
শ্রেণি-৩: ট্রাক (ছয় চাকার বেশি) – টোল ৪০০ টাকা
শ্রেণি-৪: সব ধরনের বাস (১৬ সিট বা তার বেশি) – টোল ১৬০ টাকা।